স্বপ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ এক যুবকের হৃদয়, চোখে-মুখে উচ্ছোসিত উন্মাদনা, তথাকথিত বাস্তবতার অন্তরালে সুখ-দুঃখের ব্যবচ্ছেদ করা এই হৃদয়ের কাজ নয়। স্নায়ুতন্ত্রে কিছু সৃষ্টিশীল নিউরো-কানেকশান ঘটানোর চেষ্টা যেন চলছে অবিরত। আমি চাকরিজীবী,
আট্টা-পাঁচটা অফিস করা
শার্ট-টাইয়ে ভদ্রলোক।
রোজ সকালে বাসে ঝুলে
ব্যাগ কাঁধে দৌড়ে ছুটি অফিসে,
ঠিক যেমনটা ছুটেছি
স্কুলে যাবার জন্যে।
এখনো দেরি হয়,
প্রায়শই হয়; শুধু এখন
শিক্ষকের বেতের বদলে
দেখি বসের বাঁকা মুখখানা।
মনে হয় চোখ দু'টো
এখনই টুপ করে বেরিয়ে
মাটিতে গোটা দু'এক
ডিগবাজি খাবে।
বউয়ের সাথে ঝগড়া করে
রোজ বারোটায় অফিসে এসে
ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে জাবর কাটে,
এমন প্রাণীকেই বোধহয়
বলা হয় অফিসের বড় সাহেব।
দেখতে গোলগাল, মোটাসোটা
ভুরিওয়ালা পেট, হেলেদুলে হাটা
টিপিক্যাল আমার বস।
আমি মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী
বাহুল্যটা তাই বুঝি না,
এই টুকুতেই খুশি।
তবে অসময়ে ফোনে যখন
বসের কন্ঠ শুনি,
মেজাজখানা তুঙ্গে তখন
তবু হাসি মুখে বলি,
হ্যালো বস! কেমন আছেন?
এ সবই সম্ভব
কারন আমি চাকরিজীবী,
ডিউটি করাই ধর্ম আমার
রাত-বিরাতের হিসেব করা
আমায় মানায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।