‘‘তাপস রায়ের লেখা ‘রাজাকারের রঙ্গরস’ পড়ে খুব মজা পেয়েছি। একাত্তরের রাজাকার-আলবদররা যখর বিচারের সম্মুখীন, তখন রসরচনার এই বইটি স্মারক ডাকটিকেটের মতো পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে বলেই মনে করি-নির্মলেন্দু গুণ, কবি। ’’
বই পরিচিতি :
নিজের ছবি সংবলিত ডাকটিকেট বের করার নির্দেশ দিলেন ইয়াহিয়া। কিছুদিন পর ডাক ও তার মন্ত্রীকে ডেকে টিকেট কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলেন। শুনে মন্ত্রী বললেন, পূর্ব পাকিস্তানে টিকেট একেবারেই বিক্রি হচ্ছে না।
ইয়াহিয়া অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, কেন?
: টিকেট খামে সাটা যাচ্ছে না।
: টিকেটে আঠা লাগানো নেই?
: আছে। কিন্তু বজ্জাত বাঙালিরা টিকেটের নিচে থুতু না দিয়ে উপরে থুতু দিচ্ছে।
বইটিতে এমন প্রায় তিনশ কৌতুক রয়েছে। কৌতুকগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রকাশিত প্রতিটি কৌতুকই পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, জেনারেল নিয়াজী, রাও ফরমান আলী এবং তাদের দোসর সেইসব রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের নিয়ে।
কৌতুকগুলো পাঠককে ১৯৭১ এ তাদের ঘৃণিত কার্যক্রমের কথাগুলো মনে করিয়ে দিবে। হাস্যরসের মাধ্যমে পাঠক জানতে পারবে একাত্তরের ইতিহাস।
বইয়ের নাম : রাজাকারের রঙ্গরস
লেখকের নাম : তাপস রায়
মূল্য : ১০০ টাকা
প্রকাশক : ভাষাচিত্র
প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা, ২০১২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।