আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
তখন ছিল ১৯৯২ সাল ইরাকের বিরুদ্ধে ৯১তে পরিচালিত অপারেশন ডেজার্ট ষ্টর্মের পরের বছর। মার্কিন Marine Corps এর সার্জেন্ট জেমস ডান চরিত্রে Keenen Ivory Wayans যে একজন স্নাইপার হিসেবে ইরাকের ভিতর স্পেশাল ফোর্সে কাজ করছিল। ছবির শুরুতে ১০ বছরের এক মেষ পালক ইরাকী বালককে তার উপরের অফিসার হত্যা করতে বললে বিরোধ বাধে। অফিসার বলে এটাই তোমার টার্গেট। কিন্তু জেমস বলে যে না এটা ঠিক না।
এক কথায় দুই কথায় অফিসার তাকে রিভলবার দেখিয়ে বাধ্য করতে গেলে জেমস সেটা কৌশলে কেড়ে নিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় এবং গুলিতে সেই অফিসার মারা পরে। তাই উপরের অফিসারের আদেশ অমান্য এবং তার খুনের দায়ে জেমসকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। যখন জেমসের এই মৃত্যুদন্ডের আদেশ ঘনিয়ে আসে তাকে সেনা বন্দী খানা হতে অন্য একটি জেলে তা কার্যকরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। যখন তাকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যেতে থাকে তখনই সেই গাড়ীর চাকা ফাটিয়ে স্যাবোটাজ করা হয়। গার্ডরা হতাহত হলে একটি অগ্যাত গ্রুপ জেমসকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়।
তখন জেমস দেখা পায় Lt. Col. Grant Casey চরিত্রে অভিনয় করা Jon Voight(এঞ্জেলিনা জলির পিতা) এর। কর্ণেল বলে তুমি মৃত্যুদন্ড হতে মুক্তি পেতে পার যদি আমাদের সাথে একটি গোপন মিশনে অংশ নাও। আর তা হল মার্কিন ফার্ষ্ট লেডীকে ব্ল্যাক মেইলিং কারী ওষুধ ব্যাবসায়ীকে খুন করতে হবে যখন সে লসএঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আসবে। সেই অনুষ্ঠানে ফার্ষ্ট লেডী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিবে। আমরা চাইনা সেই ব্যাবসায়ী তাকে কোন ক্ষতি করুক।
তুমি দক্ষ স্নাইপার তাই সে ফার্ষ্ট লেডীর সাথে হাসপাতালে ঢুকার আগেই ব্যাবসায়ীকে খুন করবে নির্দেশ পাওয়া মাত্র। সে রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি! তারপর ঘটনার দিন জেমস সহ আরো কয়েকজন স্নাইপার যার যার পজিশনে বসে আছে নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। অতিথিদের গাড়ীর বহর আসার পর সবাই নেমে যেই হাসপাতালে ঢুকবে অমনি গুলি হল যাতে ঘায়েল হল স্বয়ং ফার্ষ্ট লেডী! জেমস দেখল যে কোন নির্দেশ আসার আগেই অন্য একটি অবস্থান হতে স্নাইপার গুলি আসলেও হাসপাতালের কয়েকজন সিভিল ড্রেসে নিরাপত্তা কর্মী তার বিল্ডিং এর তথা অবস্থানের দিকে হাত তুলে নির্দেশ করছে যে ঐখান থেকেই গুলিটা ছুড়া হয়েছে। জেমস বুঝল কোন ঘাপলা হয়েছে এবং তার বেতারযন্ত্র দিয়ে বলল কি হচ্ছে আমিতো কোন গুলি ছুড়িনি! তখন তাকে পরিচালনাকারী বলল অন্য কেউ করেছে তুমি চিন্তা করনা তুমি উমুক স্থানে যাও তোমাকে আমাদের গাড়ী তুলে নিবে। এর পরে সে যে বিল্ডিং এ গেল তাকে লক্ষ্য করে স্নাইপার বুলেট ছুড়লেও তা তার গায়ে না লেগে সামনে পড়ল।
তখনই সে সব বুঝে ফেলল তার এই বিশেষ দলই ফার্ষ্ট লেডীকে গুলি করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সেই নতুন বিল্ডিং এ ঢুকে পড়লেও সে কৌশলে পালিয়ে গেল। এই রকম আরো কয়েকবার কয়েক জায়গা হতে চমৎকার কৌশলের সাথে চম্পট দিল। পরে একটি জায়গায় টেলিভিশনে জানল যে ফার্ষ্ট লেডী নিহত হয়েছে। ফার্ষ্ট লেডীকে গুলি করার পর জেমস দেখেছিল এক তরুণী হাসপাতাল কর্মী সে নিজ ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে যেখান থেকে গুলি করেছিল তা সে ধারণ করেছে।
জেমস এও দেখেছে সেই সিভিল ড্রেসের বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী ঐ তরুণীর কাছে তার ক্যামেরা হতে ভিডিও ফিলিম নিয়ে নেওয়ার আগেই সে কৌশলে ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর থাকা আরেকটি ফিলিম ঢুকিয়ে আসলটি সরিয়ে দেয়। ফলে নিরাপত্তা কর্মী অন্য টেপ নিয়ে যায়। জেমস ভাবল ঐ নারীটিই তার বাচার রাস্তা। ইতিমধ্যে। ইতিমধ্যে ঐ বিশেষ দলের রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা হতে তরুণীর কৌশলটি জেনে গেল এবং নিজেদের উপর রাগ হয়ে বলল তার থেকে যে করেই হৌক ঐ ভিডিও টেপ উদ্ধার করতে হবে।
জেমস পরে হাসপাতাল হতে কৌশলে কম্পিউটার ডাটাবেস হতে নারীটির পরিচয় ও ঠিকানা জেনে নিল। তরুণী একজন ডাক্তার। তরুণীটি যখন তার বাসায় ঢুকতে গেল তখন জেমস তাকে জোর পূর্বক মুখ আটকে বলল কোন শব্দ না করে ঘরে ঢুক। তখন তাকে জেমস বলল আমি স্রেফ সেই টেপ চাই! তারপর জেমস আবিস্কার করল যে তরুণীর রান্না ঘরে বোমা সেট করা আছে মাত্র ২৭ সেঃ বাকী! তারপর বিস্ফোরণ হতে নিজে ও তরুণীকে বাচিয়ে নিলেও সে ডাক্তারের কাছে বিশ্বস্ত হতে পারল না। অনেক কষ্টে ও ধকলের পর তরুণীটিকে আশ্বস্ত করল সে তার কোন ক্ষতি করবে না।
পরে জেমস চমকে গেল যে সেই কর্ণেল আসলে Gen. Adam Woodward! যে মার্কিন ৮২তম সেনা ডিভিশনের প্রধান জেনারেল। সে ঐ ওষুধ ব্যাবসায়ী বন্ধু। পুরো লসএঞ্জেলস শহড়ে নিয়ন্ত্রণ(প্রবেশ-বাহির) এখন তার ৮২তম ডিভিশনের হাতে। এমনকি মিডিয়াও। বাকী কাহিনীটুকু আপনারা ছবি দেখে জেনে নিবেন।
ছবিটি ডাউনলোডের লিংক;
http://www.mediafire.com/?gkake39x59qni93
http://www.mediafire.com/?hhdsnnhkc9v7s11
http://www.mediafire.com/?j8zibxoy72bfmr4
http://www.mediafire.com/?a0zqhmd9ics8fet
উইনজিপের মাধ্যমে একত্রিত করতে পারবেন।
এই ছবিটি হয়ত অনেকেই দেখেছেন। তবে বরাবরের মত বলতেই হয় এই ছবিও সেই শ্রেণীর যার আকর্ষণ বার বার দেখলেও কমে না। দারুণ এ্যাকশন ও থ্রিলার ধর্মী ছবি। আমার বিশ্বাস এটি আপনাদের ভাল লাগবে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।