মিথ্যার চেয়ে সত্য বলা কঠিন। এই কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছি এবং যাবো শাইমা আলওয়াদী ও তার স্বামী নিরাপত্তার কারনে ইরাক থেকে আমেরিকা আসেন ১৯৯৩ সালে। সাদ্দাম শাসিত ভয়ংকর ইরাককে ছেড়ে আসলেও দু:খ তাদের পিছু ছাড়েনি। ২১ই মার্চ নিজ বাসভবনে কিছু বর্নবাদীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন শাইমা আলওয়াদী। তার মাথায় উপর্যুপরী আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো, ২৪ই মার্চ হাসপাতালে তার মৃতু হয়।
এ কয়দিন তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছিলো। তার অজ্ঞান দেহের পাশে একটি নোট পাওয়া গিয়েছিলো যাতে লেখা ছিলো "তোমরা সন্ত্রাসী, নিজ দেশে ফিরে যাও"। পাঁচ সন্তানের এ জননীকে ইরাকে তার নিজ শহর নাজাফে কবর দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালের পর আমেরিকার এধরনের হত্যা-নির্যাতনের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলছে। শাইমাকে হত্যার প্রতিবাদে সংগঠিত হয়েছেন নানা ধর্ম-বর্নের নারীরা।
অনেক অমুসলিম নারীরা মাথায় স্কার্ফ দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফেসবুকে একটি পেজ খোলা হয়েছে যেটাতে অল্প কয়দিনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজারের মত লাইক পড়েছে। এ পেজের বিভিন্ন মন্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রমান পাওয়া যাবে যে কিভাবে মুসলিম নারীরা পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে আসলে কি হচ্ছে তাও পরিস্কার হবে সবার কাছে।
ফেসবুক পেজের লিংক -
Click This Link target='_blank' >One Million Hijabs for Shaima Alawadi
গার্ডিয়ানের নিউজ -
Iraqi woman dies after San Diego attack
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।