আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনার কানে বামদের কুমন্ত্রণাঃ মোল্লারা তো আপনারে ভোট দেয় না, সুতরাং মোল্লাদের পক্ষ নিয়া লাভ নাই ।

Student : B.Sc in EEE আমাগো গ্রামের যে ১০ জন মোল্লা-মৌলভী আছেন , এরা কখনই নৌকাতে ভোট দেয় না । অতীতেও দেয় নাই, ভবিষ্যতেও দিবো না , একথা সত্যি । তবে এই ১০ জন সম্মানিত মোল্লা-মৌলভীর ডাকে যে ১০০০ গ্রামবাসী ঈমানী কারনেই কুলাঙ্গার আসিফ মহিউদ্দিনের কৃর্তিকলাপের জের ধরে বিক্ষোভে অংশ নিছে । এই ১০০০ গ্রামবাসী কিন্তু নৌকারই ভোটার। এরকম লক্ষ লক্ষ বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী আছেন যারা নৌকার ভোটার ।

এরকম লক্ষ লক্ষ গ্রামবাসীর কারনেই তো নৌকা এখন ক্ষমতায় । এখন যদি এই ১০ জন মোল্লা-মৌলভীদের শত্রু বানাইয়া কুলাঙ্গার আসিফ গং এর বিরুদ্ধে লীগ যদি কোন ব্যবস্হা না নেয় , তাইলে কিন্তু এই ১০ জন মোল্লা-মৌলভী ক্ষুদ্ধ হইয়া যাইবো । ফলশ্রুতিতে এই ১০ জন সম্মানিত মোল্লা-মৌলভীর ক্ষুদ্ধ আহ্ববানে কিন্তু গ্রামের ঐ ১০০০ জন সাধারন গ্রামবাসী (যারা অতীতে নৌকার ভোটার ছিল) তারাও কিন্তু ক্ষুদ্ধ হইয়া যাবো । এবং সমস্ত গ্রামবাসী নৌকারে বাশডলা দিবো । মানে ১০ জন মোল্লা-মৌলভীদের বিক্ষুদ্ধ করা মানে নৌকার ভোটার ১০০০ জন সাধারন গ্রামবাসীরেও বিক্ষুদ্ধ করা ।

ফলশ্রতিতে নৌকার ভোটার এই ১০০০ জন সাধারন গ্রামবাসীই কিন্তু পরের ইলেকশনে নিজেদের নৌকারেই বাশডলা দিবো । সুতরাং গ্রামে ঐ ১০ জন সম্মানিত মোল্লা-মৌলভীরে ক্ষাপাইয়া লাভ নাই , লস ছাড়া । অন্যথায় ১০০০ জন সাধারন গ্রামবাসীও ক্ষেপবো । অলরেডি লং মার্চের দিন সরকারি হরতালের কারনে কিন্তু পাবলিক সেন্টিমেন্ট অনেকখানি হাড়াইছে আম্লীগ । সুতরাং আর দেরি না কইরাঃ হাতেগোনা যে অল্প কয়জন ধর্ম অবমাননাকারী আছে তাদের শায়েস্তা করাই লীগের উচিৎ, অন্তত নিজেদের পীঠ বাচাইতেই ।

আর সংবিধানে বিশমিল্লাহ না থাকলেও সংখ্যালঘুদের বাস্তবে কোন লাভ নাই কিংবা থাকলেও সংখ্যালঘুদের বিশেষ কোন ক্ষতি নাই । সুতরাং মোল্লা-মৌলভীদের আর অযথা না ক্ষেপাইয়া সংবিধানে বিশমিল্লাহ শব্দটি পুনঃস্হাপন করাই উচিৎ আওয়ামী লীগের , অন্তত নিজেদের পীঠ বাচাইতেই । আর বাকি যে দফাগুলো আছে ঐগুলা উনারা সব-সময়ই দাবি করে থাকেন অনেকটা রুটিন মাফিক । উনারাও ভালো করে জানেন , এগুলা নৌকা কিংবা ধানের শীষ কারো পক্ষেই এই আধুনিক যুগে বাস্তবায়ন করতে সহজ সাধ্য নয়। তারপরও উনারা এই দফা গুলো তুলেছেন , শুধুমাত্র তোলার খাতিরেই তোলা লাগে বলে।

অফটপিকঃ লাগাতার হরতাল কিংবা শাপলা চত্বরেই লাগাতার অবস্হান কর্মসূচি মতন কঠোর কর্মসূচি না দিয়া সরকাররে দাবি বাস্তবায়নের জন্য আরও একমাস টাইমের সুযোগ দিয়া হেফাজতে ইসলাম প্রমান করিলঃ তাদের আন্দোলন কাউকে ক্ষমতায় আনার কিংবা সরকার উৎখাতের আন্দোলন নয় । তাদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র ধর্মীয় মূল্যবোধের কারনেই সংঘটিত হইছে। আর নারী সাংবাদিকের উপর হামলার মতন ছোটখাট ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে হেফাজতে ইসলাম যেভাবে সুশৃংখল ভাবে কর্মসূচি পালন করছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় । আর অতিউৎসাহী যে সব লোক জাগরণ মঞ্চে হামলার চেষ্টা করেছিল , এরা মূলত হেফাজতের কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিবির কর্মি । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.