ধুলোয় মোড়ানো এ শহরটা বড়ই অদ্ভুত । দিন যত যাচ্ছে আরও বেশি যেন আজব হয়ে যাচ্ছে এই । না হয় কয়েকটা উদাহরণ দেয়া যাক । এফ.এম.রেডিওতে "আজ জোছনা রাতে ......" গান শুনে চাঁদ দেখতে চাইবেন? খুব ভাগ্যবান হতে হবে আপনাকে। হয়ত ১৮তলা কোন বিল্ডিঙের আড়ালে চাপা পড়ে আছে বেচারা ।
কোথায় সেই জোছনা আর কোথায়ই বা সেই বন । বসন্ত মানে এখন লোডশেডিং , সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সীসা লাউঞ্জের ধোঁয়ায় জোছনা আজ বড় ম্লান।
জোছনার দেখা তো পাওয়া গেল না। ভাবছেন রঙধনু দেখবেন।
কোন বাঁধা নেই। সোজা চলে যান - পান্থপথ। বসুন্ধরা সিটির সিলিং জুড়ে রংধনু দেখবেন রঙিন কাঁচে।
এবার না হয় পথে নামা যাক । না না , দেউলিয়া হতে বলছিনা।
ঘড়ির কাঁটা এখানে অফিস-ছুটি হতে নিয়ন আলোর হাতে আটকা পড়ে হরহামেশাই। গোধুলীর আবেদন বিলীন হয় ট্রাফিক সিগন্যালের লাল আলোয় । হকারের পটকন ( পপকর্ন) আর পথশিশুর বাসি ফুল - একসময় আশ্রয় নেয় হোটেলগুলার পাশে, শেষমুহূর্তে বেঁচে যাওয়া খাবারের আশায়।
বাড়ির ভেতরের সন্ধ্যারাতটাও এখন সমান যান্ত্রিক । কখন যে শুরু আর কখন শেষ ,তা বোঝা যায় হিন্দি সেরিয়ালের দর্শকদের ঢুলু হয়ে আসা চোখের পাতায় ।
কিশোর-কিশোরীর চিরচেনা হাসি এখন আর গঞ্জের মেলায় নয়। ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারে সীমাবদ্ধ । শিশুরা এখানে পাতার বাঁশী চেনে না, চেনে ডোরেমন । তারা খেলা করে ঠিকই। তবে সুপারির খোলের গাড়ি দিয়ে নয় ।
প্লে স্টেশন দিয়ে ।
একসময় সবার চোখ মুদে আসে ঘুমে। তবে ঝিঁঝিঁপোকার গানে নয়, নাইটগার্ডের বাঁশীর শব্দে।
সত্যি অদ্ভুত এ শহর । অদ্ভুতদের শহর ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।