"আপেল থেকে আপেলে গড়িয়ে গড়িয়ে তোর নস্টালজিয়া গেলো না, জাম্বুরা নিয়ে খেলতে খেলতে তুই আটকে গেছিস জাম্বুরা শৈশবে, খোলস ছাড়া নয়া সাপের মতো তুই কেমন বিমর্ষ থাকিস! দেখ এই নিয়তি, সময়ের স্রোতে তোর পরিবর্তন থামে না। সময়ের স্রোতে তোর বেড়ে নিয়ত বেড়ে ওঠা। জাম্বুরা থেকে জাম্বুরায় গড়িয়ে গড়িয়ে তুই খালপাড়ে, পুকুরপাড়ে ঘোলাজলের খুব কাছে পড়ে রইলি, মরেও তোর শেষ নেই, এবার অক্ষর থেকে ঝরে জাম্বুরার অনন্ত পাহাড়, বুড়ি ব্যশ্যার কুচকানো চামড়ার মতো সবুজ এক সাহস ও অবাধ্য আগুন আর ওই বেঁচে থাকা-- পাখা ঝাপটায়, আকাশ ফুঁড়ে মাথা তুলতে চায়। শিশুর মতো তুই মায়ের মাই ছাড়া কিছুই চিনলিনা, কোথাও এর অধিক কিছু পেলি না খুঁজে... সমস্ত আঁল ডিঙ্গিয়ে, সমস্ত আঁচলের নিচে ওই এক শুশ্রূষা! তোর জন্ম হবে কবে? এই অন্তহীন পাহাড় ঘেরা পৃথিবীতে কতটা চূড়াঁ ডিঙোবি তুই বল, জন্মের আগে হিসেব কষে কী জন্ম নিয়েছিস, তখনো তোর মাথাটি হয়নি কেনরে চিন্তা-উপযোগী? হা রে, কমলা থেকে কমালায় গড়াতে গড়াতে বহুবর্ণ স্বাদের ভেতরে মানুষ ছাড়া ভিন্ন কিছু পেলি না তুই, করুণেশ, মানুষের স্বাদ ছাড়া কিছুই পেলি না, তোর গর্বিত মরণ নিয়ে দেখ ছাইগুলো উড়ছে অগ্নি-সমাপ্ত এই বাতাসে, যেখানে ধ্বনিরও মৃত্যু হয়, চিন্তারও, খোলস পাল্টে পাল্টে যুগোপযুগী হয়, আর হয়েছিলো, অতি-মাতৃত্ববোধে, সতি-ভাতৃত্ববোধে, আর উপবাসী ব্যাশ্যার পবিত্র শরীরের চিরকুমার আত্মা- এই পৃথিবীর মতো বারবার বারবার বৃষ্টিতে ভিজে। আর শুধু কলকল শিশু গজায়, মাটি ফুঁড়ে। আর পৃথিবী ফিরে ফিরে কুমারী হয়, কেউ তাকে ফেলে যায় না, আরো বেশি ভালবেসে ফেলে, দেখেছিস মরার সময় ঐ নুলো ভিখেরীর চোখও কেমন ব্যকুল দেখে নেয় শেষবার এই মিঠে পৃথিবী, ধুলোয় শুয়ে, কাশতে কাশতে, আর ক্ষুধার্ত এক জীবনের স্মৃতির প্রতি কী অযৌক্তি নুয়ে থাকে, কাঁদে, এড়াতে পারে না! এভাবেই .... কুরুণেশ জানতে জানতে সাক্ষ্য দিয়ে গেলি নিজের শরীর আর আত্মার... আর তার ভাঙাচুড়া অক্ষরের শৈলী, শিখা, শকিং এফক্ট হিসেব করতে চায়, ঘরকোনো অধ্যাপকের মেধাবী মাথা-- যুক্তি-বিদ্যুতে ফালা ফালা করে তোর দেখার ভুলশদ্ধ আবেগ, আর কার কার কাছ নুয়ে গেছে তোর মাথা, প্যারিস থেকে প্রাচ্যের গ্রামবিধবার লাম্পট্য অবধি! তারা জীবনের বদলে, জীবনের কৃতিত্ব গুনে দেখতে চায়, হায়! লাম্পট্য? এই শব্দের ভেতর কুঁকড়ে থাকা শারীরিক আগুন মাথা তুলে তাকায়_ যে আগুন থেকে নরক নয়, স্বর্গের সিঁড়ি গুলো উর্ধ্বে উঠে গেছে... রূপকথায় রূপকথায়! মানুষ এখনো দেখি, রূপের চেয়ে বেশি রূপকথা ভালবাসে... আর এখনো সাপ হাঁস ব্যাঙ, জিরাফ, বেড়াল, জেব্রা, নিম গাছ, অনবরত কথা বলে অক্ষরে অক্ষরে, শিশুদের বইয়ে যেমন। বুদ হয়ে থাকে তারা, এখানো শিশু তারা, আধুনিক হলো না? এখনো শিশু তারা নিরাধুনিকও হলো না, এখানো শিশু তারা নিজের কথা আজও জীবজানোয়ার আর গাছের গায়ে চাপায়_ এই পরোক্ষ অক্ষর তাদের ছদ্মবেশি বাসনার আগুনে যোগায় কোন মহোষধি, ভাবি, আর কুরুণেশ! দেখি, আমিও পরোক্ষে কথা বলি, ঘরকোনো ছেলে: কোনেব্যাঙ থেকে বেরোবেনা আর রাজপুত্তর কখনো, জেনে গেছি আমি, ততোধিক ব্যর্থ কোন লম্পট ছাড়া, তুমি কি তাই ভাবো? আমি ভাবি, অনুমানের এক কেরানি-পৃথিবীতে বসে কল্পনার দৃশ্যে তোমার অভিজ্ঞতা মিশিয়ে, আর ভাবি অনুমানের এক কেরানি-পৃথিবীতে কে কতটা সঠিক, তুমি না আমি? তোমার শৈলী শিখা সত্য বলে, পোড়ায় কতটুকু মায়াবী আগুনে? বুদ হওয়া হলো না বলে কি অক্ষর, কিংবা তুই ব্যর্থ হয়ে যাবি কুরুণেশ, সত্যের চেয়ে বেশি দামী, মায়ার অবশেষ, অবলেশ, শিশুর চেয়ে বাড়েনি বয়স আমাদের, টেনে হেঁচড়ে এতো এতো খোলস খুলেও, গাঁ থেকে, শরীর থেকে, নগরে উপচে উঠেও! তুইও কিন্তু! শিশুর অধিক কিছু কে হয়েছে এই মরজগতে..."
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।