আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
গাজীপুরে দেড় বছরে ছয় হাজার মুরগির খামার বন্ধ
গাজীপুর জেলায় গত দেড় বছরে ছয় হাজার ২৩৩টি মুরগির খামার বন্ধ হয়ে গেছে। গত জুন থেকে ডিসেম্বর—এ ছয় মাসেই শুধু বন্ধ হয়েছে চার হাজার ৩৪৫টি খামার। পোলট্রি শিল্প রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতাদের এ তথ্যের সঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগও একমত পোষণ করেছে।
খামারিরা বলছেন, খামারের উৎপাদন খরচ, খাদ্য, ওষুধ ও বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়া ও বার্ড ফ্লুর সংক্রমণের কারণে পোলট্রি শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন খামারিরা। তাঁদের অনেকে খামারের যন্ত্রাংশ বিক্রি করে সে স্থানে ঘরবাড়ি করেছেন।
কেউ কেউ অন্য ব্যবসায় যাচ্ছেন। পোলট্রি শিল্প গুটিয়ে যাওয়ায় মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী (হ্যাচারি) ও খাদ্য ব্যবসায়ীরাও লোকসানে পড়েছেন। তাঁরাও বাধ্য হয়ে পেশা পাল্টাচ্ছেন। অথচ গাজীপুরকে একসময় পোলট্রি শিল্পের রাজধানী বলা হতো। দেশের অন্তত ৫০ ভাগ পোলট্রিজাত মাংস ও ডিম সরবরাহ হতো এ জেলা থেকে।
ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার মোতালেব হোসেন বলেন, ‘নানা সমস্যা থাকার পরও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গত বছর বার্ড ফ্লু দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত খামার বন্ধ করে দিয়েছি। এখন রড-সিমেন্টের ব্যবসা করছি। ’
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলেছে, প্রতিনিয়ত খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। গত জানুয়ারিতে ডিম উৎপাদন হয়েছে ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬টি, ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয়েছে ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৭টি।
আর মার্চে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৭১টি ডিম পাওয়া গেছে।
পোলট্রি শিল্প রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহসিন জানান, ২০১০ সালের ২০ জুন জেলায় মুরগির খামার নিয়ে একটি জরিপ হয়। তিন সদস্যদের একটি কমিটি এতে অংশ নেয়। জরিপে জেলায় ১১ হাজার ১৩৩টি খামার ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের জুন থেকে ২০১১-এর জুন পর্যন্ত এক বছরে এক হাজার ৮৮৯টি মুরগির খামার বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত বছরের ৬ জুন পর্যন্ত জেলায় লেয়ার মুরগির খামার ছিল পাঁচ হাজার ২৬১টি, ব্রয়লার খামার ছিল তিন হাজার ৯৬৯টি এবং হাঁসের খামার ছিল ১৪টি। বছরের শেষ দিকে এসে দেখা গেছে, মোট নয় হাজার ২৪৪টি খামারের মধ্যে ৪৭ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। সেই হিসাবে মাত্র ছয় মাসে বন্ধ হওয়া খামারের সংখ্যা চার হাজার ৩৪৫টি। অর্থাৎ দেড় বছরে জেলায় মোট ছয় হাজার ২৩৩টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বেশ কয়েকটি খামার বন্ধ হয়েছে।
তবে সেগুলোর হিসাব দিতে পারেননি পোলট্রি শিল্প রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আতাউর রহমান জানান, জেলায় নিবন্ধিত লেয়ার খামার আছে দুই হাজার ৫৯০টি ও ব্রয়লার খামার দুই হাজার ১১৫টি। মোট নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা চার হাজার ৭০৫টি। এর তিন ভাগের দুই ভাগই বন্ধ আছে। তবে নিবন্ধিত খামারের বাইরেও বহু খামার আছে।
পোলট্রি শিল্প রক্ষা জাতীয় কমিটি খামার বন্ধের যে হিসাব, তা বাস্তবতার সঙ্গে মিল আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৭ মার্চ গাজীপুর সদর উপজেলার বানুয়া, হাঁড়িনাল, বাড়িয়া, সুকন্দি, মারিয়ালী, আমুনা, তিতারকুলসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় ৫০টির মতো খামার রয়েছে। একটি ছাড়া বাকিগুলোতে মুরগি নেই, ফাঁকা পড়ে আছে। অনেকে মুরগির খামারকে গোয়ালঘর বানিয়ে সেখানে গরু-ছাগল রাখছেন। কেউ বানিয়েছেন বাসাবাড়ি।
অনেকে আবার খামার চালুর অপেক্ষায় আছেন।
একই চিত্র দেখা গেল কালিয়াকৈরের সফিপুর, মৌচাক, ভান্নারা, ফুলবাড়িয়া, গাছাবাড়ি; শ্রীপুর উপজেলার কাওরান বাজার, জৈনাবাজার, তেলিহাটী, আবদার, যুগিরসটি, মুলাইদ, তালতলি ও উদখালী এলাকায়।
কালিয়াকৈরের হক অ্যান্ড সন্স পোলট্রি খামারের মালিক শাহীন আলমগীর জানান, শুরুর দিকে ভালো ব্যবসা হয়েছে। রোগ-বালাইয়ের কারণে মুরগি মারা যাওয়ায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে খামার বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘খামারের ঘর সংস্কার করে গুদাম বানিয়ে ভাড়া দেব ভাবছি। ’
জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মোল্লা জানান, গাজীপুরের মালিকদের মুরগির খামার এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বার্ড ফ্লু হয়ে একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রোগবালাই ছাড়াও খাদ্য, বাচ্চা ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে দিন দিন খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
রিপোর্টারঃ মাসুদ রানা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
Click This Link
*****************************
বৃটেনে সেই ২০০৯ সালে এসে Iceland নামক ডিপার্টমেন্টাল সুপার ষ্টোর হতে ১ পাউন্ডে এক ডজন ডিম এই ২০১২ সালেও কিনতে পারছি।
যখন বাংলাদেশ ছাড়ি ঐ ২০০৯এ এক হালি ডিম ২২ হতে ২৪ টাকা করে কিনতাম। এখন এটা প্রায় ৪০ টাকা হালি যা ডজনে ১২০ টাকা! তাইলে বৃটেন ও বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যে পার্থক্য কি রইল? দেশের উৎপাদিত ডিম ও মুরগীর গোশত আমাদের যদিও বেশী দাম দিয়ে কিনছি তাতে অন্তত ভারতীয় এই পোল্ট্রির জিনিস আমদানী না করাতে শত কোটি টাকার সমমান ডলার বেচে যাচ্ছে। কিন্তু উপরোক্ত রিপোর্টে যা দেখলাম তাতে ভয় পাচ্ছি। ৬ হাজার পোল্ট্রি ফার্ম তাতে অন্তত পক্ষে ৩ জন করে জড়িত হলে তাদের পরিবার আরো ৩ জন! মোট ৩৬ হতে ৪০ হাজার লোকের ভাগ্য জড়িত। এরা এখন অন্য পেশায় চলে গেলে নির্ঘাৎ ভারতীয় ডিম ও মুরগী এই স্থান দখল করবে।
২০০৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে হাসিনার সস্তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ঘরে ঘরে একটি চাকুরী সহ ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগানে মূখরতি ছিল। কৃষক, শ্রমিক ও ছোট ব্যাবসায়ীরা আজকে আর যথাযথ সরকারী সহায়তা পাচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে সরকার তাদের ভর্তূকী দিবে। কিন্তু দিক নির্দেশনা বিশেষ করে পোল্ট্রির জন্য খাদ্য, চিকিৎসা যদি সহজলভ্য করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখত তাহলে এভাবে পোল্ট্রি শিল্পের খরচ বাড়ত না। আর একটি ডিমের দামও ৭-৮ টাকার বেশী হত না।
কিন্তু কোথায় সরকারী উদ্যোগ? সবাইকেই সরকারী চাকুরী দেওয়ার কথা বর্তমান দুনিয়ায় কোথাও এমনকি কিউবাতেও কেও বলে না। কিউবাতেও এখন বেসরকারী খাত আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। এমনকি সরকারও যে সরাসরি বেসরকারী কোন ক্ষেত্রে সবার চাকুরী ব্যাবস্থা করবে সেটাও কেউ বলছে না। বাংলাদেশে সরকারের মুখে বড় বড় বুলি থাকলেও কাজের বেলায় তার সামঞ্জস্যতা খুজে পাওয়া যায় না। এই ৬ হাজার পোল্ট্রির সাথে জড়িতরা কি তবে হাসিনার দ্বারা কোন ভাল চাকুরী পেল? এইভাবে সরকার সব কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে সীমাহনী ব্যার্থতাই দেখিয়ে চলছে।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ মূল সব ক্ষেত্রেই সীমাহীন ব্যার্থতা। সরকারের মেয়াদের শুরুতেই কোন বলিষ্ঠ উদ্যোগ না নেওয়াতে সব বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। তারপরেও হাসিনার কৃষি মন্ত্রী মতিয়া বলছে আলীগ এলে নাকি জনগণ কিছু পায়;
Click This Link
হাসিনার ওয়াদাকৃত ১০ টাকা/কেজি চাল ৪০ টাকা জোট আমলের ৪ টাকার একটি ডিম ১০ টাকা এই পাওয়া যদি হয় তাহলে এটা কিছু হবে কেন? এটা অনেক অনেক বেশী পাওয়া। কথায় হাসিনা ও তার বাকশালী গং বলে যে ১৯৭৫-৯৬ দেশ পিছিয়ে গেছে। কিন্তু তখন যে তার বাপের আমলের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ছিল না ৪০০ টাকা মণ চালের দাম ছিল না সেটা আর ভুলেও মুখে আনে না।
আজকে তাই হাসিনার মহাজোট দেশকে এখন বন্ধক দিয়ে ঋণ নেওয়ার ইচ্ছ পোষণ করছে! তাই আর দেড়ী কেন এটা করেও ষোল কলা পূর্ণ করুক!
আল্লাহর কাছে দোয়া করি বৃটেনে যেন স্থায়ী হতে পারি। এই দেশে আর যাই হৌক প্রধানমন্ত্রী জনগণ ও সংসদে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এমনকি রাজা-রাণীও দেশটাকে তাদের বাপের জমিদারী মনে করে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।