বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... গোটা ভারতে জুড়েই বার্ড ফ্লু। বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এতে কমে গেছে ডিম খাওয়ার প্রবণতা। ফলে ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে কেনাবেচা। আর ঠিক এ সময়ে ভারত থেকে ডিম ও মুরগির বাচ্চা এসে ঢুকছে বাংলাদেশে।
প্রথম দিকে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আপত্তির মুখে অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সামপ্রতিক সময়ে ভারতে ব্যাপকহারে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ধরা খাওয়ার ভয়ে অবৈধ পথ বেচে নিয়েছেন। গত প্রায় এক মাস ধরে এভাবেই ডিম এসে ঢুকছে বাংলাদেশে। আর তাই ধীরে ধীরে দেশের বাজার সয়লাব হচ্ছে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ভারতীয় ডিমে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হলেও এ নিয়ে সরকারি তরফে কোন ভাবনা নেই।
ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকানোর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগেরই। এ তথ্য জানান রাজধানীর ডিম ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত মুরগি নিধন শুরু হলে দেশে ডিমের জোগান হ্রাস পায়। এতে দ্রুত বাড়তে থাকে দাম। ঠিক এ অবস্থায় বাজার দখল করতে কিছু ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ডিম নিয়ে আসছেন।
বার্ড ফ্লুর প্রকোপে দেশী ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ডিম আনছেন। দেশী ডিমের চেয়ে কিছুটা কম দাম হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরাও অধিক লাভের আশায় এগুলো বিক্রি করছেন। রাজধানীর সবচেয়ে বড় ডিমের আড়ৎ কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ডিম আসছে। বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎস থেকে যোগান কম। এ অবস্থায় ভারতীয় ডিম না এলে দাম এখন যা তা থেকে প্রায় দ্বিগুণ হতো।
অবশ্য তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়ত ফায়সাল ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, ভারতীয় ডিম এভাবে ঢুকলে দেশের পোল্ট্রি ফার্ম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বাজার ভারতের দখলে যাবে। ভারতীয় ডিমে পুষ্টিমান যেমন কম, তেমনি দামেও সস্তা। তাই লাভ বেশি। এজন্য সুযোগ পেলেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেদিকেই ঝুঁকবেন।
এদিকে এখানকার আরেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন ভারতীয় ডিমে ভেজাল বেশি। অভিযোগ আছে মুরগির ডিম বলে তারা কচ্ছপের ডিম চালিয়ে দেয়। যা সাধারণ দৃষ্টিতে ধরার উপায় নেই। দেখতে এগুলো ঠিক মুরগির ডিমের মতোই মনে হয়। মিয়ানমার থেকেও ডিম বাংলাদেশে ঢুকছে বলে তিনি জানান।
শুধু ডিমই না, অনেকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত বাচ্চাও আমদানি করছেন। এমন অভিযোগ করা হচ্ছে ব্যবসায়ী মহল থেকে। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ভারত থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি করায় দেশের ভেতরে ফ্লু সংক্রমণের হার বেড়েছে। তা ছড়িয়ে পড়ছে আরও দ্রুত। বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের এক নেতা জানান, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুমিল্লা, গাজীপুরসহ দেশের প্রায় সর্বত্রই বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২০০৭-০৮ এর আগে বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ পোল্ট্রি খামার ছিল। কিন্তু ওই সময় দেশে ব্যাপক আকারে বার্ড ফ্লু দেখা দিলে খামারিরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। লোকসান হয় প্রায় প্রায় ৫,৩০০ কোটি টাকা। লোকসানের ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে একে একে অনেকেই তাদের খামার গুটিয়ে ফেলেন। বর্তমানে সারা দেশে খামারের সংখ্যা এসে ঠেকেছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজারে।
গত মাসে গড়ে প্রতিদিন ডিম উৎপাদন ২৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ছিল। কিন্তু চলতি মাসে তা হ্রাস পাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। গতকাল ডিমের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে দাম এখনও আগের মতো। ব্রয়লারের লাল রঙের প্রতি একশ’ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ টাকা। আর সাদা রঙের ডিম ৭৫০ টাকা।
একই ডিম প্রতি শ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ১০০০ টাকা। প্রতি হালি ৩৭ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বার্ড ফ্লু দেখা দেয়ার পর থেকে মুরগির বাচ্চার দামও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। ১৫ টাকা যে বাচ্চা কেনা গেছে কিছু দিন আগে এখন সেটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর লাল রঙের বয়লার মুরগী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
সাদা রঙের মুরগী ১৫০ টাকা।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।