আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে সম্মাননা পেলেন তাঁরা

অবশেষে স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সম্মাননা পেলেন বিদেশি বন্ধুরা। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের পাশে ছিলেন বন্ধুর মতো। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আবেগঘন পরিবেশে তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় ২১ জন নিজে উপস্থিত থেকে এবং বাকিদের প্রতিনিধিরা তাদের সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হয় ৮ জনকে এবং মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় ৭৪ জনকে।

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিখচিত সোনায় মোড়ানো রূপার পাতের একটি স্মারক এবং সিল্কের কাপড়ে লেখা অভিনন্দন বার্তা তুলে দেন। দেশবাসীর পক্ষ থেকে সম্মাননাপ্রাপ্তদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, যেসব বিদেশি বন্ধু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের সম্মাননা দিতে পারাটা আমাদের জন্য গৌরবের। তিনি বলেন, ভারতের নারন্দা, অনন্তপুর, আগরতলায় শরাণার্থী শিবিরে অনেক বিদেশি এসে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। সে ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী।

তাই ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়মিত সৈন্য পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। তাদের সম্মাননা দিতে পেরে গোটা জাতি আজ গর্বিত। তাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেদেরও সম্মাননা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব বিদেশি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন তাদের সম্মাননা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আমরা চেষ্টা করব আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যকারী প্রতিটি বন্ধুকে সম্মাননা জানাতে। সারাবিশ্বের যে যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছেন তাদের পর্যায়ক্রমে সম্মাননা জানানো হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশি বন্ধু এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের কাছে আমরা ঋণী। সেই দুঃসময়ের বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ আয়োজন। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালের ৭ মার্চ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিয়েছিল।

এবার ক্ষমতায় এসে প্রথমে শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীকে স্বাধীনতা সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি বিদেশি বন্ধুদের অবদান সম্পর্কে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যিনিই বাংলাদেশের পক্ষে একটি কথা বলেছেন তাই কাজে লেগেছে। আমি মায়ের সঙ্গে বন্দি ছিলাম। আমাদের কাছে একটি রেডিও ছিল। রেডিওতে আমরা বিবিসি ও আকাশবাণী শুনতাম।

দেখেছি বিদেশিরা কীভাবে আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, কেউ লিখে সাহায্য করেছেন, কেউ শরণার্থী শিবিরে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার অনেক বিদেশি আমাদের মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আবার অনেকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বিদেশি সাংবাদিক জীবনবাজি রেখে যুদ্ধের সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

এ কারণে অনেকে তাদের নিজ দেশে জেল খেটেছেন আবার অনেকের চাকরি গেছে। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে আহতদের সেবা করে সুস্থ করে তুলেছেন। বিদেশি অতিথিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলা এমপি মাইকেল বার্নস। এ সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, দার্শনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী, কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক এবং বেশ কয়েকটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।

দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ বন্ধুত্ব উদযাপনের দিন। আজ আমরা উপলব্ধি করছি ৪১ বছর আগে কীভাবে বিদেশিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন। আজকের দিনটি ঐতিহাসিক বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের আয়োজনের ফলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় থাকবে সম্মানিত বিদেশি বন্ধুদের। মাইকেল বার্নস বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পড়ে শোনান। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান। স্বাধীনতার এতো বছর পর সরকার এই উদ্যোগ নেওয়ায় অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। অবশেষে স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সম্মাননা পেলেন বিদেশি বন্ধুরা।

যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের পাশে ছিলেন বন্ধুর মতো। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আবেগঘন পরিবেশে তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় ২১ জন নিজে উপস্থিত থেকে এবং বাকিদের প্রতিনিধিরা তাদের সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হয় ৮ জনকে এবং মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় ৭৪ জনকে। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিখচিত সোনায় মোড়ানো রূপার পাতের একটি স্মারক এবং সিল্কের কাপড়ে লেখা অভিনন্দন বার্তা তুলে দেন।

দেশবাসীর পক্ষ থেকে সম্মাননাপ্রাপ্তদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, যেসব বিদেশি বন্ধু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের সম্মাননা দিতে পারাটা আমাদের জন্য গৌরবের। তিনি বলেন, ভারতের নারন্দা, অনন্তপুর, আগরতলায় শরাণার্থী শিবিরে অনেক বিদেশি এসে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। সে ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়মিত সৈন্য পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। তাদের সম্মাননা দিতে পেরে গোটা জাতি আজ গর্বিত। তাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেদেরও সম্মাননা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব বিদেশি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন তাদের সম্মাননা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যকারী প্রতিটি বন্ধুকে সম্মাননা জানাতে।

সারাবিশ্বের যে যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছেন তাদের পর্যায়ক্রমে সম্মাননা জানানো হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশি বন্ধু এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের কাছে আমরা ঋণী। সেই দুঃসময়ের বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ আয়োজন। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালের ৭ মার্চ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিয়েছিল। এবার ক্ষমতায় এসে প্রথমে শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীকে স্বাধীনতা সম্মাননা দেওয়া হয়।

তিনি বিদেশি বন্ধুদের অবদান সম্পর্কে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যিনিই বাংলাদেশের পক্ষে একটি কথা বলেছেন তাই কাজে লেগেছে। আমি মায়ের সঙ্গে বন্দি ছিলাম। আমাদের কাছে একটি রেডিও ছিল। রেডিওতে আমরা বিবিসি ও আকাশবাণী শুনতাম। দেখেছি বিদেশিরা কীভাবে আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, কেউ লিখে সাহায্য করেছেন, কেউ শরণার্থী শিবিরে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার অনেক বিদেশি আমাদের মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আবার অনেকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বিদেশি সাংবাদিক জীবনবাজি রেখে যুদ্ধের সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে অনেকে তাদের নিজ দেশে জেল খেটেছেন আবার অনেকের চাকরি গেছে।

অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে আহতদের সেবা করে সুস্থ করে তুলেছেন। বিদেশি অতিথিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলা এমপি মাইকেল বার্নস। এ সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, দার্শনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী, কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক এবং বেশ কয়েকটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ বন্ধুত্ব উদযাপনের দিন।

আজ আমরা উপলব্ধি করছি ৪১ বছর আগে কীভাবে বিদেশিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন। আজকের দিনটি ঐতিহাসিক বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের আয়োজনের ফলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় থাকবে সম্মানিত বিদেশি বন্ধুদের। মাইকেল বার্নস বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পড়ে শোনান। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান। স্বাধীনতার এতো বছর পর সরকার এই উদ্যোগ নেওয়ায় অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।