আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে যায় তাজা তাজা প্রাণগুলো, হারিয়ে গেলো জাবেদ হোসাইন,কিন্তু আর কতো??

© এই ব্লগের কোন লেখা আংশিক বা সম্পূর্ণ আকারে লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। ঢাকা, ২১ মার্চ, ফোকাস বাংলা নিউজ: আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর এক শিক্ষার্থী যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মঙ্গলবার রাতে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় মহাখালীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে পুলিশ তাকে ভর্তি করে। এখন তার অবস্থা আশঙ্খাজনক। তিনি আরকিটেকচার বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র।

তার নাম মো. জাবেদ হোসাইন। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আহত হোসাইন কোন চিকিৎসা পাননি। রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনি হাসপাতাল মেঝেই পড়ে ছিলেন। পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার চিকিৎসার ব্যাপারে কোন খবর নেননি। পড়ে তার বন্ধুরা খবর পেয়ে হাসপাতালে যান।

এখনো কোন প্রাথমিক চিকিৎসা কেন করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার বন্ধুরা জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বলেন, টাকা ছাড়া চিকিৎসা হয়না। এরপর তার বন্ধুরা টাকা দিলে তার চিকিৎসা করা হয়। তার এক বন্ধু দীপ্ত অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আমার বন্ধুর অবস্থা এখন আশঙ্খাজনক। সে এখন মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। -----------এই পোস্টটি জানতে পারি ফেসবুকের মাধ্যমে, পরে আমার পরিচিত এআইউবির আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের পরিচিত স্টুডেন্টদের কাছে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হই।

আজকে কিছুক্ষন আগে শুনতে পাই, এতোদিন যাবত তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না দেখে অবশেষেপরিবারের অনুমতিসাপেক্ষে তার লাইফ সাপোর্টটি খুলে ফেলা হয়েছে। আর এভাবেই একটা তাজা প্রাণ ঝরে গেলো। আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেলো জাবেদ হোসাইন। কতো স্বপ্নের অপমৃত্যুই না হলো আজ !!!! কিন্তু এভাবে আর কতো? আহত অবস্থায় নিথর হয়ে যখন জাবেদ পড়ে ছিলো/ কোথায় ছিলো সেই তথাকথিত মানবতা? আজকে যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করি, কি লাভ হবে? টাকা আর ক্ষমতার জোরে হয়রানি হতে হতে একসময় জাবেদের পরিবার বাধ্য হবে মামলা প্রত্যাহার করতে। মামলা কন্টিনিউ করে কি লাভ হবে? সেই জাবেদকে কি আমরা ফিরে পাবো? এখন সময় উঠেছে জেগে উঠবার।

জাবেদের মতো আমি, আপনিও একদিন হতে পারি এই ভয়ংকর পরিণতির ভিক্টিম। লাখ লাখ টিউশান ফির টাকা দিয়ে স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করে, একটা ইউনিভার্সিটিতেও হেলথ ইনস্যুরেন্স নামক কোনো সিস্টেম নেই। হসপিটাল ফর্মালিটি, পুলিশ ভ্যারিফিকেশান আর টাকা পয়সার জালে আর কতো প্রাণ ঝরে যাবে? আপনারা সবাই জাবেদের বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন। মনটা ভীষন খারাপ। বেশি কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।