অটিজম চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় অটিজম উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা হোসেন।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মিট দ্য প্রেস-এ তিনি বলেন, “অটিজম আক্রান্তদের চিহ্নিত করার আগে প্রফেশনাল ট্রেনিং দরকার। যারা কমিউনিটি লেভেলে কাজ করেন তাদের এ ব্যাপারে শেখাতে হবে।
“এটা কী এবং কীভাবে তা নির্ণয় করা যায়। কারণ তারাই সব থেকে বেশি কাজ করেন।
”
দেশে অটিজম আক্রান্তের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই বলেও এ সময় উল্লেখ করেন সায়মা।
বাংলাদেশে অটিজমের পরিস্থিতি কী সে বিষয়ে বেশি কাজ হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা বলেন, বাংলাদেশে এর অবস্থাটা দেখা অত্যন্ত দরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাহায্য নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিয়াজোঁ করতে হবে।
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে অটিজম সম্মেলনের পর এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করেন সায়মা।
তিনি জানান, অটিজম বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ, মহিলা ও শিশু, শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে।
অটিজম নিয়ে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত দেন সায়মা।
“ক্যান্সার আক্রান্তদের সনাক্তের চেয়ে অটিস্টিক শিশুদের সনাক্তকরণ অনেক বেশি কঠিন। ”
গত বছরের ২৫ ও ২৬ জুলাই ঢাকায় অটিজম সম্মেলন হয়। ভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ওই সম্মেলনে ‘দক্ষিণ এশীয় অটিজম নেটওয়ার্ক’ গঠন করা হবে বলে আশা করা হয়।
সায়মা জানান, সম্মেলনের পর এ সংক্রান্ত ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন এখানে কাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত জানান, এশিয়ার সবগুলো দেশ অটিজম নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাইছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বলেন, “প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিতকরণে জরিপ চলছে। দেশের ১০ শতাংশ লোক বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে এক শতাংশ অটিজমে আক্রান্ত।
”
“জরিপ অনুযায়ী সারাদেশে ১৬ থেকে ১৭ হাজার অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তবে ডোর টু ডোর সার্ভে করে প্রকৃত সংখ্যা বের করতে হবে,” যোগ করেন মন্ত্রী।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস জানান, দেশের সাত বিভাগের আটটি উপজেলায় পাইলট ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী জরিপ কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার আইন-২০১১’ এর ওপর মতামত নেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভোট নিয়ে এটিকে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান সচিব।
ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত মিট দ্য প্রেস-এ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবন্ধী বিষয়ক আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ অলকা গুহ উপস্থিত ছিলেন।
লিন্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।