আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কড়া নিরাপত্তায় ঢিলেঢালা হরতাল

বুধবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অলিগলিতে হরতালের সমর্থনে বিক্ষিপ্ত মিছিলের খবর পাওয়া গেলেও হরতালের প্রথম দুই ঘণ্টায় বড় কোনো গোলোযোগ ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হরতালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে আছেন। সকাল থেকেই রাজধানীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে। সংখ্যায় কম হলেও রাস্তায় গণ পরিবহন চলতে দেখা গেছে।
হরতালের কারণে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ থেকে অধিকাংশ দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে রেল ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সকালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে হরতালের সমর্থনে ছাত্রদল কর্মীদের মিছিল থেকে একটি হাতবোমা ফাটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তারা চলে যায়।
পুরান ঢাকার কলাতলীতে ও মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে ছাত্রদল এবং সবুজবাগে যুবদল কর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল করে। আগারগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

 
৫ মে সকালে ঢাকার প্রবেশপথগুলো অবরোধ করার পর দুপুর থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ শুরু করে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা, যারা কথিত ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ শাস্তি ও নারী নীতি বাতিলসহ ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে।
মতিঝিলে হেফাজতের অবস্থানের মধ্যেই দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পল্টন-গুলিস্তান, বিজয়নগর, কাকরাইল পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। পুড়িয়ে দেয়া হয় অসংখ্য দোকান, গাড়ি। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে মতিঝিল থেকে তাদের সরিয়ে দেয় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি।
বুধবার সকালে পল্টন ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হরতারের মধ্যেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।

সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে এসব এলাকায়।   
নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অন্যান্য হরতালের দিনের মতোই ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু কার্যালয়ের ভেতরে থাকলেও বাইরে নেতাকর্মীদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।   
মতিঝিল পুলিশের উপ কমিশনার মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “গতকালও এখানে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়েছে। হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত আছি।

” 
৫ মে পল্টন-গুলিস্তানে হামলা-সংঘর্ষ-ভাংচুরের পরপরই পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হেফাজতের নামে এই তাণ্ডবের পেছনে বিএনপিও জামায়াত কর্মীরা রয়েছে।  
অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজতকে মতিঝিল থেকে তুলে দেয়ার পর সোমবার রাতে দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে হরতাল কর্মসূচি চূড়ান্ত করেন খালেদা জিয়া, যিনি আগেই হেফাজতের ‘পাশে থাকার’ ঘোষণা দিয়েছেন।  
হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “রোববার রাতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির যৌথ অভিযানে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হাজার হাজার আলেম-উলামাকে হত্যা করা হয়েছে। ”
১৮ দলের এই হরতালে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
এর আগে শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ও ১৯ মার্চ, ২৭ ও ২৮ মার্চ, ৯ ও ১০ এপ্রিল এবং ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ৩৬ ঘণ্টা করে হরতাল করে ১৮ দলীয় জোট।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।