আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুরুঞ্জিত এখন কি বলবেঃ বিপদে পড়লে আম্লীগ হেফাজতে ইসলামের পায়ে ধরে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ‘বিপদে পড়লে আ.লীগ আমাদের পায়ে ধরে’ জাতীয় শ্রমিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম তালুকদার বলেন, বিপদে পড়লে আওয়ামী লীগ আমাদের পায়ে ধরে আর বিপদ কেটে গেলে চিনে না। এটা হতে পারে না। জাতীয় পার্টি মহাজোটে আসার পর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তেমন কোনো মূল্যায়ন না পাওয়ায় এ ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কদর বাড়ছে। এবার এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে বহুল আলোচিত অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সামনের নির্বাচনে হেফাজত-এরশাদ প্রধান ফ্যাক্টর হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে সব প্রাšত্ম থেকে। চার সিটি নির্বাচনে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীর জয় হওয়ায় এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামকে। চার জায়গাতেই আটঘাট বেধেই সরকার সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন তারা। হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে সরকার।

চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবি হেফাজতের ভোটে হয়েছে ‘বোধোদয়’ হওয়ায় গাজীপুরে ভোটের আগেই সরকার অরাজনৈতিক সংগঠনটির সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে। সরকার হেফাজতের ভোটে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে চাচ্ছে। গাজীপুর নির্বাচনের আগেই সমঝোতার লক্ষে ‘নরম-গরম’ পন্থা অবলম্বন করেছে। আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করে সারাদেশের আলেমদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, মসজিদ মাদ্রাসায় কর্মরত আলেমদের ওপর হুমকি-ধমকি, জুলুম নির্যাতন বন্ধ এবং আলেমদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাওলানা আহমদ শফীর বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়।

কিন্তু রমজানের আগে হেফাজত আমীর এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে সরকার পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও প্রত্যেকটি নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও হেফাজত ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চার সিটিতে সরকারি দলের প্রার্থীদের ভরাডুবির পর সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হেফাজতের লোকেরা সেদিন মরেনি, গায়ে রঙ মেখে সেদিন রাতে শাপলা চত্বরে শুয়েছিল। অনেকে নিহতের ভান করে পরে উঠে দৌড় দিয়েছে।

এমন বক্তব্য আরো ক্ষিপ্ত করে তুলছে হেফাজত সমর্থিত আলেম-ওলামাদের। এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেফাজত নিয়ে ভোটের মাঠে যে বেগ পেতে হচ্ছে তা অকপটেই স্বীকার করেছেন মহাজোট সমর্থিত আজমত উল্লাহর পক্ষের নির্বাচনী কাজে থাকা বেশ কয়েকজন। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোট চাইতে গেলেই প্রথমেই বাধ সাজে মহিলারা। তারা বসতে দিয়ে জানতে চান-মার্কা-টার্কা বুঝি না কোন দলের প্রার্থী। যদি বলা হয় আওয়ামী লীগ, তাহলে মুখের ওপর বলে দেন আপনাদের ভোট দিতে পারবো না।

কারণ হিসেবে তারা শাপলা চত্বরের ওই রাতের কথা উল্লেখ করেন। হেফাজত নেতারা বলেছেন, সরকার চার সিটি নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামের নিরব ভোট বিপ্লবে পরাজিত ও দিশেহারা হয়ে এখন আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে। আমাদের বিশ্বাস, তাদের এমন ইসলাম বিদ্বেষী ঔদ্ধত্যপূর্ণ উপহাসের জন্য চার সিটি নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও শান্তিকামী তৌহিদি জনতা উপযুক্ত জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ। হেফাজত সূত্র জানায়, ৫ মে’র পর সংগঠনটি খানিকটা পিছু হঠেছিল। এখন আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

এজন্য নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতি দিচ্ছেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। দেশের বিভিন্ন জেলার, থানা কমিটি তাদের সর্বোচ্চ এই নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিক নির্দেশনা নিচ্ছেন। এছাড়াও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিন কোথাও না কোথায় সংগঠনের ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের কৌশল ঠিক করতে বৈঠক করেছেন বিভিন্ন এলাকার শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে। ঈদের পর কর্মসূচি দেয়ার কথাও ভাবছে সংগঠনটি। এদিকে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে শুরু হয়েছে বড় দুই দলের টানাটানি।

জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদ মহাজোট ত্যাগ করার ঘোষণা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন আ.লীগ। আগামী নির্বাচনে তাকে কাছে পেতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে আ.লীগ। মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার এ বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক থেকে বের হয়ে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ। অনেকদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি, কথা হয়নি। এ কারণেই তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। ’ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও আগামী নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে- তা নিয়েও কথা হয়েছে।

এছাড়া সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ’ এরআগে তার সাথে দেখা করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাতীয় পার্টি মহাজোটে আসার পর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তেমন কোনো মূল্যায়ন পায়নি। এ জন্য জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা মহাজোট ছাড়তে এরশাদকে অনেক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছেন। এরশাদও বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি যথাসময়ই সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইতোমধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্যরা তাকে মহাজোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। চার সিটির নির্বাচনে শাসক দলের ভরাডুবির পর পার্টিতে মহাজোট ছাড়ার চাপ বেড়েছে। জাতীয় পার্টির নেতারা বলেন, মহাজোট আরো দুই বছর আগেই ত্যাগ করা দরকার ছিল। মহাজোটে থেকে আমরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছি। বিনিময়ে সরকার থেকে কোনো সুবিধা তো দূরের কথা বরং বিমাতাসূলভ আচরণের শিকার হয়েছি।

সব মিলিয়ে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এরশাদ-হেফাজতের কদর বাড়ছে। রিপোর্টারঃ এম এ আহাদ শাহীন Click This Link ************ কয়েকদিন আগে সুরুঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছিল "মতিঝিলের শাপলা চত্বর হতে হেফাজতের কর্মীরা সুবহানল্লাহ সুবহানল্লাহ বলে ভাগছে"। আজকে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচনে জিতার জন্য হন্য হয়ে হেফাজতের দ্বারস্থ হয়েছে। তাই ভাবছিলাম কালো বিড়াল খ্যাত এই চুরুঞ্জিত বাবু কি বলবে? মনে হয় ইব্লিশ শয়তানের রুচিতে বাধবে এই ধরণের ইউটার্ণ নেওযার জন্য!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।