অপ্রিয় এবং অবাঞ্ছিত... নেট শেষ, রিচার্জ করতে হবে। বাসা হইতে লিফট দিয়া ৫তলা হইতে নামিয়া দুই পা ফেলিয়া আবাসিক এলাকা বাইরে প্রবেশ দ্বারের পার্শ্বে রিচার্জ করিবার দোকান অবস্থিত। সকাল তখন ১০টা। ভাবলাম, বিদ্যার্জন করতে যাবার পথে রিচার্জ করে যাব।
বাসা থেকে বের হয়ে লিফটের কাছে গিয়েই এক অভাবনীয় ব্যাপার দেখলাম।
পড়শি, উরাধুরা টাইপ সুন্দরী এয়ারহোস্টেস লিফটের জন্য অপেক্ষা করছে। সুন্দরী তার গগলস টাইপ রোদচশমার ফাঁক দিয়ে আমাকে দেখার আগেই প্যান্টটা কোমরের সঠিক জায়গায় টেনে ঠিক করে ভাব নেওয়া শুরু করলাম। মনে মনে চিন্তা করতেছি, সুন্দরী যে অটোরিকশায় উঠবে, আমিও সেটাতেই উঠবো। অন্তত ১৫ মিনিট সুন্দরীর সঙ্গলাভ হবে। হঠাত মনে পড়ল, আরে এখনই অটোতে উঠলে তো চলবে না! আগে নেটের বিল দিতে হবে, নাইলে কালকের আগে লাইন পাবো না! বিরাশ বদনে বিমানবালার পাশ কাটায়া লম্বা লম্বা কদমে এগোতে থাকলাম।
কিছুদূর এগিয়ে দেখলাম, ভার্সিটির এক সিনিওর হার্টথ্রব আপু, সেও আমার পড়শি, অটোরিকশায় উঠছে। অন্তত ৫জন যাত্রীবাহী অটোর বাকী ৪টা সিটই ফাঁকা। তেনার লগে ইজিলি টাঙ্কি মারতে মারতে যাওয়া যায়। তখনই মনে হইল, ধুর, আরে এখনই অটোতে উঠলে তো চলবে না! আগে নেটের বিল দিতে হবে, নাইলে কালকের আগে লাইন পাবো না! বিরাশ বদনে হার্টথ্রব আপুর পাশ কাটায়া লম্বা লম্বা কদমে এগোতে থাকলাম।
দ্য পিপলস তুরাগে উইঠা আরেক কাহিনী।
মুরুব্বি ভদ্রলোকের পাশে আরেক সুন্দরী বসা। মুরুব্বিরে দেখে মনে গ্রাম থেকে আজই ঢাকায় এসেছেন, ছেঁড়া-ফাটা ব্যাগ নিয়ে ছেলের বাসায় যাচ্ছেন। এয়ারপোর্টে এসে সুন্দরী নেমে গেল। আমি বসলাম মুরুব্বীর পাশে। মুরুব্বী শুরু করলেন, "মেয়ে নিজেকে ভাবে কী! আমাকে মূর্খ মনে করেছে।
সে নাকি গার্মেন্টসে কিউসি'র জব করে। ৮হাজার টাকা বেতন পায় বলে। আরে মেয়ে, আমার বয়স হইলেও আমি সব বুঝি। আমি নিজে একটা বাইং হাউজের মালিক। ৪০হাজার টাকা বেতন দিয়ে কিউসি রেখেছি।
কিউসি মানে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার। " এরপর মুরুব্বি দামি ব্র্যান্ডের মোবাইলে আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন। আমি টাশকিত হয়ে গেলাম। বাইং হাউজের মালিক লোকাল বাসে কেন!
বোরিং ক্লাসের একমাত্র বিনোদন বান্ধুবী টিজিং। সেই ঘটনা নাই-ই কইলাম।
পুরান টপিক।
ক্লাস শেষে ভার্সিটির বাসে কইরা উত্তরা জসীমুদ্দিন যামু। আগের স্টপেজ রাজলক্ষ্মীতে কতিপয় সুন্দরী সহপাঠিনী নামবে, যাদের সাথে আমার 'সহপাঠিনী'র সম্পর্কের চেয়ে পঁচানোর সম্পর্ক অধিক গুরুত্ব পায়। তাদের নামার আগ মুহূর্তে ড্রাইভার মামারে কইলাম, 'মামা, ময়লা আছে কিছু, ফালাইয়া দিয়া যাও। ' সহপাঠিনীদের প্রতিক্রিয়া নাই বললাম।
আমার এলাকায় ফুচকা পার্টির মতলবে আমরা তিন দোস্ত দ্য পিপলস তুরাগে উঠলাম। লেডিস সীটে দেখি আমাদের সেই বুক-ধড়াশ করা সুন্দরী ম্যাডাম! আর পায় কে... (বুইঝা লন)। ম্যাডাম আর আমাদের স্টপেজ একই। বাস থেকে নেমেই ম্যাডাম মিষ্টি করে হেসে প্রতিবাদ করলেন, 'ভাড়া দিয়েছ কেন?' আমরা ততক্ষণে চালু হয়ে গেছি। ম্যাডাম জিগাসা করলেন, 'মিডটার্ম কেমন দিয়েছ?' আমরা বাকু বাকু হয়ে গেলাম।
ফুটওভার ব্রিজ পার হতে হতে ম্যাডামকে ফুচকা খাওয়ার অফারও দিলাম। ম্যাডাম বললেন, 'আজ না, সেমিস্টার ফাইনাল দাও। বন্ধের মধ্যে ফুচকা চলবে। ' আমরা বাকু বাকু হয়ে গেলাম। ম্যাডাম বললেন, 'আমার বাসা তো কাছেই, এসো।
' আমরা আবারও বাকু বাকু হয়ে গেলাম। তবে সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলাম, নিয়ম, ইউ নো!!
বাসায় এসে ল্যাপটপ অন করতেই আবার ম্যাডামকে দেখলাম। উনার একটা কিউট ফটো ওয়ালপেপার করে রেখেছি যে...!!
... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।