সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়। Click This Link তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াতের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আজ ১৯ মার্চ তৌকিরের মেজ বোন তানজিন হায়দার এ মামলা দায়ের করেন।
আজ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাত হোসেন বাদী তানজিন রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
৪ এপ্রিল তৌকির ও বিপাশাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সুইডেনপ্রবাসী তানজিন হায়দারকে তৌকির আহমেদ এবং শারমিন হায়াত বিপাশা একটি কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব দেন। পরে তাঁরা নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তানজিন হায়দার পুঁজি বিনিয়োগ, জমি ক্রয়, রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের জন্য তৌকির ও বিপাশাকে এক লাখ ৭৭ হাজার ৪৮২ মার্কিন ডলার এবং নগদ ১৫ লাখ টাকা দেন। তৌকিরকে বিশ্বাসের ভিত্তিতে এককভাবে টাকা উত্তোলনের ক্ষমতাও প্রদান করেন তানজিন হায়দার।
ওই টাকা থেকে তৌকির আহমেদ প্রথমে এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৮০ ডলার এবং পরে আট হাজার ৫০২ মার্কিন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেন তৌকির। বাদী তানজিনা হায়দার একজন অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও তৌকির এবং বিপাশা তাঁর মতামত ছাড়াই এককভাবে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জমি ক্রয়, রিসোর্ট ও কনভেনশন সেন্টার নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চেয়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর একটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো সভা না ডাকায় বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তৌকির ও বিপাশা জমিসহ সবকিছু নিজেদের নামে করে নিয়েছেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ও কনভেনশন সেন্টার থেকে উপার্জিত অর্থের লভ্যাংশ চেয়ে তৌকির ও বিপাশাকে এ বছরের ২৬ জানুয়ারি আইনি নোটিশ দেন বাদী তানজিনা হায়দার।
এরপর তাঁকে আপস-মীমাংসার প্রস্তাব দেন তৌকির ও বিপাশা। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, আপস-মীমাংসা না হওয়ায় চলতি মাসের ৭ তারিখে আরেকটি নোটিশ দেওয়া হয় আসামিদের। ওই নোটিশের জবাবে ৫০ শতাংশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তৌকির ও বিপাশা। এ কারণে আজ সোমবার তৌকির ও বিপাশার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ন্যায়বিচার চেয়ে তানজিন হায়দার এ মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে তৌকির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, ‘যে অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে, সেটা সত্যি নয়।
যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক এবং স্পর্শকাতর তাই যতটুকু না বললেই নয় এখন তা বলতে হচ্ছে। বাদীর কাছ থেকে আমি যে পরিমাণ টাকা নিয়েছি, সেটা তাঁকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। তার যথেষ্ট প্রমাণাদিও আমার কাছে আছে। উনি যে সম্পত্তির কথা বলেছেন, সেটা আমার ২০০০ সালেই কেনা। তার পর থেকেই সেটা শুটিংবাড়ি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।
ওঁর অন্যান্য যে অভিযোগ, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত। ’
তৌকির আহমেদ আরও বলেন, ‘তবে এটা ঠিক যে বাদী তানজিনা হায়দার (আমার মেজ বোন) আমার সঙ্গে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। তাই ২০১০ সালে উনি আমাকে বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা দেন। এটি অবশ্য ২৪টি কিস্তিতে আমাকে দেন।
একটা পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সব টাকা ফেরত দিয়ে দিই। ’
তৌকির আহমেদ বলেন, ‘সবশেষে আমি এটুকু বলতে চাই, আজ যেটা ঘটেছে, এটা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের কিছু ঘটবে, সেটা আমরা প্রত্যাশাও করিনি। ’
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।