আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন জটিল সমস্যায় পড়েছেন যা হাজার বার ভেবেও সমাধান করতে পারছেন না ? একটু অ্যালকোহল পান করুন , সমাধান হবার সম্ভাবনা আছে



আশা করি সবাই ভাল আছেন । সামনেই আসছে ২০১৪ । তাই সবার প্রতি আমার কামনা রইল নতুন বছর সবারই শুভ হোক ।
মূলত , এই লেখাটা আমার একটা ব্যাক্তিগত উপলব্ধি থেকে করা । বিষয়টা একটু খুলে বলি ।



আজ আমাদের ভার্সিটির ( খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ) পাশে একটা চায়ের দোকানে বসে আমি আর আমার চারুকলার এক বন্ধু চা সিগারেট খাচ্ছি । সাথে ২ জন ইউ আর পি এর বন্ধুও ছিল । হঠাৎ করে এমন একটা কথা উঠল যে, “চারুকলার পুলাপান সব সময় মদ গাজা খেয়ে বেড়ায় । ওদের মত থার্ড ক্লাস পুলাপান ভার্সিটিতে আর কোন ডিসিপ্লিনে নেই” । কথাটা শুনে খারাপ লাগল যদিও কথাটা সত্য ।

কারণ যারা চারুকলায় পড়ে থাকে , তারা এসব বিষয়ে সাধারণত রেগুলার হয় । তবে এরা সাধারণত খুবই ক্রিয়েটিভ হয় । এদের কাজ দেখে আমি মাঝে মাঝে অবাক হই যে একটা মানুষ কাঠ খড় দিয়ে, বা রং তুলি দিয়ে বা সাধারণ কাগজ দিয়ে এত সুন্দর একটা কিছু তৈরী করতে পারে ! আমি যদিও চারুকলার নই , ম্যাথের , তবুই কথাটা আমার মনে দোলা দিল । এর উপযুক্ত জবাব আমার আগেই জানা ছিল , তবুই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমি কোন কথা বলতে চাইছিলাম না । এবিষয়ে পরে গুগলে সার্চ দিলাম , আর আমার কথার পক্ষে যুক্তিও পেয়ে গেলাম ।

আর এ বিষয়েই আজ লিখব আমি এই পোষ্টে , যে এসব নেশা জাতীয় দ্রব্যের আসলেই কোন উপকারিতা আছে কিনা ।

মূলত সাধারণ নেশা জাতীয় দ্রব্য , যেমন গাজা , মদ এগুলোতে এমন কিছূ উপাদান থাকে যেগুলো মস্তিষ্কের একটা অংশে কাজ করে সে অংশকে সক্রিয় করে তোলে । ফলে নেশাগ্রস্থ মানুষ অনেক রকম উদ্ভট কাজও করতে থাকে । কিন্তু , খেয়াল করলে দেখা যাবে যে , নেশা করার সময় বা তার পরে সে ব্যাক্তির অন্য কোন দিকে তেমন মন থাকে না । সে যে কাজ করে , তা হয়ত একাধারে করতেই থাকে ।

যেমন , এটা খেয়ে অনেকে নিজের ব্যাক্তিগত অনেক গোপন কথাও বলে দেয় , কারণ , তখন তার সেদিকে মন থাকে না যে , এটা বলা তার নিজের পক্ষে ক্ষতিকর । সে যে কাজ করে তা করেই যায় । । কারণ , তখন তার মন শুধু ওই দিকেই নিবিষ্ট থাকে । তবে , অতিরিক্ত নেশা করারা কথা আলাদা সেই সাথে অতিরিক্ত উচ্চ পর্যায়ের নেশা যেগুলো মানুষের ব্রেনের কোন কোন অংশকে অকার্যকর করে দেয় ।

যেমন , এল এস ডি খেয়ে অনেকে বাড়ির সিড়ি দিয়ে নামছে মনে করে ছাদ থেকে লাফ দেয় বা অনেকে সৃষ্টিকর্তার সাথে ডাইরেক্ট কথাও বলে বলেও শোনা গেছে । সব কিছুই ভাল , তবে পরিমিত ।

মূলত , এই নেশাজাতীয় দ্রব্য , যেমন মদ গাজা, এগুলোর একটা বৈশিষ্ট হল , এগুলো মানুষের মন কে একদিকে নিবিষ্ট করে । এগুলো খেয়ে যদি কোন কাজে মনোনিবেশ করা যায় , তবে স্বাভাবিকের থেকে সে কাজ দ্রুত হয় । মানে , এ গুলো মানুষের মনকে একাগ্র করতে সহায়তা করে ।

মন সেই বিষয় ছাড়া অন্য কোন দিকে তেমন কাজ করে না । ফলে , কাজটা সমাধান করা সহজ ও দ্রুত হয় ।



সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক দল মানুষকে কিছু এলকোহল পান করতে দেন ও সে অবস্থায় তাদের একটি পাজল সমাধান করতে দেওয়া হয় । দেখা যায় , তারা স্বাভাবিকের থেকে ও অন্যান্য অনাসক্তদের থেকে অনেক দ্রুত এ্ই পাজল সমাধান করে ফেলেন । এই গবেষণার ফলে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানীরা আরও অনেক পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেন এই বিষয়ের উপর ।



তার পরের পরীক্ষায় একদল মানুষকে এলকোহল পান করানো হয় ও তাদের Remote Associates Test (RAT) নামক একটা কাজ করতে দেওয়া হয় । এটা মূলত সারা বিশ্ব ব্যাপী মানুষের সৃজনশীলতা পরীক্ষার কাজে ব্যাবহৃত হয় । এই পরীক্ষীটা টি এমন যে , আগে থেকে কোন কিছু জানা বাদেই নিজের ক্রিযেটিভিটি দিয়ে এই পরীক্ষায় ভাল করা সম্ভব । এখঅনে আপনাকে একটা প্রশ্ন করা হবে ও এর সাথে রিলেটিড ৩ টি বিষয় বলে দেওয়া হবে । এবার আপনাকে ওই ৩ টি বিষয়ের উপর গবেষণা করে বের করতে হবে যে এনস্যার কী হবে ? যেমন দেখুন , আপনাকে ৩ টি অপশন দেওয়া হল :

১. লাল সবুজ

২.বাঘ

৩.ড. মুহাম্মদ ইউনুস

এবার এ ৩ টি বিষয়ের উপর গবেষণা করে আপনাকে বলতে হবে , এর সাথে সবথেকে সম্পর্কযুক্ত বিষয় মানে উত্তর টা কী ? স্বাভাবিক ভাবেই আপনি বলবেন বাংলাদেশ ।



যাই হোক বিষয়টা এরকম । তা , এদেরকে এই পরীক্ষায় বসানোর আগে তাদের এমন পরিমানে এলকোহল খাওয়ানো হল যাতে এর পরিমান তার রক্তের .০৭৫% হয় । তারপর নেশা চরম পর্যায়ে পৌছানোর পর তারা অন্যদের থেকে খুব দ্রুতই এই পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হল ।

এরকম বহু পরীক্ষা চালানো হয়েছে এই বিষয়ের উপর , রেজাল্ট একই ।

সো, এসব থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে এলাম যে , এই নেশা জাতীয় দ্রব্য আমাদের শুধু ক্ষতিই করে না , অনেক উপকারেও আসে ।

আমি সিম্পলভাবে এসব রেগুলার খাই না , তবে মাঝে মধ্যে খেলে এই বিষয়টা অনুভব করতে পারি ।

তবে , আমার কথা শুনে দয়া করে আপনারা যেন এই সব খেতে শুরু করে দিয়েন না । কারণ , এ গুলো সমান ভাবে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর ও বটে । তবে , যারা এগুলোতে রেগুলার হয়ে গেছেন , তারা আশা করি একটু সান্তনা পাবেন এর কিছু হলেও উপকারী দিক আছে শুনে। তবে এগুলো আমি কাউকে খেতে উৎসাহিত করছি না ।

একটা উপকার পেতে গিয়ে হয়ত আপনি দেখলেন , আপনার অন্যদিকে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে । তখন কিন্তু বিপদ ।

সবাই ভাল থাকবেন । সবাইকে ধন্যবাদ ।

তথ্যসূত্র : Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।