৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট টা কি কেও দেখেছেন নাকি? আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রায়ের পর বাংলাদেশের দাবী করা ১০টি গ্যাস ব্লক মায়ানমারের ভাগে পড়েছে। বিডিং রাউন্ড ২০০৮ এর সময় চিহ্নিত করা গভীর সমুদ্রের গ্যাস ব্লকগুলোর কোর্ডিনেট এবং ট্রাইবুনালের দেয়া রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ-মায়ানমার সমুদ্রসীমা বিভাজন রেখার কোর্ডিনেট এক সাথে মানচিত্রে প্লট করে এই চিত্র পাওয়া গেল। নীচের মানচিত্রে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের দাবী করা ১০টি গ্যাস ব্লক এখন মায়ানমারের ভাগে পড়েছে যার মধ্যে ১৮, ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ২৮ এ্ই ৬টি ব্লক সম্পূর্নভাবে এবং ১৩, ১৭, ২১, ২৫ এই ৪টি ব্লকের অংশ বিশেষ এখন মায়ানমারের ভাগে! বাংলাদেশ মায়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রায়ের সুখবর আমরা সবাই জানি। এখন প্রশ্ন হলো, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ যে ২৮টি সামুদ্রিক ব্লকের ঘোষণা করেছিলো, যার ১৪টি নিয়ে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বিরোধ ছিল, রায়ের পর তার সবগুলো কি বাংলাদেশের হাতে আছে? প্রশ্নটা জরুরী কারণ, যে ২১৫ ডিগ্রী রেখা ধরে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ভাগ করে দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী, অনুমান করে গ্যাসব্লকের উপর রেখা টানলে তো দেখা যায় ৪টি ব্লক পুরোপুরি(ব্লক ১৮, ২৩, ২৭, ২৮) এবং ৪টি ব্লক আংশিক(ব্লক ১৩, ১৭, ২২, ২৬) মায়ামানমারের হাতে পরেছে। আমরা চোখের আন্দাজে রেখা টেনেছি। তাই এটা নিখুত কোন চিত্র নয়, হাত ছাড়া হয়ে যাওয়া ব্লক ৮টি না হয়ে আরো কম/বেশি হতে পারে । কিন্তু ২১৫ ডিগ্রী তেরছা রেখা দ্বারা ভাগাভাগিই বলে দেয় খাড়া নীচের ডান দিকের কিছু ব্লক মায়ানমারের ভাগে পড়েছে নিশ্চিত। তাই সরকারের দ্বায়িত্ব হলো আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের দেয়া রায়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের গ্যাস ব্লকের পরিবর্তিত মানচিত্র প্রকাশ করে বিষয়টি পরিস্কার করা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।