বাসে উঠেননি এমন বাঙালি এখনও আমার চোখে পড়েনি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাসে যাতায়াত করতে হয়। দুরপাল্লার বাস জার্নির ক্ষেত্রে কিছু সাজেশান থাকল ব্লগারদের জন্য।
সিটের ক্ষেত্রে অনেকের অনেক রকম চয়েস থাকে। তবে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিচারে বাসের বাম দিকে বসাই ভালো।
সম্ভব হলে জানালার পাশের সিটটা ছেড়ে দিন। একদম সামনের বা পিছনের দিকে না বসাই উত্তম।
সামনে বসার আরেকটা বিপদ হল হর্নের আওয়াজ। আমাদের দেশের রাস্তা ঘাটে চালকদের হর্ন ব্যবহার করা নিয়ে পরিমিতি বোধ একটু কম। তাই উচ্চ শব্দ অপছন্দ হলে একটু পিছনেই বসুন।
দিনের বেলায় জার্নি, আর বাস নন এসি হলে রোদ একটা বড় ফ্যাক্টর। একটু হিসাব করুন বাস কোন দিকে যাচ্ছে। জার্নির সময়কালটাও হিসাব করুন। বিকালে রওয়ানা হলে রোদ ব্যাপার না। আপনার গন্তব্যে পৌঁছতে কতক্ষন লাগতে পারে, এই সময় সূর্য কোনদিকে থাকবে এই হিসাব করে সূর্যের বিপরীতে বসতে পারলে জার্নিটা ভালো কাটে।
কোন ভালো কোম্পানির সার্ভিস নিন। প্রফেসনালিজম একটা বড় ব্যাপার যা আয়ত্ত করতে নতুন কোম্পানির বেশ সময় লাগে। আপনার এক্সপেরিমেন্ট পরবর্তীতে যাতে আফসোসের কারন না হয়।
কোন রুটে নতুন হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারো সাথে কথা বলে নিন।
সাথে মহিলা থাকলে সব রকম গয়না-গাটি খুলে গাড়িতে উঠা ভালো ।
অন্তত পক্ষে ব্যাগে রাখুন।
ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে পাশে বসা সহযাত্রীকে একটু বিচার করুন। কোন সন্দেহ হলে মানি ব্যাগ আর মোবাইল সহযাত্রীর বিপরীত দিকের পকেটে রাখুন তারপর ঘুমান।
দূরের যাত্রায় আরামদায়ক পোশাক পরুন। ফর্মাল পোশাক অত্যাবশ্যক হলে সাথে নিয়ে নিন।
বাস থেকে নেমে কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়াশ রুম ব্যবহার করতে পারেন। লং জার্নি শেষে ফর্মাল ড্রেস অনেকসময় ফর্মাল থাকেনা।
কেডস বা শু জুতা খুলে আরামে জাঁকিয়ে বসার আগে একটু সতর্ক হন আপনার জুতা মোজা থেকে বিতিকিচ্ছিরি গন্ধ বেরুচ্ছে কিনা। এ বিষয়ে যাত্রার আগেই খেয়াল করুন।
বাসে অনেকেরই বমি হয়।
এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল মানুষের কানে এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে যা শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। সম্ভভত এর নাম ককলিয়ার(যদি ভুল হয় তবে ডাক্তার ব্লগাররা ধরিয়ে দিলে খুশি হব)। আমরা যখন জার্নি করি তখন এই ককলিয়ার পদার্থ মস্তিস্কে বার্তা পাঠায় মানুষটি গতিশীল। কিন্তু একই সময়ে আমরা যদি স্থির কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকি (যেমন বাসের ভিতরে) তবে আমাদের চোখ মস্তিস্কে বার্তা পাঠায় মানুষটি স্থির। এই দুই বার্তার পার্থক্যের কারনে মস্তিষ্কে যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয় তারই ফলাফল মাথা ব্যাথা বা বমি।
তাই বাসযাত্রায় মাঝে মাঝে বাইরের দিকে তাকান। প্রকৃতিও দেখুন একই সাথে বমি তাড়ান। আর যাদের বাসে উঠলেই বমি হয় তারা দয়া করে পলিথিন সাথে রাখুন বা সুপারভাইজারের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
দিনের বেলা যাত্রা হলে সাথে নিতে পারেন কোন বই। সময়টা ভালো কাটার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
হয়তো এটাই হবে আপনার পড়া শ্রেষ্ঠ বই।
বাসে উঠার আগে দয়া করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে উঠুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।