সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না.... জার্মানির হামবুর্গে সমুদ্র আইনবিষয়ক আদালত (ইটলস) এর সাম্প্রতিক রায়ে বাংলাদেশের বিজয়ে
আমরা আনন্দিত।
গর্বিত।
উচ্ছসিত।
এই বিজয় বাংলাদেশের আপামর জনতার বিজয়। তাদের অধিকারের, ন্যায্যতার, আইনের বিজয়।
এবং এই সরকারের শত ব্যর্থতার পরও এই জন্য অবশ্যই সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এবং আশা করি এর ২য় অংশ অর্থাৎ ভারতের সাথে সীমানা নিস্পন্ন করণেও তারা এমনি আন্তরিকতা, এমনি দ্রুততা এবং বিচক্ষতার পরিচয় দেবে। দেশ ও জাতিকে দল মত নির্বিশেষে আনন্দে ভাসাবে।
সকল জাতীয় পত্রিকা, টিভি, মিডিয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে সকলেই জেনেছেন- এই আনন্দ সংবাদ। যদিও এর অর্ধেক অংশ এখনও অসম্পূর্ণ।
ভারতের সাথেও
সবাই জানেন এই খবর। তাই পুনরালোচনা না করে মূল কথায় যাই -
এই বিজয় আমাদের ইংগিত দিয়েছে, এই বিজয় আমাদের সাহস দিয়েছে এই বিজয় আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদী নিয়ে জেগে উঠার। আমাদের বঞ্চনার ৪০ বছর পর আবার প্রকৃতি আমাদের ইশারা দিয়ে যাচ্ছে- তার স্বাভাবিকতাকে পুন:প্রবাহিত করার।
এক ফারাক্কার প্রভাবে বাংলাদেশের যে মানের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনেরও বোধকরি কয়েক বছর লেগে যাবে। আজ সময় এসেছে সেই ক্ষতির বিবরন লিপিবদ্ধ করার।
সেই ক্ষতির ক্ষতিপূরন আদায়ে লড়াই করার।
এবং সেই সাথে বাকী ৫৩ টি নদীর উপর নির্মত সকল বাধ ড্যাম অপসারন সহ এই যাবত কালৈ তার দ্বারা সংগঠিত ক্ষতির দায়ভার বহনে দায়ী দেশকে বাধ্য করা। আন্তর্জাতিক আইন এবং আদালতের কাঠগড়ায় তাদের দাড় করানো শুধূ নয় সত্যের বিজয় নিশ্চিত করে দেশ ও জনগণের বহু বঞ্চনা, বহু ক্ষতির যথাযথ ক্ষতিপূরন আদায়ে সচেষ্ট হওয়া।
যেই প্রমত্তা পদ্মা বাংলাকে করে রেখেছিল চির বুঘলকপুর বা চির বিদ্রোহের দেশ.. যেই নদীমাতৃকতায় সুজলা সুফলা এই বাংলাদেশের জন্ম বিকাশ... যেই নদী বিধৌত পলিতেই জন্ম এই বদ্বীপের সেই নদী এই দেশের প্রাণ। এই দেশের জীবন শিরা।
তাকে তিলে তিলে মেরে ফেলা হচ্ছে। !!!
আমাদের দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। আমাদের পরিচয় বাঁচবে।
তাই আজকের এই ইটলসের রায়ের আনন্দের সাথে সাথে আসুন প্রতিজ্ঞ বদ্ধ হই ৫৪টি নদীর ন্যায্য অধিকার আদায়েও আমরা দুর্বার প্রচেষ্টা চালাব। এবং বিজয় ছিনিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।