বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটা স্বাধীন দেশ । আমরা খুব গর্ব করে বলি, সোনার বাংলাদেশ । সকল সফলতার সাথে সোনার শব্দটা হরহামেশাই আমরা ব্যবহার করি । ধরুন সোনার ছেলেরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে । সোনার ছেলেরা এসএসসি, এইচএচসি ইত্যাদি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে ।
বর্তমানে অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সকল সরকারই ফলাউ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা মারার ব্যবস্থা সর্বদাই করে থাকেন । আমি সাধারন শিক্ষার কথা বলতে চাচ্ছি না । একটু উচ্চ শিক্ষার কথাই ধরা যাক । যাকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নামে অবিহিত করি । বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিধানিক অর্থ আমি জানি না তবে এটুকু বুঝি, বিদ্যা অর্জনের সর্বশ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠ ।
কিন্তু এ বিদ্যাপিঠে কি হচ্ছে একটু খেয়াল করা দরকার । এখানে একটি সন্তানকে কি শিক্ষা গ্রহণ করতে তার অভিভাবকরা কষ্ট করে রোজগার করে অর্থ পাঠান । একটু দরিদ্রদের কথা চিন্তা করলে আর উপলব্ধি করা যাবে, অভিভাবকরা অনেক সময় দুবেলা খেতেও পারেন না । অথচ তারা তাদের সন্তানকে ঠিকই টাকা পাঠান । কিন্তু তারা কি শিক্ষা গ্রহণ করছে ??? জবাব আপনাদের নিকট থেকেই শুনতে চাই............
শিক্ষা এখন ব্যবসার বস্তু ।
সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে..... বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনভাবে বিজ্ঞাপন দেয় মনে হয় স্বপ্ন দোকানে দাম উল্লেখ করে পণ্য বিক্রি করার মত । মাংসের কেজি ২২০ টাকা, পূর্ব মূল্য ২৮০ টাকা । যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার নূন্যতম পয়েন্ট যা থাকার কথা তা না থাকলেও তারা কিন্তু টাকার জোড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে অনায়াসে । কেউ কেউ ব্যাঙ্গ করে বলে টাকা থাকলে নাকি গাথাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করবে পারে । যারা বুঝতে পারে তারা কিন্তু এখনই সতর্ক হয়ে যাচ্ছে ।
যেমন কিছুদিন পূর্বে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি নিয়োগের জন্য আবেদন করার শর্তে হাতে গোনা ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছিল । বুঝতেই পারছেন । ব্যপারটা কোথায় । আর নৈতিকতা সকল ক্ষেত্রেই সমান । কি সরকারি আর কি বেসরকারি ।
এখন বিনোদনের একটাই লক্ষ্য যৌন সুড়সুড়ি । মারামারি, নারী নিয়া ফাদে ফেলানো সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী পুরুষ সকলের একই দশা ।
এবার অন্যদিকে চোখ রাখা যাক................
নতুন আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এনিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৬৪টি।
মঙ্গলবার রাতে শিক্ষাসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের কথা জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে আবেদন করা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া সিলেটে নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে ঈশাখাঁ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শরীয়তপুরে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনও হয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মোট ৯২টি আবেদন এক বছরের বেশি সময় ধরে পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিল।
এর আগে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৫৬টি, যার অনেকগুলোই রাজধানীতে বিভিন্ন ভবন কিংবা ভবনের অংশ ভাড়া করে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস স্থানান্তর না করলে নতুন সেমিস্টারে অর্থাৎ গত বছরের জুলাই মাস থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।
তবে ৫৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থাপন করলেও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পারেনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনে জমিও কেনেনি।
এরপর নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থানান্তরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩০ জানুয়ারি আরো এক বছরের সময় দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মূল ক্যাম্পাস নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত নতুন বিষয়, প্রোগ্রাম, অনুষদ খোলা এবং অন্য কোথাও ক্যাম্পাস স¤প্রসারণের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ওই দিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানানো হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ের নিজস্ব ক্যাম্পোসে যেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পেরেছে। সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজ করছে, সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য নকশা অনুমোদন করেছে এবং ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য জমি কিনলেও ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন করেনি।
এছাড়া নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি কিনে ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ শুরু করতে গত ৩০ জানুয়ারি ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।
Click Here ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।