আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

██ চোরের ু বুদ্ধি ও শীতের রাতে কলোনির সবাইকে গোসল করানো

যত সব উল্টা পাল্টা চিন্তা, ভাবনা, ধ্যান ধারনা অনেক দিন আগেকার ঘটনা সময়টা ১৯৭৬ বা ১৯৭৭ বাবা থাকত সরকারি বাসায়, ৫টা বাসা নিয়ে একটা কলোনি প্রতিটি বাসার চারিদিকে প্রাচির দিয়ে ঘেড়া, অর্ধেক একতলা বাসা এবং অর্ধেক উঠান এবং বাথরুমটা ছিল উঠানের এক কোনাতে, কাউকে বাথরুমে যেতে হলে উঠান পার হয়ে যেতে হত। ওখানে ছিচকে চোরের খুব উৎপাত হত, প্রায়ই দেখা যেত কারও না কারও বাসা থেকে এটা নাই ওটা নাই প্রথম ঘটনা তখন সাপ্লাই পানির ব্যাবস্থা ছিলনা, খাওয়া এবং অন্যান্ন কাজে চাপ কলের পানিই একমাত্র ভরষা এবং বাথরুম কাজে ব্যাবহার সবাই বদনা ব্যাবহার করতেন কেউ কেউ পিতল বা সিলভারের বদনা না রেখে মাটির বদনাও ব্যাবহার করতেন। খুব ভোরে বাবার চেচামেচিতে ঘুম ভেংগে গেল, জানতে পারলাম বাথরুম থেকে পিতলের বদনা গায়েব একটু পরে পাশের দুই বাসাতেও চেচামেচি ওদের একজনের পিতলের বদনা ও একজনের সিলভারের বদনা নাই আরও দুই বাসা থেকেও চেচামেচি শুরু হল ওদের মাটির বদনা দুইটি ভেংগে রেখে গেছে ঐ দিনই বাবা চেইন তালা ও একটা সিলভারের বদনা কিনে নিয়ে আসল এবং প্রতিবেশিরাও একই কাজ করল। দ্বীতিয় ঘটনা শীতের রাত, সবাই একটু রাত হতেই ঘুমিয়ে পরে এক রাতে বাসায় চোর আসল এবং বাবা টের পেয়ে চোরকে ধাওয়া করল চোর কোন দিক দিয়ে পালাতে না দৌড়ে গিয়ে বাথরুমে ঢুকে দড়জায় ছিটকি আটকিয়ে দিল বাবার চেচামেচিতে ঘুম ভেংগে উঠানে এলাম এবং একটু পরে সব প্রতিবেশি বাসায় তালা দিয়ে এসে উঠানে জরো হল সবাই মিলে অনেক চেস্টা করেও চোরকে বাথরুম থেকে বের করতে পারল না। বাথরুমের দড়জায় একটা ছোট ফুটা ছিল মাঝে মাঝে ওখান দিয়ে চোরের চোখ দেখতে পাচ্ছিলাম, চোর আমাদের পর্যবেক্ষন করছিল। প্রায় ঘন্টা তিনেক এভাবে থাকার পর সবাই সিদ্ধান্ত নিল বাথরুমের দড়জা ভেংগে চোরকে বের করা হবে এবং চোরকে জানানো হল এখনি বের হয়ে আসতে, দড়জা ভাংগা হলে সাস্তির পরিমান বারবে কিন্তু চোর কারও কথাই শোনেনা এবং বেরও হয়না তাই বাবা এবং আরও দুই প্রতিবেশি মিলে এগিয়ে গেল দড়জা ভাংগার জন্য, তখনই চোরটা হঠাৎ বের হয়ে আসল গায়ে দেখি কোট পরা এবং কোটের পকেট থেকে কি যেন ছিটাতে লাগল আর উঠানে যারা যারা ছিল সবাই যে যেদিকে পারল পালাতে লাগল, সে এক বিচ্ছরি অবস্থা চোর সুন্দর মত পালিয়ে গেল, তাকে ধরার দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারলনা কিন্ত ঐ শিতের রাতে কলোনির সবাইকে সাবান দিয়ে ভাল ভাবে গোছল করিয়ে ছারল মায়ের কষ্ট একটু বেশিই হল কারন উঠান এবং দেয়ালের বিভিন্ন যায়গায় ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিষ গুলো ভাল ভাবে ধুতে হল

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।