মিতা সকাল সকাল বের হবে আজ, তাই ঘুম থেকে উঠেই গোসল সেরে ফেলল। কিন্তু নাস্তা করতে দেরি হয়ে গেল তাই সে ৮ তার আগে বের হতে পারল না। মোবাইলে নিলয় কল করে যাচ্ছিল বার বার। ইচ্ছে করেই ধরেনি। বের হবার আগে মা মিতা কে বলল, আজকে নাকি বিক্ষোভ মিছিল।
একটু সাবধানে যাবি মা। মিতার মা কি যেনো দোঁয়া পরে ফুঁ দিয়ে দিল। মিতা বলল, আচ্ছা মা এখন যাই। কিচ্ছু হবে না। তুমি ত দোঁয়া পরে ফুঁ দিয়েই দিয়েছ।
এখন আর ভাবনা কিসের। বলেই মিতা বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
মিতাঃ হ্যালো, তুমি কি বলত? তুমি কি যান না ? আমি মা এর সামনে ফোন ধরি না। বার বার ফোন করেই যাচ্ছ।
নিলয়ঃ তুমি একবার ফোন টা ধরতে পারো না? আশ্চর্য মানুষ তুমি।
আমি এদিকে কখন থেকে বাইক নিয়ে রাস্তার মাঝে দাড়ানো।
মিতাঃ না, পারি না। দেখো, তুমি যদি আমার সাথে ঝগড়া কর তাহলে কিন্তু আমি বাসায় চলে যাব। আমি কোথাও যাব না তোমার সাথে।
নিলয়ঃ আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি।
এখন বল তুমি কোথায়? আমি নিতে আসি।
মিতাঃ আরে না। খবরদার, আব্বু এখন বাসা থেকে হাটতে বের হবে। তুমি ওই খানেই থাক, আমি আসছি। ২০ মিনিট লাগবে।
নিলয়ঃ ২০ মিনিট ? আরো ২০ মিনিট আমি কি করব? তোমার বাপ আর টাইম পাইল না। এই রোদের মাঝে কেউ হাটে নাকি? ভোর সকালে কি করল?
মিতাঃ আচ্ছা ! তুমি কি চাচ্ছো বলতো ? আমি কি বাসায় চলে যাব?
নিলয়ঃ আরে আরে না। আচ্ছা সরি, তারাতারি এসো। আমি রাখলাম। তোমার সাথে কথা বলাই মুশকিল।
আজকে সারা দিন ডাকলেও আমি আর আসব না তোমাকে নিতে, রাখি । বলেই নিলয় ফোন রেখে দিল।
এদিকে মিতা নিলয় কে আসতে মানা করে বিপদেই পরে গেল। রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই। মিতার বাসা থেকে রিক্সা দিয়ে যাওয়া যায় না।
আগে রিক্সা চলত, কিন্তু কিছু দিন হল এদিকে রিক্সা বন্ধ করে দিয়েছে। বাস হল নিত্য দিনের সাথী। কেননা মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর পক্ষে সি.এন.জি দিয়ে যাতায়াত করা আকাস কুসুম ভাবা ছাড়া আর কিছুই না। ৫০ টাকা ভাড়া যেখানে অনেক বেশি সেখানে ১৫০/২০০ টাকা চাইতে তারা বিন্দু মাত্র লজ্জ্বাবোধ করে না। করলে নিজেদের মন কে শান্তনা দেয়া যায়।
আজকে মিতা এতই বিপদে পরেছে যে একটা কিছু পেলেই হবে টাকা টা তার কাছে বিষয় না। এদিকে মিতার মত আর অনেক লোক দাড়িয়ে আছে। অন্যান্য দিন যানবাহন এর সমস্যা থাকে কিন্তু আজকে কিছুই পাচ্ছে না। হঠাত মনে পরল মা বলেছিল আজকে বিক্ষোব মিছিল। এই জন্য হতে পারে।
অনেক পরে একটি বাস এল। অনেক কষ্টের পরে বাস এ উঠল মিতা। এভাবে বাস এ করে যেতে তার ভাল লাগে না। কিন্তু কিছুই করার না থাকায় মাঝে মাঝেই এই কষ্টের স্বীকার হতে হয়। বাসের লোক গুলো মেয়ে দেখলে ইচ্ছা করে শরীর দিয়ে ঠেলা মারতে চায়।
আজকেও একটি লোক এই কাজ টি করতে দ্বিধাবোধ করল না। আবার আরেক ভদ্রলোক মিতা কে বাস এ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার সিট টা ছেরে দিয়ে বসতে বলল। দুইটি মানুষের চরিত্রের এমন তফাত কি করে যে হয় !! মিতার পাশেই এক জন বাবা তার ছেলে কে নিয়ে বসা। ছেলেটির বয়স ৮/৯ হবে। ছেলেটি তার বাবার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল...
*** বাবা? ও বাবা ?
*** কি বাবা?
*** আজকে এত মানুষের ভীড় কেনো?
*** আজকে বি.এন.পি বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছে বাবা।
তাই।
*** বাবা, বাবা ও বাবা?
*** কি বাবা?
*** মিছিল এ কি হয় বাবা?
*** দেশের উন্নতি হয় বাবা। ( লোক টির কথায় দুঃখ ভালো করে বুঝা গেল)
*** মিছিলে আবার উন্নতি হয় নাকি বাবা?
*** হয় বাবা তাদের নিজেদের জন্য হয়, আমাদের জন্য হয় না।
*** ও , কিন্তু বাস নাই কেনো বাবা?
*** সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বাবা। এত কথা বলে না আব্বু।
*** হিঃহিঃ হিঃ হিঃ
*** হাসো কেন স্বাধীন ?
*** বাবা, আম্মু এত মিথ্যা বলে কেন বাবা?
*** কি মিথ্যা বলে?
*** আম্মু যে ওই দিন বলল, হরতাল দিলে সরকার রাগ হয়। আর রেগে শুধু মানুষ পিটায়। আর তুমি বলছো সরকার নাকি গাড়ী বন্ধ করে দিয়েছে! তাই হাসি। সরকার কি নিজেই হরতাল দিতে পারে? এটা কি হাসির কথা না?
*** এত কথা বলেনা বাবা ? তুমি এগুলো বুঝবে না।
মিতার কথা গুলো শুনে ছেলে টাকে আদর করতে ইচ্ছা করছিল।
কথা না বলে পারল না।
মিতাঃ বাবু তোমার নাম কি?
*** আমার নাম স্বাধীন। আমার মা রেখেছে। আমার মা অনেক ভাল। তোমার নাম কি? তুমি কি কর? তুমি কথায় থাক?
মিতাঃ হাহা , আমার নাম? মিতা।
আমি পড়ালেখা করি। ঢাকাতেই থাকি। তুমি কি সব সময় কথা বল?
স্বাধীনঃ না। বাবা যখন কথা কম বলতে বলে তখন বলি না। এই যে আজকে কম কথা বলছি।
মিতা খুব মজা পাচ্ছে কথা বলে। মিতা বাস এ বসে কথা বলে ভাল বন্ধুত্ত্ব করে ফেলল স্বাধীনের সাথে। বাস থেকে নামার আগে স্বাধীনের বাবার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর টা নিয়ে নিল।
মিতাঃ আপনার ছেলে কে আমার খুব ভাল লেগেছে। আমি স্বাধীনের সাথে বন্ধুত্ত্ব টা রাখতে চাই।
আপনার মোবাইল নম্বর টা কি পেতে পারি?
স্বাধীনঃ আরে এটা আবার বাবা কে বলা লাগে নাকি? আমি বলি তুমি লিখো। ০১*********
এদিকে......
নিলয়ঃ এটা তোমার আসার সময় হল?
নিলয় অনেক খেপে গেছে। অনেক ক্ষন বুঝিয়ে ওর রাগ কমাল মিতা। আজ ওদের ভালোবাসার ৪ বছর পুর্তি হল। ওদের ঘুরতে যাবার কথা।
কিন্তু এমন দিনে বিক্ষোভ মিছিল ডাকল, যে কি আর করা? মিছিল ওদের আটকাতে পারেনি কখনো। এই সকল তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাউ কাউ আমাদের দেশে লেগেই থাকে। তাদের ভালোবাসা অনেক গভীর যা অন্যের ঝগড়াতে পিছিয়ে পরে না। বাইক এর পিছনে বসল মিতা। কিন্তু একটু পথ সামনে যেয়ে মিতার খুব পানি খেতে ইচ্ছা করল।
নিলয় দোকানে পানি চাইলে দোকান এর একলোক বলল যে আজকে পানি দোকানে রাখা সরকারের নিষেধ আছে। খুবি অবাক হয়ে সে কোক কিনে ফিরে এল।
নিলয়ঃ পানি নাই।
মিতাঃ পানি নাই কোনো দোকানে?
নিলয়ঃ আজকে নাকি পানি রাখা নিষেধ করে দিয়েছে সরকার তাই রাখেনি। হাহা।
মিতাঃ হাঃ হাঃ কি বল এগুলা? আমরা কোন দেশে বাস করি?
তারা ঢাকার বাইরে যাবার প্লান করছে। সাভার এর দিকে রওনা দিল। আজকের দিনটা তারা ভাল ভাবে কাটাতে চায়। তারা ঢাকার বাইরে সারা দিন কাটাল। কিন্তু রাস্তায় মানুষের যাতায়াত দূর্ভোগ দেখে অনেক অবাক ই হয়েছে তারা।
মিতাঃ আচ্ছা এভাবে মানুষ গুলো কষ্ট করছে তাই না? মিতা বলল।
নিলয়ঃ তারাতারি বাসায় যেতে হবে। আজকে নাকি গন গ্রেফতার করছে।
মিতাঃ তাই নাকি? তারাতারি চল। মা চিন্তা করবে।
বিকেল হয়ে গেছে।
নিলয়ঃ চল। বলেই বাইক এ স্টার্ট দিল নিলয়।
এদিকে স্বাধীনের বাবা স্বাধীন কে নিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্বাধীনের চাচার বাসায়। স্বাধীনের চাচাতো ভাই এর আজকে জন্মদিন ছিল।
সারা দিন সে খানে ছিল, এখন তারা বাসায় ফিরে যাচ্ছে।
স্বাধীনঃ বাবা , ও বাবা?
বাবাঃ কি বাবা? বল।
স্বাধীনঃ আমাকে কি চিপস কিনে দিবে?
বাবাঃ এখন না বাবা। বাসার কাছে যেয়ে দিব।
স্বাধীনঃ কেন বাবা?
বাবাঃ এখন রাস্তার অবস্থা ভাল না।
এই রিক্সা তারাতারি যাও।
স্বাধীনঃ তুমি কি ভয় পাচ্ছ বাবা? আমি আছি না? একটা ঘুষি দিয়ে, একেবারে সরকারকে আর হরতাল দল কে পিটিয়ে বারটা বাজায় দিব। মিছিল দল কে ও দিব দুইটা ধুষি।
বাবাঃ হাহা। আচ্ছা ।
ঠিক আছে। এই রিক্সা দাড়াও ত । এদিকে সাইড করে রাখ। তুমি বসো আমি চিপস নিয়ে আসি।
স্বাধীনঃ বাবা তুমি ভয় পেলে আমি কি তোমার সাথে আসব?
বাবাঃ নারে বাপ ।
তুই বস। হাসতে হাসতে দোকানের দিকে গেলেন তিনি। ছেলের কথা শুনে খুব আনন্দ পায় স্বাধীন এর বাবা। তাই ত ছেলে কে নিয়ে মাঝে মাঝেই ছুঁটির দিনে ঘুরতে বের হয়ে পরেন।
*** এই যে ভাই।
একটা চিপস দেন ত। কত?
পিছন থেকে একটা মোটা গলা বলে উঠল।
***এখানে কি করা হচ্ছে?
স্বাধীনের বাবা পিছনে ফিরে দেখেন ৩/৪ জন পুলিশ দাড়ানো তার পিছনে।
*** চিপস কিনলাম ছেলের জন্য। হেসে হেসে উত্তর দিলেন।
পুলিশঃ তাই নাকি? চলেন থানায় গিয়ে এক সাথে খাব।
*** আরে কি করছেন? আমার ছেলে একা একা । আমার বাচ্চাটা ছোট, আমি কি করেছি? ছাড়ুন আমাকে।
পুলিশ গুলো কিছুই শুনল না, জোর করে গাড়ীতে তুলল। স্বাধীনের বাবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।
আমার ছেলেটা ভাই। ও রাস্তা চিনে না। আপনারা আমাকে এভাবে কেন নিয়ে যাচ্ছেন? আমার দোষ টা কি?
২ ঘন্টা পরে
মিতার মা ফোন করেছে মিতার ফোনে।
মিতাঃ আজকে মা মেরেই ফেলবে। অনেক দেরি করে ফেলেছি।
নিলয়ঃ আরে কিছুই হবে না। কিছু বললে আমার বাসায় চলে আসবা।
মিতাঃ আহা, তোমার রঙ এর দেখি শেষ নাই। সাবধানে চালাও। বার বার পিছনে তাকাচ্ছ কেন?
মিতা আর নিলয় এই রাস্তা ধরেই যাচ্ছিল।
হঠাত স্বাধীন কে নিয়ে কিছু মানুষের ভীড় টা মিতার চোখ আড়াল হল না।
মিতাঃ নিলয় বাইক থামাও । বাইক থামাও।
নিলয়ঃ কেন? কি হল?
মিতাঃ তোমাকে স্বাধীনের কথা বলেছিলাম না? ওই যে ও । কিন্তু কান্না করছে কেন?
নিলয়ঃ তাই নাকি? হইত বাবা বকা দিয়েছে তাই।
মিতাঃ আরে না। চল তো দেখি কি হল।
মিতাঃ স্বাধীন কি হয়েছে? ভাই ও কাঁদছে কেন? ওর বাবা কোথায়?
রিক্সাওয়ালাঃ আরে এই বাচ্চারে ছিনেন আপনি? বাচ্ছার বাপে ফালায় রাইখা কই ভাগসে। ঝামেলায় আছি লন আপনার বাচ্ছা। আমার ভাড়া দেন।
মিতাঃ আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? কত টাকা ভাড়া হয়েছে আপনার? আপনারা ত ভাড়া ছাড়া কিছুই বুঝেন না। মানুষ কে বিপদে ফেলে কিভাবে আটকানো যায় এই ফন্দি ই করেন।
রিক্সাওয়ালাঃ ২০০ টাকা দেন।
স্বাধীনঃ ২৫ টাকা দিয়ে ঠিক করেছিল বাবা।
মিতাঃ থাক স্বাধীন ওদেরকে বলে কোনো লাভ নাই ।
তোমার বাবা কোথায়?
স্বাধীনঃ বাবা কে চিপস আনতে বলেছিলাম। বাবা যে কোথায় গেল?
মিতাঃ আচ্ছা আমি ফোন করছি। তোমার বাবা এক্ষুনি চলে আসবে।
মিতা ফোন করল। কিন্তু মোবাইল বন্ধ।
অনেক বার চেষ্টা করে পরে তারা স্বাধীনের বাবার নম্বরে একটি এস.এম.এস করে স্বাধীন কে নিয়ে মিতার বাসার দিকে রওনা হল...মিতা বুঝতে পারছে না লোক টি কোথায় গেল?
বাসায় নিয়ে মিতা মিতার মা কে সব খুলে বলল। মিতার মা সব শুনে থানায় একটা খবর নিতে বলল। কিন্তু এখন ত রাত হয়ে গেছে। কাল কিছু একটা করা যাবে। এদিকে স্বাধীন এ কান্না থামছেই না।
রাত ১২.৩০...
মিতার মোবাইলে রিং বেজে উঠল। মিতা রিসিভ করে দেখেন স্বাধীনের বাবা। তার পর তিনি সব খুলে বললেন মিতা কে। এবং মিতা কে স্বাধীনদের বাসার ঠিকানা দিয়ে বললেন যেন স্বাধীনের মা কে সব কিছু ইনফর্ম করে।
মিতাঃ আপনার ফোন বন্ধ কেন?
বাবাঃ আমার মোবাইল এ পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল।
অনেক কষ্টে চেয়ে নিয়েছি। আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিয়ে অসম্মান করতে চাইনা বোন। আমি স্বাধীন এর সাথে কথা বলতে চাই। ও কোথায়?
মিতাঃ আছে , নিন কথা বলুন।
স্বাধীনঃ বাবা, বাবা হ্যালো বাবা? তুমি কোথায়? আমি চিপস খাব না।
তুমি আস এখানে।
বাবাঃ তুমি থাক আব্বু । আমি কালকে আসব একটা কাজে আটকা পরে গেছি বাবা। তোমার মিতা আন্টি তোমাকে তোমার মা এর কাছে নিয়ে যাবে কালকে।
স্বাধীনঃ না তুমি অনেক পঁচা।
আমি তোমার সাথে এর কথা বলব না...
মিতা ফোন টা নিয়ে নিল স্বাধীন এর কাছ থেকে। ওই পাশ থেকে স্বাধীন এর বাবার কান্নার শব্দ মিতার চোখে ও জল নিয়ে এল।
............পরের দিন সব কিছুই হয়ত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আজকে মিতা যদি স্বাধীন কে না চিনতে পারত তাহলে ঘটনা টা অন্য রকম ও হতে পারত...... এভাবে আজ কোনো স্বাধীন বিপদের পরল নাতো?
আমাদের দেশের দুই দলের কামড়া কামড়িতে সাধারন মানুষ এর অবস্থা খারাপ। আমাদের মুক্তি দিন আপনরা।
আমরা আর পারছি না। ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দেশের কথা ভাবুন।
*** ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। ***
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।