ডিএমপির ১১টি শর্তে মহাসমাবেশের অনুমতির পেয়েছে বিএনপি। ডিএমপি সূত্র জানায়, ১১টি শর্তে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো:
১) রাজধানীর পূর্ব দিকে ফকিরাপুল, পশ্চিমদিকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত মহাসমাবেশ বিস্তৃত থাকবে; ২) সভার জন্য নির্ধারিত জায়গার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না; ৩) নির্ধারিত এলাকার বাইরে অবস্থান নেওয়া যাবে না; ৪) সভার স্থান ব্যবহারের জন্য আলাদা অনুমতি নিতে হবে; ৫) মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে না; ৬) বক্তব্য ছাড়া মঞ্চ আর কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না; ৭) সভার দুই ঘণ্টা আগে কেউ আসতে পারবে না; ৮) বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সভা শেষ করতে হবে; ৯) এই সময়ের আগে বা পরে কোথাও সমাবেশ করা যাবে না এবং কোথাও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; ১০) সভা চলাকালে আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করা যাবে না এবং ১১) কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া কর্তৃপক্ষ এই আদেশ বাতিল করতে পারবে। (সবই আমার। তালগাছ এবং তাল দুইটাই)!!!
৩০০০০ সদস্য (পুলিশ, র্যাবসহ) মোতায়েন করা হয়েছে শুধুমাত্র এই সমাবেশ কে ঘিরে।
এই সুযোগটা হইতো ঢাকা শহরকে রক্ষা করবে, অন্য অঞ্চল গুলোর কি হবে?? এই ৩০০০০ সদস্য তো শুধু ঢাকাই ছিল না, তাদের কে বাইরে থেকে নিয়ে আস্তে হইছে এবং যেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে সেখানে স্বাভাবিক জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগাবে তারাই, যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত। ঢাকার বাইরের অঞ্চলগুলো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। একটা দেশে বিরোধী দল থাকা স্বাভাবিক এবং তারা সভা সমাবেশ করবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এই সভা, সমাবেশকে ঘিরে সরকারি দলের ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয় কি??? সরকারি দলের হরতাল দেওয়া সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম! মানা যেত, যদি সেটা উল্লেখযোগ্য কোন কারণ থাকত।
কিন্তু এটা কি ধরনের কারন? বিরোধী দলের সমাবেশ নস্যাৎ করার হেয় প্রয়াস! পত্র পত্রিকার সংবাদে বলা হচ্ছে কনফেকশনারি গুলোতে খাবার পানি রাখা যাবে না! হোটেল বন্ধ! এসব কেন? আমরা কি সভ্য না??? তাহলে আমরা অসভ্যের মত হীন আচরণ দেখাব কেন??? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।