আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্তাবধায়ক সরকার এবং বিএনপি, জামাত এর সাম্প্রতিক রাজনীতি : সাজ্জাদ সকীব বাদশা

১২ই মার্চ চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর আতঙ্কে ভুগছে পুরো ঢাকাবাসী তথা সমগ্র দেশবাসী। বিএনপি নেতাদের একের পর এক হুমকি, ধামকি এই উদ্বেগে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সরকারী দল এবং পুলিশ আশংকা করছে বিশৃংখলা সৃষ্টির, তারাও প্রস্তুত, সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন পরিস্থিতির উপর। সারা দেশ থেকে লোক এনে সমাগম করা হবে ঢাকায়। বিএনপি জেলায় জেলায় কর্মীসভা করে ‌‌‌‌ ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ দিয়ে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চলছে সরকারী দল আর বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি গরম গরম বক্তৃতা, বিবৃতি। গত বছরের ১৮ বিএনপি কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ার দিনে ভোর ৬টা থেকে জামায়াত জঙ্গীরা যেভাবে তান্ডব চালায় সেসব ভয়ংকর স্মৃতি এখনো মস্নান হয়ে যায়নি। আর এবারতো খোদ বিএনপি ই আটঘাট বেধে নেমেছে। বিভিন্ন পত্রিকার খবরে প্রকাশ, জামায়াতের হাজার হাজার জঙ্গী এখন ঢাকায়। তাই ঢাকার নাগরিকদের এই উদ্বেগ, উৎকন্ঠা মোটেই অমূলক নয়।

জামায়াত যে ১২ই মার্চকে আরেকটি ১৮ই ডিসেম্বরে পরিণত করবে না অথবা আরো ভয়ানক কিছু ঘটাবেনা তার গ্যারান্টি খোদ বিএনপিও দিতে পারবে বলে মনে হয় না। সাধারন নাগরিকদেরতো নিজেদের কর্মস্থলে যেতে হবে, বাচ্চাকে স্কুলে আনা নেয়া করতে হবে, ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশে যেতে হবে, পরীক্ষা দিতে হবে। আর এজন্য রাস্তায় বের হলেই যদি তারা হামলার শিকার হন, আর যদি ঘরে ফিরতে না পারেন এমন ভয়ে অস্থির থাকাটাই স্বাভাবিক। এহেন পরিস্থিতিতে অনাকাংখিত যেকোন ঘটনার জন্য সমাবেশ আহবানকারীরা আগাম দোষ দিয়ে রেখেছে সরকারকে, অপরদিকে সরকার ও সরকারীদল অগ্রীম দায় বিরোধীদলের উপর দিয়ে রেখেছে। প্রকৃত প্রস্তাবে সচেতন জনগনই সিদ্ধান্ত নিবে কে দোষী আর কে নির্দোষ।

বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনর্বহালের দাবিতে এই ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচী| বিগত ১/১১ এর পরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ফর্মূলা চরম সঙ্কট থেকে জাতিকে উদ্ধার করেছিল, ২০০৭ সালে এসে সেই একই ফর্মূলা জাতিকে ফেলেছিল মহাসঙ্কটে। এই তথাকথিত সুশীল সমাজ একবার ক্ষমতা হাতে পেলে যে কত বড় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা তাদের তিন মাসের জায়গায় দুই বছরের শাসনামলে জাতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। তারা যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকট তৈরী করেছিল তা থেকে উত্তরনের লক্ষে জাতি আজো সংগ্রাম করে চলছে। এখনো পর্যন্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে সেই সংকটের রেশ বয়ে চলছেন।

তার দুই পুত্রকে পঙ্গু করে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল যাদের চিকিৎসা এখনো চলছে। তার এবং তার গুনধর দুই পুত্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল অসংখ্য মামলা। তাহলে আবার কেন আরেকটি অনির্বাচিত সরকারের জন্য এত আন্দোলন? খালেদা জিয়াই কি বলেননি, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়? আর উনি যদি তত্তাবধায়ক সরকারের দাবিতে এতই আপোষহীন হন তাহলে আদালতের রায়ের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিল সংসদে পাশের আগে যখন বার বার সরকারীদলের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য ডাকা হল কেন সেটা প্রত্যাখান করলেন ? কেন সংসদে গিয়ে এর বিরোধীতা করলেন না ? আদালতের রায়ের একটি অংশ ছিল, আগামী দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। আমাদের রাজনীতিবিদদের মানসিকতা চিন্তা করেই আদালত এমন রায় দিয়েছিলেন বলে আমার বিশ্বাস । রায়ের এই অংশটি নিয়ে বিএনপি নিশ্চয়ই সংসদে গিয়ে আলোচনা করতে পারত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো বলছেন, “‍‍‍তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্নপ্রবর্তনের কোন সুযোগ নেই কিন্তু বিএনপি চাইলে বিকল্প উপায় খোজা যেতে পারে। যেমন বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন। সেখানেও বিরোধী দলের কোন সাড়া নেই। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এমন কোন ঘটনার নজির আছে কিনা আমার জানা নেই যে, বিরোধীদল বিশাল সমাবেশ করে একটি দাবি জানিয়েছে আর সরকারী দল নির্দ্ধিদায় তা মেনে নিয়েছে। বিএনপি যদি আলোচনায় না গিয়ে শুধু রাজপথ গরম করে, ১২ ই মার্চ ৫০ লক্ষ লোকও ঢাকায় এনে মহাসমাবেশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনর্বহালের দাবি করে সরকার বা সরকারি দল কি তা মেনে নেবে ? বিএনপি কি ১৯৯৬ সালে মেনে নিয়েছিল? তারাতো একতরফা ভাবেই ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিল ।

তাদেরকে মনে রাখতে হবে, ১৯৯৪ সালের মাগুরা উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতির যে প্রেক্ষাপটে তখনকার বিরোধী দলগুলো ১৯৯৬ সালে কোন দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তত্তাবধায়ক সরকারের দাবী তুলেছিল সেই প্রেক্ষাপট এখন আর নেই। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অধিক শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ হওয়ায় প্রায় সবগুলো উপজেলা ও পৌরসভা সহ তিনটি সিটি কর্পোরেশনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে যা দেশি বিদেশী সকল পর্যবেক্ষক সহ খালেদা জিয়া পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন। অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে ভোট কারচুপি করে কোন জাতীয় নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়। তারা কি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান নাকি শুধুই তত্তাবধায়ক সরকার চান? তারপরও যদি আস্থার সঙ্কট থাকে, সত্যিই তারা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার চেয়ে থাকেন তাহলে তাদের সরকারী দলের সাথে আলোচনায় যেতে হবে, সংসদে গিয়ে দাবি তুলতে হবে। আর যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা, তারেক-কোকোর দূর্নীতি ঢাকা দেয়া মাঠ গরম করার আসল উদ্দেশ্য হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি শুধুমাত্র একটি আড়াল হয় তাহলে অন্য কথা।

খালেদা জিয়াতো রোডমার্চের বিভিন্ন জনসভায় নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীদের মুক্তি দাবি করে বলেছেনই যে তারা যুদ্ধাপরাধী নয়, ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের জন্য ওনার এত মায়া কেন? অবশ্য আইএসআই এর টাকা খেলে পাকিস্তানপন্থীদের কথা তো শুনতেই হবে। খালেদা জিয়া চাঁদপুরের জনসভায় সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা করে দেবেন বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন। ওনাদের ভাষায় সরকার পুরোপুরি ব্যার্থ, দেশের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি, জনগন খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সরকারের প্রতিটি কাজে যদি বাধা দেয়া হয়, ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে সরকার কিভাবে কাজ করবে? জাতি জানে সচিবালয় সহ সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনে ওনাদের অনেক লোক, প্রশাসনযন্ত্রের অনেক কার্যক্রমেই মনে হয় বর্তমান সরকারী দলের চেয়ে হয়ত বেশিই হবে।

এখন এইসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে লাগিয়ে, উন্নয়ন কাজের গতি শ্লথ করে যদি সরকারকে ল্যাড়া-লুলা করার পায়তারা করা হয় তাহলে সরকার কিভাবে এগিয়ে যাবে, জনগনের সেবা করবে? সরকার যদি জনগণের জন্য সামান্য কাজও করে থাকে সেটার সুফল পাওয়াও জনগনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। পিলখানা হত্যাকান্ড, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র, সেনাবাহিনীতে ক্যু চেষ্টা কি এই ল্যাংড়া লুলা করে দেবার ষড়যন্ত্রের অংশ? জনগণের দ্বারা নির্বাচিত একটি সরকারকে ল্যংড়া লুলা করে দেয়া কি জনগণকেই ল্যাংড়া লুলা করে দেয়া নয় ? খালেদা জিয়ার জনগণের প্রতি ভালোবাসার নমুনা বোধকরি এমনই। বরং উনি যদি বলতেন আওয়ামী লীগ কে ল্যাংড়া-লুলা করে দেবেন তবুও সেটা মেনে নেয়া যেত। কারণ ১৯৭৫ এর পর থেকে উনার স্বামী জিয়াউর রহমান আইএসআই এর সহযোগিতায় বিএনপি গঠন করে আওয়ামী লীগ কে ল্যাংড়া-লুলা করার প্রক্রিয়া শুরু করেও শেষ করতে পারেননি। জিয়ার অনেক অসমাপ্ত কাজের মধ্যে এই কাজটিতে খালেদা হাত দিতেই পারেন।

একটি বড় দলের নেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে কোনভাবেই একটি নির্বাচিত সরকারকে ল্যাংড়া-লুলা করে দেয়ার কথা মানায় না। ২০০১-২০০৬ ক্ষমতার আমলে ওনারা পদ্মা সেতু নির্মানের অর্থায়নের নিশ্চয়তা কতটুকু এগিয়ে নিয়েছিলেন তা জাতি জানে। কী পরিমান বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ করেছিলেন? বরং তারেক-মামুন-টুকুরা এই খাতে উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ খাম্বা বানিয়ে রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা আত্মসাত করেছিল, একথা কারো অজানা নয়। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা কতটুকু আদায় করেছিলেন? খালেদা জিয়া তো তখন ভারতে গিয়ে তিস্তার পানির কথা ভূলেই গিয়েছিলেন। সীমান্ত হত্যা কতটা রোধ করতে পেরেছিলেন? চারদলীয় জোট শাসনামলে ৪৭০ জন বাঙ্গালীকে বিএসএফ হত্যা করেছিল, অথচ তারা ভারতের কাছ থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতিটুকুও আদায় করতে সক্ষম হননি।

দূর্নীতি প্রতিরোধের কথাতো ওনাদের মুখে রীতিমত হাস্যকর। একথা সর্বজন বিদিত যে, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর পরিবারই ছিল সবচেয়ে দূর্নীতিবাজ পরিবার। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই গড়ে উঠেছিল জেএমবি সহ বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠী। এখন উনারা বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কথা বলে কখনো মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করছেন, কখনো সরকার ফেলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন, কখনোবা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে সরকারকে ল্যাংড়া- লুলা করে দেয়ার ঘোষনা দিচ্ছেন। তাদের নীতিতে এত ঘন ঘন পরিবর্তন আসে কেন সেটাও এক বড় রহস্য।

এটা কি জামায়াতে ইসলামী এবং আইএসআই এর প্রেসক্রিপশন ফলো করতে গিয়ে হয় কিনা তা আজ জাতি জানতে চায়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ছাড়াও সামান্য রাজনীতি সচেতন মানুষের বুঝতে বাকি নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে জামায়াতীরা এখন মরিয়া। তারা এখন স্বভাবসূলভ লাশের রাজনীতি শুরু করেছে। গত বছরের ১৯ শে সেপ্টেম্বর পুলিশের গাড়িসহ ৩০টি যানবাহনে আগুন, জায়গায় জায়গায় পথচারীদের উপর হামলা; ১৮ ডিসেম্বর ভোর থেকে সারা ঢাকা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টি, বোমাবাজী ; এ বছরের ১২ ই জানুয়ারী দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের উপর হামলা, তাদের গাড়ি ভাংচুর এবং অস্ত্র ছিনতাই প্রমান করে তারা কতটা আগ্রাসী। বিএনপি’র কাধে ভর করে, আইএসআই এর প্রত্যক্ষ্য মদদে নিজেদের শীর্ষ নেতাদের বিচার প্রতিহত করতে তারা এখন মরন কামড় দিতে প্রস্তুত।

১২ই মার্চে যে তারা যেকোনভাবেই হোক একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করবে এবং পুলিশকে বাধ্য করবে হস্তক্ষেপ করতে তা প্রায় নিশ্চিত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জামায়াতের জঙ্গীরা সেদিন ১৮ই ডিসেম্বর এর চেয়েও তীব্র আকারে সারা ঢাকা শহরকে একটি রণক্ষেত্রে পরিণত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবে। বিএনপি নেতারা বারবার অভিযোগ করছেন, তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে, ঢাকায় আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। জামায়াত কর্মীদের অতীত কর্মকান্ড দেখে প্রশাসন যদি আগে থেকেই সতর্ক থাকে এবং তল্লাশি চালায় তাহলে তারা তাদের সঠিক দায়িত্বই পালন করছে বলে মনে হয়। যদি সেদিন তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে জনগনই তাদেরকে দোষারোপ করে বলবে অযোগ্য প্রশাসন, ব্যার্থ প্রশাসন।

বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার গত ৪ঠা জানুয়ারী আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সাহস থাকলে পুলিশ র‌্যাব বাদ দিয়ে বিএনপি’র সাথে মোকাবেলা করুন। আমারতো মনে হয় এম কে আনোয়ার এর ডাকে সাড়া দিয়ে ১২ই মার্চ আওয়ামী লীগ কোন কর্মসূচী রাখলে গত ৩০ শে জানুয়ারীর মতো জামায়াত কর্মীরা অনেক সংযত আচরন করতে বাধ্য হত। সে যাই হোক, চার দলীয় জোটের মূল দল বিএনপিকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাবস্থার দাবীতে তারা সরকারের সাথে আলোচনার পাশাপাশি সংসদে গিয়ে দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে নাকি পাকিস্তানের দোসর জামায়াতীদের কাধে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জনগনের জানমালের ধ্বংস সাধন করবে। শেষোক্তটি হলে এই জাতি এবং ইতিহাস কোনদিনই তাদের ক্ষমা করবেনা। সাজ্জাদ সকীব বাদশা পরিচালক, সিআরআই সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।