সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা বাংলাদেশের রাজনীতিবীদ আর ধনীরা গরীবদের তীব্রভাবে ঘৃণা করে। আমার এক ধনী সহপাঠী দাবী করতো গরীবরা ইচ্ছা করে গরীব থাকে। ওর বাবা একাত্তরে প্রতারণা ও রাজাকারী করে বহু টাকা কামিয়েছে মারোয়ারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। গরীবরা ব্যাপক প্রতারণা করেই কেবল ধনী হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার সহপাঠী ঠিকই বলেছে, গরীবরা যারা প্রতারণা করতে পারে না তারা গরীবই থাকে।
গার্মেন্টস ধসে যারা মরল। এটা চলতেই থাকবে। আজকে যারা কান্নার অভিনয় করছে কালকে তারা গরীবের সাথে প্রতারণায় সফল হওয়াতে মুচকী হাসবে। হেফাজতী আন্দোলনে যেসব মাদ্রাসার পোলাপান অংশ নিয়েছে তারা আরো দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। এজন্যই সুশীল সমাজ তাদের সর্বোচ্চ ঘৃণা করে।
এইসব দরিদ্র পোলাপানের দায়িত্ব সরকার নেয় না। তারা খুশি হয় খেয়ে না খেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে চীর দরিদ্র থাকে। চীর দরিদ্ররা আন্দোলনও করে না। কিন্তু আপনার হুমায়ুন আজাদের গরীবের সৌন্দর্য কবিতাটা হয়তো পড়েছেন। গরীবদের সবকিছুই অসুন্দর।
শুধু তারা যখন আন্দোলন করে তা সুন্দর। একাত্তরে বহু মুক্তিযোদ্ধারাই ছিল হতদরিদ্র। আজ যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা সবাই ধনী। বহু রিক্সা চালক, শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধ করেও সনদ পাননি গরীব বলে। আসুন আমরা অট্টহাসি দেই আরো কিছু গরীব দালান চাপায় এবং গুলিতে মরার জন্য।
কিছু গরীব কমলে তো আমাদের দারিদ্রের হারও কমে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।