আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গত বছরের একটি দিন: নিকট স্মৃতি

কালের সীমারেখায় আকালের চিহ্ন দেখি, ভয় পেয়ে নিজের কূয়োর কাদায় লুকোই আবার। একটা লেখা টুক টুক করে অনেক সময় লাগিয়ে লিখে যখন পোস্ট করতে পারলাম না, তখন মাথায় আগুন জ্বলে যাচ্ছিলো। কারেন্ট যাওয়ার আর সময় পায় না। এদিকে ইউপিএস-টার "ওনলি ফর শো" অবস্থা। অত কষ্ট করে লেখা কথাগুলো হারিয়েই গেল।

এই হাইস্পিড যুগে আমি কচ্ছপের গতি নিয়ে শত চেষ্টা করেও খরগোশকে হারাতে পারছিনা। ঈশপের যুগ প্রাগৌতিহাসিক, যুগ এখন ই-শপ আর ই-কমার্সের। শালা! বাসে বাসায় ফেরার পথে আজ অনেকদিন পর জ্যামবিহীন মিরপুর রোড দেখলাম। আকাশে দেখি কাস্তে চাঁদ( আসলে বেশ মোটা, দাঁ বললেই বোধহয় বেশি মেলে)। সাথে বোনাস ঝকঝককে কতগুলো তারা।

বহুদিন আগে এক ভুলে যাওয়া গ্রামের উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখা হাজার তারার রাতের সাথে তুলনা করার মত নয় অবশ্য। তবে তাতে বুকে সেই ছবিটা আবার দেখার আকাঙ্খা জাগানোর কিছুটা উপাদান ছিল বৈকি। তাই বাসায় এসে "ফোর হানড্রেড ইয়ারস অফ টেলিস্কোপ" দেখলাম। কবিতা লেখার আবেগের বদলে মনে ভর করলো ভয়, ওই অজানা মহাকাশে যদি থাকে উপনিবেশকারী ভিনগ্রহী! আবার ভাবলাম, ভিনগ্রহ আর ভিনদেশি উপনিবেশকারীর মধ্যে কতই বা আকাশ-পাতাল তফাৎ হবে? কদিন আগে একটা আন্দালুসিয়ান কুকুরের কাহিনী (Un Chien Andalou) দেখেছিলাম। তারপর থেকে পূর্ণ চাঁদ দেখলেই বুনুয়েলের ক্ষুর দিয়ে আড়াআড়ি কেটে ফেলা চোখটার কথা মনে পড়ে! উহ! গায়ে কাঁটা দেয় ভাবলেই।

সকালে দৌড়ে গেলাম ক্লাসে, এই ফেব্রুয়ারীতেই কী ঘেমে গোসল টাইপ গরম পড়ে গেল নাকি! কালো জামা পরাটা খুব ভুল হয়েছে। যাকগে, মেলাক্ষণ পর স্যার এসে উত্তরআধুনিকতার ধারণা দিতে শুরু করলেন। কী যন্ত্রণা! তার সাথে পাল্লা দিয়ে একটা কোকিল গান শুরু করে দিল। ওই শয়তান কোকিলটা সন্ধ্যায় জার্মান ক্লাসেও ওই কাজ করছিল। আরে ব্যাটা, স্যার ফ্রয়েড বাবাজীর স্বপ্নব্যাখ্যার গুরুত্ব আর লিবিডোর তাড়নার কথা বলছেন, এর মধ্যে তোর সা রে গা মা শোনার সময় আছে নাকি? হুস্ হুসসসসস্... ভাগ এখান থেকে।

সকালেই স্যার উত্তরআধুনিকতার সাথে মহা বয়ানের কী যেন সম্পর্কের কথা বলছিলেন। গত সাড়ে চার বছরের সবকটা লেকচারের মত এটাও মাথার অনেক উপর দিয়ে গিয়ে কলাভবনের কালো ড্রেনে গিয়ে ল্যান্ড করেছে, দিব্যি দেখে নিলাম দিব্যচোখে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।