আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফার্মেসী দোকানের কর্মচারী, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়ে কিছু কথা

ফেসবুকে আমি https://www.facebook.com/LINCON04 # ঔষধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারনে এ ব্যবসার অনেক গভীর পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য কিংবা দূর্ভাগ্য দুটোই হয়েছে আমার! প্রথমে আসি ফার্মেসী দোকানের কর্মচারীদের কথায়। স্বল্প বেতনের এসব চাকরীতে প্রধানত দুটি কারনে ছেলেরা চাকরীতে আসে। এক হচ্ছে সে নিজে ঔষধ ব্যবসা করতে চাচ্ছে, দুই, আর কোথায় জব না পেয়ে ! ঔষধের দোকানে চাকরী করতে হলে ন্যুনতম এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা লাগে, নয়তো ডাক্তারের প্রেসক্রিপসন পড়তে সমস্যা হয়, ঔষধ সার্ভ করতে সমস্যা হয়! প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডিউটি করে তারা বেতন কত পায় জানেন? সর্বোচ্চ ৭০০০টাকা! নিজের মেমোরির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে আমি আর কোন পেশা দেখিনি! কারন প্রতিদিন ঔষধ কোম্পানীগুলো নতুন নতুন কোন না কোন ঔষধ বাজারজাত করছে, দাম বাড়ছে কমছে, প্রতিটি কোম্পানীর একই গ্রুপের ঔষধের দাম ভিন্ন, পুরোনো ঔষধের নাম ও মনে রাখা লাগছে, কখন আবার কোন ডাক্তারে লিখে বসে থাকে এই ভেবে! সাধারনতঃ নতুন আসা কর্মচারীদের বেতন শুরু হয় একহাজার টাকা থেকে! যা একজন রিকশা ওয়ালার ৫ দিনের আয়ের সমান! তারপর বেতন বাড়ে একবছর পর পর একহাজার টাকা হারে! নিজের অন্য আনুষাঙ্গিক খরচ মেটানোর পর মাস শেষে তার লাভের খাতা শূন্য! সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, এতো খাটাখাটুনির পর যদি কোন কর্মচারীর চাকরীটা ভাল না লাগে, কিংবা সে যদি আর কোন ফার্মেসীতে আরেকটু ভাল বেতনে জয়েন করে তার পূর্বের মালিক অবশ্যই তার নামে চুরির অপবাদ দেবেই!! # বেশ কিছু ক্লিনিক/হাসপাতালের পার্কিং লটে সাইনবোর্ড টাঙানো থাকে, 'এমআরদের মোটরসাইকেল ঢুকানো নিষেধ' বলে! একজন এম আর নিজের নিয়তিকে এভাবে সাপান্ত দেয়, 'পূর্বজন্মের পাপের ফসল হিসেবে চাকরীতে এসেছি' বলে! বাংলাদেশ যেসব খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তার মধ্যে অন্যতম! এবং মেডিক্যাল রিপ্রেন্জেটিভ পদে যারা চাকরি করেন তারা উচ্চশিক্ষিত! তাহলে এপেশাকে সবাই এত হীন মনে করেন কেন? দেশে প্রতিষ্টিত নামীদামি কোম্পানীর পাশাপাশি বাজারে রয়েছে প্রায় শ তিনেকের মতো নাম সর্বস্ব কোম্পানী! এসব নাম সর্বস্ব কোম্পানী অত্যন্ত নিম্নমানের ঔষধ তৈরি করে, এবং পার্সেন্টেজের ভিত্তিতে বাজারজাত করে তাদের ঔষধ! এবং এসব কোম্পানীর এমআররা সরাসরি কাজ করে ডিপ্লোমাধারীদের উপর! গ্রামে,মফস্বলে এই ডিপ্লোমাধারীদের ডাক্তার হিসেবে দেখা হয়! এবং প্রত্যেক ডিপ্লোমাধারী মোটামুটি কয়েকশ করে রোগী থাকে রেগুলার! এসব ডিপ্লোমাধারী এবং ঔষধ কোম্পানী রোগীকে নিয়ে ব্যবসা করে, ঔষধকে বানিয়ে তোলেন পন্য হিসেবে! এসব ঔষধ কোম্পানীর সব আছে শুধুমাত্র ঔষধের গুন ছাড়া! এবং নিজেদের পন্য বিক্রি করতে পারলে ঘরের বৌকে এনে দেন! বছরের পর বছর এদুষ্টচক্র চলে, এদের কারনে এ পেশার সম্মান চলে যায়! ডাক্তার আর মেডিক্যাল রিপ্রেজন্টেটিভের সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ন! ঔষধ সম্পর্কীত যাবতীয় তথ্য একজন ডাক্তার পেতে পারেন একমাত্র মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছ থেকে! গুরুত্বপূর্ন এসম্পর্ক নিয়ে ব্যবসা কাম্য নয়। তবে বাংলাদেশের আর প্রতিটি সেক্টরের মতো এথেকে উত্তরনের উপায় কারো হাতে নেই!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.