বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । ছেলের মাথায় ঘিলু আছে, বলে অনেক সময় লোকে। আসলে ঘিলুটা কি? মাথার ভিতর জিনিস আছে ! জিনিসটা কি?
সেটা হল মস্তিস্ক। যার অন্দরে সব স্মৃতি জমা থাকে। মাত্র তিন পাউন্ড ওজনের একটি জিনিস যার ক্ষমতা শুনলে মানুষ বিশ্বাস করতে চাইবে না।
মস্তিস্ক হল সকল প্রানীর কেন্দ্রিয় স্নায়ু বিভাগ। যা থেকে, প্রানীদেহের সব কাজ,চিন্তা-ভাবনা,নড়া-চড়া সব নিয়ন্ত্রন করে । একজন মানুষের মস্তিস্ক,অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে প্রায় ৩ গুন বড় হয়।
এর সবচেয়ে বড় গুণ হল, আমাদের গবেষণা বা কোন ঘটনার গভীরে গিয়ে তার বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কাল্পনিক চিত্র তৈরি করা,যা নিকট ভবিষ্যতে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডক্টর ওয়াল্টারের মতে যদি মানুষের মস্তিষ্কের সমমানের একটি বৈদ্যুতিক মস্তিস্ক তৈরী করা যায় তাহলে তার খরচের টাকা গুনলে ১৫০০,০০০০০০০,০০০০০০০ টাকা পরবে সেই পরিমান টাকা দিয়ে বর্তমান সময়ে প্রায় অত্যাধুনিক দশ কোটি কম্পিউটার কেনা সম্ভব আর এই যান্ত্রিক মস্তিষ্কের আয়তন হবে আটারটি এক’শ তলা বিল্ডিং এর সমান আর এটা চালাতে এক হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হবে তাহলে দেখুন তার কত ক্ষমতা।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা মস্তিস্কের গঠন সম্পর্কে এখনো পরিস্কার ধারণা পান নি।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম। কিন্তু করে না। যার কারণে মস্তিস্ক অলস বসে থাকে।
মানুষের মস্তিষ্ক সেকেন্ডে ১০-১৫ টি শব্দ ধারণ করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলে মানুষের মস্তিষ্কে ২২ লক্ষ সেল আছে সাধারণ মানুষ তার থেকে মাত্র ৩% সেল ব্যবহার করে বাকী গুলো বেকার হয়ে পড়ে থাকে আর বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর মানুষ ব্যবহার করে ১০ থেকে ১১% !!
কিন্তু মানব মস্তিস্কের প্রায় ৭৫ ভাগই পানি আর ২৫ ভাগ দিয়ে আমরা এইসব কাজ করে থাকি।
জাগ্রত থাকা অবস্থায় মস্তিস্ক প্রায় ২৫ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করে,যা একটি লাইট বাল্ব জালানোর জন্য যথেষ্ট। আর ঘুমের মাঝে আমরা যে সব সাদাকালো স্বপ্ন দেখি তার রহস্য এখনো বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পারে নি।
আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।
এই সব ক্ষমতার কারণে, ১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
আমরা বলি মেয়েরা কথা বেশি বলে থাকে কারণ মস্তিস্কের এই গঠন। প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য।
আমরা যা খাই তার মোট শক্তির ২০% মস্তিস্কের জন্য যায়, যেখানে মস্তিস্ক শরীরের আয়তনের মাত্র ২% হলেও এর শক্তি চাহিদা অনেক ।
এত এত ক্ষমতা আমাদের শরীরের উপরের মাথাটাতে অথচ অনেক কিছু করতে পারি না।
*তথ্য সংগ্রহীত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।