পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! কৃষ্ণকে ভগবান বলাতে একভদ্রলোক পাল্টা জবাবে বলেছিলেন ছয়টি গুণ থাকলে যে কোন মানুষেকই ভগবান বলা চলে। এমন কথা তিনি বলেতেন না যদি শ্রীকৃষ্ণকৃত্তণ থেকে জনাবের লীলা তুলে না দিতাম! ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ থেকে শুরু করে গীতা সংহিতার সব জায়গাতেই কৃষ্ণকে ভগবান বা স্রষ্টা বলা হলেও তিনি মানেত নারাজ। শুধু তিনি নন অনেকেরই মতে কৃষ্ণ একজন মানবীয় চরিত্রের নাম-মানুষ বৈ অন্য কিছু নন। তদুপরি সাহিত্যকর্ম তাকে সম্মানের উচ্চমার্গে ঈশ্বরীয়মার্গে তুলে দিয়েছে। অথচ গীতাতে তার সম্পর্কে এমন কিছু কাহিনী আছে যেগুলো কোন মানুষের পক্ষে পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং অবিশ্বাস্য ঘটনা, যেগুলোকে কল্পকাহিনী ছাড়া অন্য কোনভাবে ব্যাখ্যা করা দূরহ।
হয়তবা এসব কারণেই কেউ কেউ তাকে মানুষের শ্রেণীতে গণ্য করতে নারাজ! গীতার ১১ ন অধ্যায়ের ১৯, ২৮-৩০ নং শ্লোকের মতে কুরুক্ষেত্রের সময় যোদ্ধারা ভগবান কৃষ্ণের জ্বলন্ত মুখের মধ্যে ঝড়োগতিতে ঢুকে যেয়ে ধ্বংস হচ্ছে- সম্পূর্ণ মহাবিশ্বই তার মুখের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। আর অর্জুন স্বচোক্ষে এই দৃশ্যগুলো অবলোকন করেছন! একজন মানুষের মুখের ভেতর সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব কীভাবে ঢুকে যাবে, তাছাড়া মহাবিশ্ব যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জ্বলন্ত মুখের মধ্যে ঢুকে যায় তাহলে শ্রীমানঅর্জুন সেই দৃশ্য কোথা থেকে, কীভাবে অবেলাকন করেলন ? কুরুক্ষেত্রে অর্জুনের চোখে দেখা থ্রী ডি বাইসকোপ!- ফোর ডাইম্যানশনও বলা যেতে পারে? কেননা, অর্জুনের অবস্থানটা নিশ্চিত করা গেল না, হতে পারে তিনি উক্ত বাইসকোপের ভিতরই ছিলেন 'হলোগ্রাফিক' থিয়েরী অনুযায়ী।
অনাদিমধ্যান্তমনন্তবীর্য মনন্তবাহুং শশিসুর্যনেত্রম্॥
ঈশ্যামি ত্বাং দীপ্তহুতাশবক্ত্রং স্বতেজসা বিশ্বমিদং তপন্তম্॥ ১৯।
I see You with infinite power, without beginning, middle, or end; with many arms, with the sun and the moon as Your eyes, with Your mouth as a blazing fire scorching all the universe with Your radiance. (Gita 11:19)
যথা নদীনাং বহবোহম্বুবেগাঃ সমুদ্রমেবাভিমুখা দ্রবন্তি। তথা তবামী নরলোকবীরা বিশন্তি বক্ত্রাণ্যভিবিজ্বলন্তি।
২৮
These warriors of the mortal world are entering Your blazing mouths as many torrents of the rivers enter into the ocean. (Gita 11:28)
যথা প্রদীপ্তং জ্বলনং পতাঙ্গা বিশন্তি নাশায় সমৃদ্ভবেগাঃ। তথৈব নাশায় বিশন্তি লোকা- স্তবাপি বক্ত্রাণি সমৃদ্ভবেগাঃ। ২৯
All these people are rapidly rushing into Your mouths for destruction as moths rush with great speed into the blazing flame for destruction. (Gita 11:29)
লেলিহ্যসে গ্রসমানঃ সমন্তা- ল্লোকান্ সমগ্রান্বদনৈর্জ্বলদ্ভিঃ। তেজোভিরাপূর্য জগৎসমগ্রং ভাসস্তবোগ্রাঃ প্রতপন্তি বিষ্ণো। ৩০
You are licking up all the worlds with Your flaming mouths, swallowing them from all sides. (Gita 11:30)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।