আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুজিবনগরে ছাত্রী উত্যক্ত করার প্রতিবাদ : শিবপুর ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ : শিবপুর গ্রামবাসীর বিক্ষোভ : ইউপি চেয়ারম্যান প্রহৃত : উভয়পক্ষের আহত ১০ :

দূরে অাছি......তার্হ ফেরা সহজ....কাছের মানুষ কখনো ফেরে না......... ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর ও রামনগর গ্রামের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে উপজেলার মোনাখালী ইউপি চেয়ারমানসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মোল্লাসহ ৪ জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর ও রামনগর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানায়, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কয়েকজন যুবক পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের ফিরাতুলের মেয়ে শিবপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মালিহাকে (১৩) উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। এ ঘটনায় মালিহার চাচাতো ভাই মোমিন ও তার বন্ধু শান্তি প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রামনগর গ্রামের বখাটে ওই যুবকরা গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবাদী দু বন্ধুকে মারধর করে। ঘটনাটি শিবপুর গ্রামবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করতে রামনগর গ্রামে ছুটে যায়। কথাকাটির এক পর্যায়ে সেখানে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

সংঘর্ষে শিবপুর গ্রামের কমপক্ষে ৭ ব্যক্তি আহত হয়। এদের মধ্যে আলিম মণ্ডলের ছেলে জিয়ারুল (৩৫) ও ওয়ারেছের ছেলে আব্দুল জব্বারকে (৪৫) আহত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় শিবপুর গ্রামের দু যুবক নিখোঁজ হয় বলে শিবপুর গ্রামবাসী দাবি করে। এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবপুর গ্রামের কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ মিছিলসহ মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের শহরস্থ অফিসে অবস্থান নেয়। এ সময় শিবপুর গ্রামবাসী ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মোল্লা ও তার ভাই মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং তাদের শাস্তি দাবি করে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম মোল্লার উপস্থিতিতে রামনগর গ্রামবাসীরা শিবপুর গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি শিবপুর গ্রামের আহতদের দেখতে যান। এমপি জয়নাল আবেদীনের আগেই শিবপুর গ্রামের লোকজন হাসপাতালে যায়। তারা হাসপাতালের মধ্যেই রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মোল্লাকে দেখেই তার ও তার সঙ্গীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলাকারীরা চেয়ারম্যান ও সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়।

এতে চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মোল্লা ও তার সঙ্গী একই গ্রামের শরিফুদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২) আহত হন। অন্যরা পালিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌছে সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম জনরোষ থেকে চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মোল্লা ও সোহেল রানাকে উদ্ধার করেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ আসে এবং শিবপুর গ্রামের লোকজনদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঘটনার পর শিবপুর ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।