আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেফা পানির আশ্চর্য গুণ!!! গুরুজী মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর

ছবি পরিচিতি: এই মহিলা হলো পীর ছাহেব হুজুরে পাক শহীদ আল বোখারী ওরফে মহাজাতক ওরফে কোয়ান্টামবাগীর সিডনীস্হ আস্তানার একনিষ্ঠ খাদেম। আর শেফা পানি নিয়ে এই খাদেমের অনুভূতি পড়ুন। আপনারা সবাই কমবেশি আমার অসাধারণ বাংলাদেশ ভ্রমনের কাহিনী জানেন। দেশে আমাকে সব থেকে বেশি মোহিত করেছিল লামার কোয়ান্টামমের মমতা। ওখানে কাটানো ৩ টি দিন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

যাইহোক যা বলছিলাম। আরোগ্যশালার শেফা/নিরাময় পানির কথা আমরা সবাই জানি। গুরুজি আমাদের বললেন ৪০ দিন পর্যন্ত দিনে ৮ বার নিয়ত করে এই পানি খেতে। আমরা সবাই পানি সংগ্রহ করি। আমি দুইটা ওয়াটার বটল নিয়ে গিয়েছিলাম।

যার একটা অষ্ট্রেলিয়া নিয়ে আসব বলে মনে মনে ভাবলাম। যদিও এখানকার ইমিগ্রেশন এ ঝামেলা করে তবু ভাবলাম পরেরটা পরে দেখা যাবে। এখন তো রেখে দেই। আর অন্য বটল এর পানি আমরা প্রাণ ভরে খেলাম। যতবার আরগ্যশালায় গিয়েছি ততবার পানি এনেছি আর খেয়েছি।

কিন্ত কোন নিয়ত করি নাই। কারণটা একটু পরে বলছি। যেদিন মেলবোর্ন এয়ারপোর্ট এ এসে পৌঁছলাম, মনে মনে ভাবলাম নিতে দিলে নেব, না হলে তো ফেলে দিতে হবে। যাই ঘটুক আমার মুখে অবশ্যই শোকরআলহামদুলিল্লাহ্‌ উচ্চারিত হবে। আর আমি লুকিয়ে কিছু নেবনা।

তাই Declare দিলাম যে আমার কাছে mango pickle আর holy water (ওদের বোঝার সুবিধার্থে) আছে। তোমরা আমাকে নিতে দিলে নিয়ে যাব নাহলে ফেলে দিতে হবে। সেই সাথে মাটির ব্যাংকেও কিছু টাকা মানত করলাম। আশ্চর্যের বিষয় হল, পানি ওরা কোনভাবেই allow করেনা। সেখানে আমার কাছে পানি আছে জেনেও দেখতে চাইলনা।

আমি বললাম তোমরা যদি চাও আমি বের করে দেখাতে পারি। ওরা বললো, লাগবেনা। It’s ok you can go!!! বাসাতে এসেই আমাদের একজন কোয়ান্টিয়ারকে পানি খেতে দিলাম। নিজেও খেলাম। ওকে বললাম যে গুরুজি বলেছেন নিয়ত করে খেতে।

পরদিন ও আমাকে এসে বল্ল আপু আমাকে একটা বটল এ পানি দিয়েন প্লিজ। আপনি জানেন কি ঘটেছে! আমি বললাম কি? ও বলে যে সে প্রায় এক মাস ধরে জব এপ্লাই করছিল কোন রিপ্লাই আসছিলনা। ওর প্রথম নিয়ত ছিল জবটা যেন হয়ে যায়। পরদিন সকালেই ওর জব হয়ে গিয়েছে (শোকর আলহামদুলিল্লাহ্‌। আসলে আমি ভাবছিলাম যে পানি খেয়ে নিয়ত করলে কি কাজ হয় নাকি চাওয়াটা তীব্র হলে সেটা পূরণ হয়।

এজন্যই আমি কোন নিয়ত করিনি। এই ঘটনায় বেশ আগ্রহ পেলাম এবং নিয়ত করে পানি খাওয়া শুরু করলাম। এবং মজার ব্যপার হল যে কয়টা নিয়ত করেছি আল্লাহর ইচ্ছায় সব সফল। আর এত বড় লম্বা জার্নি করে বেশ ক্লান্ত ছিলাম। এই পানিটা খেলে দেখলাম অনেক এনার্জি পাচ্ছি।

থাক আমার প্রাপ্তি না হয় পরে কোনদিন বলব। সেলের সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে লামা থেকে শেফা পানি আনা হয়েছে। আপনারা এসে সংগ্রহ করে নেন। রবিবার সকালে মেডিটেশনের পর সবাইকে শেফা পানি দেয়া হল। সাথে আমি সবাইকে বললাম যারা পানি নিয়ে জাচ্ছেন তারা সেলের মাটির ব্যাংকে ১/২ ডলার (ইচ্ছা) ফেলে দেন।

আর বাড়িতে গিয়ে পানি খাবার সময় নিয়ত করার সাথে সাথে মাটির ব্যাংকেও টাকা ফেলতে। তাহলে মিস হবার আর সুযোগ থাকছে না। আমরা পানি দিয়েছি গত রবিবার। সেদিন যারা পানি নিয়েছিল আজকে তারা সবাই সাদাকায়নে উপস্থিত ছিলেন ঠিক সময় মত!!! একজন এসোসিয়েট যিনি আগামি সপ্তাহে জব নিয়ে সিডনিতে মুভ করছেন। আর একজন এসোসিয়েট তার মেয়ের স্কুলের টিচার নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানালেন।

আসলে যারা এক সপ্তাহে আসেন অন্য সপ্তাহে আসেন না, আবার কেউ ঘুম থেকে উঠতে পারেন না আজ তাদের সবাইকে সময় মত দেখেই পরম করুণাময়ের অপার করুণার কথা মনে হতে লাগল। সাথে কিছু মতামত। ধন্যবাদ মীম আপু, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে। আমার তো মনে হচ্ছে এখনই লামা কোয়ান্টামমে গিয়ে শেফা পানি পান করি। দোয়া করবেন যেন খুব শীঘ্রই লামা যেতে পারি।

বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আপু। আপনার লিখা পড়ে শেফা পানি পানের জন্য তৃষ্ণার্ত হলাম। [sb]পরম করুণাময় যেন সেই পানি পানের সুযোগ করে দেন। গুরুজি বলেছিলেন দিনে ৮ বার ৪০ গুরুজি বলেছিলেন দিনে ৮ বার ৪০ দিন খেতে নিয়ত করে। এর বেশি কিছু জানিনা।

পরিমাণ আমার যতটুকু মনে আছে, নিয়মটা এমন- সাধারণ চায়ের কাপ বা মগ সাইজের পাত্রে ৮ কাপ বা ৮ মগ পানি খেতে হবে প্রতিদিন, এভাবে ৪০ দিন। ৮ কাপ পানি দিনের বিভিন্ন সময়ে খেলেই হবে। কিছু পরিমাণ শেফা পানি, পানি রাখার বড় পাত্রে সাধারণ খাবার পানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। একবার মেশানোর পরে পাত্রের পানি পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই তাতে সাধারণ খাবার পানি মেশাতে থাকলেই গুণাগুণ অটুট থাকবে। শেফা পানির আশ্চর্য গুণ! আজ আমরা আমাদের একজন এসোসিয়েটকে বিদায় জানালাম।

যাবার কালে উনি আজ বললেন ওনার আরও কিছু প্রাপ্তির কথা। মেলবোর্নে বসেই তার সিডনিতে বাসা ভাড়া হয়ে গিয়েছে মাত্র দুই দিনের মধ্যে। এবং আশ্চর্যের ব্যপার ওনার একটা ড্রাম সেট ছিল যা বিক্রি হচ্ছিলো না। উনি প্রায় অনেক দিন ধরেই অ্যাড দিয়েছেন কোন কাজ হয়নি। গত সপ্তাহে উনি যে দাম চেয়েছিলেন সেই দামেই সেটা বিক্রি হয়ে যায়।

উনি বলছিলেন যে উনি কিছুটা পরিক্ষামুলক ভাবেই নিয়ত করেছিলেন। শোকরআলহামদুলিল্লাহ্‌ । আরও একটা ব্যাপার বলে রাখা ভাল যে প্রথম দিন পানি নেবার সময় কেউ কেউ মাটির ব্যাংকে টাকা রেখেছিলো এর পর তারা শুধুই পানি খেয়ে নিয়ত করেছিলেন। http://quantummethod.org.bd/comment/2193 গুরুজী কি কোনো পুকুরে ফু দিয়ে রাখছে? যেখান থেকে সবাই শেফা পানি কালেক্ট করছে? আচ্ছা, এই ফু টা লামা তে কেন দিলো? ঢাকায় ওয়াসার শোধনাগারে গিয়ে একটা ফু দিয়ে আসলে সমগ্র ঢাকাবাসী যাবতীয় মুশকিল থেকে আসান পেতো। আর এই পীর ছাহেবকে জানতে চাইলে এই পোস্টখানা পড়ুন।

সামু ব্লগে কিছু গুরুজী দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ করা মানুষ আছে। কোয়ান্টাম, গুরুজী, (ভাওতাবাজী এইসব ভন্ডামী বন্ধ করতে চাইলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।