আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Scrapped princess - জীবন নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো এক দুখী রাজকন্যার গল্প

You can do anything, but not everything. লিনেওয়ান রাজ্যে একদিন গ্রেন্ডেলের প্রত্যাদেশ থেকে দৈববাণী আসে যে রাজকন্যা, যে কিনা একটি দুষ্ট নক্ষত্রের ছায়ায় জন্ম নিয়েছে; সে তার ১৬ তম জন্মদিনে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হবে। গ্রেন্ডেলের ভবিষৎবাণী কখনই মিথ্যে হয় নি। সেই কারণে প্রজাবৎসল রাজা তার রাজ্যের কথা চিন্তা করে তার সেনাবাহিনীর একজন নাইটকে দায়িত্ব দেন তার কন্যাকে হত্যা করার জন্য। সেই নাইট যে কোন কারণেই হোক; রাজকন্যাকে হত্যা করতে ব্যার্থ হয় এবং এক দম্পতি তাকে কুড়িয়ে পেয়ে বড় করে তোলে। এভাবেই কেটে যায় ১৫টি বছর।

এখন এই “Scrapped princess” বা বিতারিত রাজকন্যা pacifica cassul তার পালক ভাই Shannon Cassul এবং বোন Raquel Cassul এর সাথে পালিয়ে বেড়াচ্ছে; দেশের পর দেশ; গ্রামের পর গ্রাম; শুধু আততায়ী আর বাউন্টি হান্টারদের হাত থেকেই নয়; বরং রাজার এলিট গার্ড ফোর্স এর হাত থেকেও যারা কি না “poison that will destroy the world” কে হত্যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এদিকে আবার সরকার এবং চার্চের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে; আরেকদিকে সরকারের একটা অংশ চালিত হচ্ছে God like পিসমেকারদের ইশারায় যারা কিনা মানুষকে নিজেদের ইচ্ছা মত ব্যাবহার করতে পারে। কে এই পেসিফিকা কাসুল? দৈববাণী কি আসলেই সঠিক ছিল? ১৬তম জন্মদিনে কি ধরণের দুর্যোগ বয়ে আনবে বিতারিত রাজকন্যা? এই পিসমেকাররাই বা কারা? কি অপেক্ষা করছে রাজকন্যার ভাগ্যে? স্ক্রেপড প্রিন্সেস ক্লাসিকাল ফ্যান্টাসি; ড্রামা এবং সায়েন্স ফিকশনের এক অসাধারণ মিশ্রণ। প্লট যথেষ্ট immersive এবং বিশ্বাসযোগ্য। এনিমটির চরিত্রগুলো যথেষ্ট যত্ন নিয়ে তৈরি করা; সেই সাথে আনন্দদায়ক এবং ওয়েল রিটেন।

মাঝখানে সায়েন্স ফিকশনের প্রবেশ মোটেও কাহিনীকে cliché করা কিংবা গল্পের চরিত্রগুলোর বন্য উদ্দামতায় জিনিসপত্র ধ্বংসের উপাদান হিসেবে ব্যাবহার হয় নি; বরং গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন “হারিয়ে যাওয়া বিজ্ঞান” উপাদানটি প্লটকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। গল্পের মুল প্লট আবর্তিত হয় পেসিফিকা কাসুল চরিত্রটিকে ঘিরে; যে কিনা এইটুকু জানে যে তাকে হত্যার জন্য অনেকেই সচেষ্ট; কিন্তু তার ভুমিকা কিংবা সে আসলেই কে এই নিয়ে তার বিভ্রান্তি এবং তার কারণে সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে তার অসহায় আর্তনাদ এনিমে সেইরকম মেলোড্রামার তৈরি করে নি। খানিকটা ইচড়ে পাকা , এনার্জেটিক, খানিকটা spoiled; পেসিফিকা না angsty না bratty. ব্যাপারটি ফুটিয়ে তোলার জন্য চমৎকার মুন্সিয়ানার দরকার; সেক্ষেত্রে এর লেখক খুব সুন্দরভাবে চরিত্রটিকে উপস্থাপনের কৃতিত্বের দাবি করতেই পারেন। পাশাপাশি পাসিফিকার দত্তক ফ্যামিলি ; তার বড় ভাই শানন যে কিনা একজন মাস্টার সোর্ডসম্যান এবং বোন রাকুএল যে বেশ ভাল জাদুকর এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া গল্পের প্লটকে সবসময়েই প্রানবন্ত রেখেছে । এর পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লেওন শুরু করে পাশের রাজ্যের সেন্সেস; কিংবা গির্জার ভ্রমণরত তদন্তকারী বারগেইন্স – প্রত্যেকটি পার্শচরিত্রই “fun to watch.” একটা জিনিস বলে রাখা ভাল; প্রথম বর্ণনা শুনে যেই রকম মার মার কাট কাট ভাব মনে আসতেছে এনিমটা মোটেও সেইরকম না।

মাঝে মাঝেই আকর্ষণীয় মারামারির দৃশ্য আছে; তবে সাধারণত এনিমটা বেশ স্লো এবং soothing একটা পেইসে এগিয়ে গিয়েছে। কালারফুল পরিবেশ, সহজ কিন্তু সুন্দর চরিত্র রুপায়ন, রক্তের অনুপস্থিতি, এবং আকর্ষণীয় পোশাক আশাকের এনিমটিতে একশন সিকুয়েন্সের মধ্যে ড্রাগুন এবং পিসমেকারদের ফাইটগুলো যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। এছাড়া শুরু এবং শেষের গানগুলোতে ব্যাগপাইপের ব্যাবহার যথেষ্ট কানের জন্য শ্রুতিমধুর করে তুলেছে। এছাড়া অন্যান্য এনিমের চেয়ে এই এনিমের এন্ডিংটা কিঞ্চিত আলাদা। কিভাবে? সেটা দেখতেই তো বসবেন।

এক কথায় বলা যায় আপনি যদি ভাল স্টোরিলাইন, সুন্দর একটি মেসেজ, ভাল ডায়লগ এবং আকর্ষণীয় চরিত্র নিয়ে বানানো even paced ফান এবং সিরিয়াসনেসের মিশেলে কোন এনিম দেখতে চান; তবে scrapped princess আপনার জন্যই...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।