লাইনে আসুন, নইলে........... আর্ন্তজাতিক সংবাদাতা ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হানিমুন শেষে সাংবাদিকদের চোখে ধূলা ছিটিয়ে বিমানের পেছনের দরজা দিয়ে বের হবার সময় পথ আগলে থাকা আমাদের এক সংবাদাতার প্রশ্নের জবাবে ডিফু মুনি বলেছেন,"যারা আমাদের বন্ধু প্রতীম ভারতীয়দের ছাই-বার স্পিছ পুটু মেরেছে তারা আসলে নাদান পুলাপান। আমাদের বাসায় যেমন ছোট বাচ্চারা দুস্টুমি করতে গিয়ে পছন্দের কিছু ভেঙ্গে ফেললে মনে মনে কঠিন রাগ হলেও মুখে কিছু বলা যায়না তেমনি এই ব্যাপারটা আসলে সেরকমই কিছু একটা " আমি দাদাদের এই বলে আশ্বস্থ করেছি যে, এ ব্যাপারে যদি কোন যুদ্ধপরাধী বা ইসলামী সিন্ডিকেট জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হবে, প্রয়োজনে আমরা তাদেরকে ধরে বর্ডারে নিয়ে আসব এবং গরুচোর, চোরাকারবারী এবং চোরাচালানী হিসেবে আপনাদের বিএসএফ জওয়ানরা নিজ হাতে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবে। দাদাদের পেমেন্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন- আপনারা জানেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মাজা ব্যাথা নিয়ে এই বয়সেও আমাকে প্রায়ই বিদেশে যেতে হয়। দাদাদের পেমেন্ট কালেক্ট করা এবং ভাদাদের পেমেন্ট করাই আমার প্রধান কাজ, স্বল্প সময়ের মধ্যে পেমেন্ট কমপ্লিট করে প্রত্যেকবার কানিজের বিশেষ অনুরোধে পারসোনার জন্য লেটেস্ট কসমেটিক্স কিনতে গিয়ে আমার নির্ধারীত সময় কেটে যায়, আপনিতো জানেন মার্কেটিং করাটা কোন সহজ বিষয় নয় আর সেটা যদি কসমেটিক্স হয় তাহলেতো কথাই নেই। এত পরিশ্রমের পর এই চেহারা নিয়ে দেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর জন্য সে দেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের কাছে মুখ দেথানোর জন্য মাজার জোর থাকেনা।

এই সহজ বিষয়টি বুঝতে পারেন না বলেই দেশের সাংবাদিক সমাজের উন্নতি হওয়াতো দূরের কথা দিন দিন আরো অবনতি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন- আমাদের একনিষ্ট কর্মিরা যাদেরকে দুষ্ট ও বিপথগামী কিছু ব্লগার ভাদা-ভাকু বলে ডাকে তারাতো এখন শুধু দেশে বসেই ভাদামী করেনা, আপনাকে বুঝতে হবে এটা গ্লোবালাইজেশনের যোগ। তারা এখন পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং নিজ অবস্থানে বসেই ভাদামী করছে। কিন্তু সময় মতো যদি তাদের পেমেন্ট না পৌঁছায় তাহলে কি অবস্থা হতে পারে চিন্তা করে দেখুন। তিনি সকল হ্যাকারদেরকে হ্যাকিং বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মন দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন ভারতীয় পুলাপান যেখানে ৪০০-৫০০ সাইট হ্যাক করেছে সেখানে তোমরা ২০,০০০ সাইট হ্যাক করেছ, এতেই প্রতিয়মান হয় যে, পড়াশোনায় তোমাদের মোটেও মনোযোগ নেই।

ভারতীয় ছেলে-পেলেরা এই সব করেনা তারা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে তাই আমি তাদেরকে এতো ভালবাসি এবং তোমরা যদি আমার কথা মতো চল আমি তোমাদেরকেও সেরকম ভালবাসব। অচিরেই হ্যাকিং বন্ধ না করলে তিনি হ্যাকারদের বা-মার কাছে নালিশ করবেন বলেও হুমকী প্রদান করেন। এ পর্যায়ে ডিফু মুনি কাছে এসে কানে কানে বলেন- এটা টপ সিক্রেট বিষয়, পেমেন্টের এতগুলি টাকাতো আর যার-তার হাতে দেয়া যায়না এবং আসার সময় কসমেটিক্সগুলি ফেলে আসা যায়না। এয়ারপোর্টেও আমার লাগেজ চেক হয়না তাই এই কাজগুলি আমাকেই করতে হয়। অন্য কাউকে পাঠিয়ে রিস্ক নেয়া যায়না।

আপনার জন্য পেমেন্ট বা কসমেটিক্স এর কোন ভাগ থাকেনা? এ প্রশ্নে জবারে তিনি তার সেই ভূবন ভূলানো হাসি দিয়ে বলেনঃ খেলার সাথে রাজনীতি মিশাবেন না।  ।