আমি আমাকে নিয়েই তো এখনও বেচে আছি । একদিনআমাকে নিয়েই চলে যাব । সেদিন খুঁজলেও আর পাবি না..........আমার ভার্চুয়াল ফ্যাক্টরিতে স্বাগতম । আমার মন খারাপের সময়টা এখানে আর ফেসবুকে কাটে । মাঝে মাঝে দু একটা লেখা তৈরি করতে ইচ্ছা হলে চলে আসি এখানে ।
https://www.facebo হাইওয়ে দিয়ে হাটছিলাম একা। ভেলেন্টাইন ডে আজকে । বন্ধুরা সবাই তাদের প্রিয় মানুষকে নিয়ে ব্যাস্ত । আমি তাই ভাবলাম একটু প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়ে আসি ।
এসব ভাবতে ভাবতে হাটছি একা একা ।
পরন্ত বিকেল তখন ।
হটাত্ একটা ছোট্ট মেয়ে দৌড়ে সামনে এলো । ওর হাতে ছিলো রক্তলাল গোলাপের থোকা ।
কাছে এসে আস্তে করে বলল "ভাইয়া একটা গোলাপ নেন । "
আমি অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকালাম ।
বড়জোড় ৮-৯ বছর হবে ।
মুখটা বেশ মায়াময় । হাটু গেড়ে রাস্তায় বসলাম । হেসে বললাম "কার জন্য কিনবো ?"
মেয়েটা পাল্টা হেসে বলল "আপনের বান্ধবীর জন্য । "
হো হো করে হেসে উঠলাম ।
হেসে বললাম "আমার তো কোন বান্ধবী নেই । "
মেয়েটার চেহারায় হাসি হাসি ভাবটা চলে গেলো । কচি মায়াময় মুখটাতে শ্রাবণের মেঘ জড়ো হলো ।
আমার বুকটা কেমন যেনো মোচড় দিলো । মুচকি হেসে বললাম "আচ্ছা ঠিক আছে দাও ২ টা ।
"
মেয়েটার মুখে আবার ফিরে এলো খুশির ছটা । নিষ্পাপ হেসে জিজ্ঞেস করলো "২ টা কার জন্য । "
ওর হাত থেকে দুটো গোলাপ নিলাম । দাম দিলাম ফুল গুলোর ।
তারপর একটা শার্টের পকেটে রেখে আরেকটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম "একটা আমার , আর একটা তোমার জন্য ।
কি ? হবে আমার বান্ধবী?"
মেয়েটা মায়াময় চোখে লজ্জ্বা দেখতে পেলাম । আমার হাত থেকে ছোঁ দিয়ে ফুলটা নিয়েই দৌড় দিলো সে ।
আমি তখনো ওভাবেই বসে আছি । অদ্ভুত এক ভাললাগায় ভরেগেছে মন ।
অদ্ভুত এক ভাললাগা ।
তাহলে কি এটাই ভালবাসা ?
হবে হয়তো । ধারনা নেই । তবে মেয়েটার মায়াময় মুখটা তখনো ভাসছে চোখের সামনে ।
উঠে দাড়ালাম । আবার হাটছি আপনমনে ।
থমকে দাড়াতে হলো আমাকে । অবাক বিস্ময়ে দেখছি সামনে দুটো পিচ্চিকে ।
সম্ভবত ভাইবোন হবে । ভাইটা বড় । বয়স আনুমানিক ৯-১০ হবে ।
আর মেয়েটার বয়স বড়জোড় ৫ হবে ।
অবাক হয়ে দেখলাম , বোনের ছোট হাতটা নিজের ছোট হাতের মুঠোয় আকড়ে ধরে সর্তকতার সাথে রাস্তা পাড় হচ্ছে ।
আর মেয়েটা পরম নির্ভরতায় ভাইয়ের গেন্জির কোনা ধরে রেখেছে ।
রাস্তা পাড় হয়ে তারা আমার কাছাকাছি আসলো । ডাক দিলাম তাদেরকে ।
এগিয়ে এলো তারা । অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
শার্টের পকেট থেকে গোলাপটা বের করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলাম গোলাপটার দিকে ।
তারপর হেসে গোলাপটা বাড়িয়ে দিলাম ছেলেটার দিকে ।
ছেলেটা হাসিমুখে গোলাপটা নিলো ।
তারপর সেটা ধরিয়ে দিলো তার বোনের হাতে ।
ছোট্ট মেয়েটার নিষ্পাপ চেহারায় অদ্ভুত একটা প্রশান্তি দেখতে পেলাম ।
ভাইকে ইশারা করলো সে । ছেলেটা নিচু হলো । আর ঐ সুযোগে টুক করে ভাইয়ের গালে একটা চুমু দিয়ে দিলো মেয়েটি ।
আমি আবারও স্তম্ভিত । ভাইবোন বিদায় নিলো ।
আমি তখন চেয়ে আছি ভাইবোনের গমন পথে ।
মাথার উপর একটা কৃষ্নচূড়া গাছ ছিলো । হটাত্ করেই জোড়ে বাতাস বয়ে গেলো ।
আর কৃষ্নচূড়া ফুল আমার উপর এসে পরলো । আমি তখন চোখ বন্ধ করে চুপ করে দাড়িয়ে আছি ।
ফুলের স্পর্শ অনূভব করছি আপনমনে।
মনটা একদম শান্ত । অদ্ভুত ভাললাগায় ভরে আছে ।
দু হাত ছড়িয়ে দিলাম দুদিকে ।
ফাল্গুনের মিষ্টি হিমেল বাতাস স্পর্শ করে যাচ্ছে আমাকে ।
আমি তখন সপ্নিল চোখে চেয়ে আছি দিগন্তের দিকে । যেখানে সূর্য অস্ত যাচ্ছে ।
মনের মধ্যে অদ্ভুত শিহোরন।
অদ্ভুত ভাললাগা । হয়তো এটাই ভালবাসা । ভালবাসার নিষ্পাপ অনূভূতি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।