...............................................................................................................................................................। বিংশ শতাব্দীতে আমরা অনেক আগেই প্রবেশ করেছি। বিংশ শতাব্দীর নামই যেন নব যুগের পরিচয় বহন করে। কালের ক্রমান্বয়ে বদলে যাচ্ছে রীতি নীতি। সময়ের বিবর্তনে সংস্কৃতিতেও যেন বিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।
ধীরে ধীরে পাল্ট যাচ্ছে জীবন ধারা। ক’বছর আগেও আমরা বিজয় দিবস,শহীদ দিবস আর স্বাধীনতা দিবস ছাড়া অন্য দিবস গুলো সম্পর্কে বেশ পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু ইদানিং কালে দেখা যাচ্ছে এসব দিবসের চেয়ে জনমনে বেশি গুরত্ব পাচ্ছে অন্য দিবস গুলো। ছোট্ট শিশু থেকে মাঝ বয়সীরাও আজ বিশেষ করে বাবা দিবস,মা দিবস এবং ভ্যালেনটাইন বা ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। এ দিবস গুলোতে ও তাদের আনন্দের কমতি থাকেনা।
যে আনন্দকে আরো কাছে নিয়ে গেছে আমাদের মিডিয়া গুলো। তরুন মহলে বেশ ভালোভাবে সাড়া ফেলেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আমাদের দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। তরুন প্রজন্মের কাছে দিনটি অনেক জনপ্রিয়। কিছুদিন পরেই সেই কাঙ্কখিত দিন।
আর বেশি বাকি নেই। আমাদের মিডিয়া গুলো অনেক আগে থেকেই এর পিছনে লেগে আছে। শুরু করেছে নানা নানা কর্মসূচি। তরুন প্রজন্ম দিনটাকে বেশ আগ্রহের সাথে গ্রহন করেছে। দিনটি তারা স্মরনীয় করে রাখতে উদগ্রীব।
যারা ইতিমধ্যে নিজের প্রিয়জনকে আয়ত্বে আনতে সক্ষম হয়েছে,তারা চায় দিনটিকে অন্য কোন ভাবে ,বিশেষ কোন কিছু দিয়ে স্মরনীয় করে রাখতে চায়। আর অনেকে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে এ দিনটির সম্মুখীন হয়। দিনটির বিশেষত্বই এর গুরত্ব বহন করে। তারা এ দিনে কাঙ্খিত প্রিয়জনকে মনের কথা জানানোর জন্য অপেক্ষা করে। আমি আদৌ জানিনা এ দিনে কারো নতুন দুয়ার খুলেছে কিনা।
আমি আমার জানামতে আশেপাশে কারো দেখিনি কিংবা শুনিনি। তবে আমি মনে প্রানে চাই সবাই সবার মত করে পছন্দ দিনে নতুন দুয়ার খুলুক। হৃদয়ের দ্বার খুলে দিক কারো জন্য,কারো বা হৃদয়ের দ্বার খুলে যাক কারো জন্য। অনেকেই উতলা হাওয়ায় ভাসতে শুরু করেছে সবে মাত্র। ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে মনের মধ্যে একটা ভাবনা জায়গা করে নিয়েছে।
ভাবনাগুলো এদিক ওদিক ঘুরপাক খাচ্ছে। বুঝতে পারছেনা ভালোবাসা দিবস তার জন্য কি নিয়ে অপেক্ষা করছে। আর সেই বা ভালোবাসা দিবসের জন্য কি নিয়ে অপেক্ষা করছে। কেউবা সেই বহুকাল থেকেই একবুক ভালোবাসা পেতে বসে আছে। ভালোবাসা দিবস আসে আবার চলে যায়,আসে আবার চলে যায় তার ভালোবাসা নেবার জন্য কেউ আসেনা।
কিংবা তাকে আরো দেবার জন্য ও কেউ আসেনা। ভালোবাসা দিবস তার কাছে শুধু মাত্র সপ্তাহের অন্যসকল দিনের মত একটি দিন হয়ত শনিবার বা রবিবার বা সোম বা মংগল বা বুধ বা বৃহস্পতি কিংবা শুক্রবার। অনেকে আগের ভালোবাসা দিবসগুলো পার করেছে তার প্রিয়জনকে নিয়ে কিন্তু এ দিবস তার কাটবে নিসংগ সুর্যের মত। সময়ের আবর্তনে দিনের শুরু হবে, সারাদিন কৃতকর্মের খেলা শেষে বাড়ি ফিরে যাবে। তার কাছে দিনটির কোন বিশেষত্ব থাকবে না।
তবে বিষন্নতায় হয়ত ক্ষিপ্রভাবে কিরন ছড়াবে এক ঝাক না বলা অভিশাপের মধ্যদিয়ে। অনেকে এই প্রথম ভালোবাসা দিবস কাটাবে প্রিয়জনকে সাথে করে। সে জন্য হয়ত আগ মুহুর্তে ঘুম ও হচ্ছেনা মন ভরে। সেই কবে থেকে প্ল্যান করা আছে দিনটি কিভাবে কাটানো হবে?তাই সে উত্তেজনা বিরাজ করছে মনে। কে কে কেমন কাটাবে এ আমার জানার বিষয় নয় এমনকি আমি জানতে আগ্রহী ও নই।
প্রকৃতির কোনায় একটি মানবকে ও যেন গোপনে জল ঝরাতে হয় এই কামনা আমার। কোন এক নতুন ক্লাসে একশিক্ষক বলেছিলেন ‘তোমরা নতুন পরিবেশে আসছ। ইতমধ্যে হয়ত অনেকে বন্ধু জোগাড় করে ফেলেছ। তবে এই শেষ নয়,শুরু মাত্র। কারো আছে কারো নেই,এই নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই।
’ যে কথাটি আমার কাছে বেশ গুরত্ব পেয়েছে। আবহমান বাংলার রুপই আমাদের প্রেমে পড়তে শিখিয়েছে। আমাদের ঋতু বৈচিত্রই আমাদের ভালোবাসা শিখিয়েছে,আকর্ষন ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। রবীন্দ্র নজরুলই তো আমাদের প্রেম শিখিয়ে গেছে। এমন সুর এমন কাব্যকথা,এমন হৃদয় জাগানো কবিতা তারা না লিখলে তো আমরা প্রেম শিখতাম না।
……………….ভালোবাসা দিবসে সবার মন কানায় কানায় পরিপুর্ন হোক ভালোবাসা দিয়ে।
(সংক্ষেপিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।