তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডে তদন্তে অগ্রগতি দাবি করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শনিবার ভোররাতে খুন হওয়ার পর দুপুরে সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
ওই সময় অতিক্রান্তের সময়সীমার মধ্যে সোমবার দুপুর ১টায় পুলিশপ্রধান হাসান মাহমুদ খোন্দকার একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়বস্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হলেও এটা স্পষ্ট এই হত্যাকাণ্ডই এতে প্রাধান্য পাবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইমাম হোসেন রোববার রাতে রাজাবাজারে সাগর-রুনির বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবারের মধ্যেই এই খুনের রহস্য উন্মোচন হবে। ”
তিনি এর আগে বিকালে বলেছিলেন, “মাননীয় মন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের প্রতিশ্র“তি রক্ষা করা চেষ্টা করছি আমরা। ”
পশ্চিম রাজাবাজারে যে বাড়িটিতে সাগর-রুনি খুন হয়েছিলেন তা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত। গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডিও এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববারও সাংবাদিকদের বলেন, তার প্রতিশ্র“ত সময়ের মধ্যেই খুনিদের ধরা হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মারুফ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত চলছে। যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা যাবে। ”
ইমাম হোসেন জানান, গোয়েন্দা পুলিশের দুটি, সিআইডির একটি এবং পুলিশের দুটি দল এই তদন্ত চালাচ্ছে। এসব দলের সমন্বয় করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মারুফ।
রোববার সকালে ঘটনাস্থলে সমন্বয় বৈঠক করেন। এরপর রাতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আবার বৈঠক করেন তারা।
ঘটনাটি র্যাব আলাদাভাবে তদন্ত করলেও তাদের সঙ্গেও সমন্বয় হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ইমাম বলেন, এই ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্ত করতে গিয়ে প্রতিটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ‘অজ্ঞাত পরিচয়’ আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান।
শেরে বাংলা নগর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, রোববারও সাংবাদিক দম্পতির দুই পরিবারের সঙ্গে তদন্ত দল কথা বলেছে। প্রয়োজনে আরো কথা বলা হবে।
তদন্ত দল সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। আরো কিছু বিষয় নিশ্চিত হতে পুলিশ কাজ করছে।
”
এদিকে র্যাব এবং গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং সাংবাদিক দম্পতির ছেলে মাহিন সরওয়ার মেঘের স্কুল ‘উইলিয়াম কেরি’র পিকনিকের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র সংগ্রহ করেছে। এগুলো যাচাই করে দেখছে তারা।
হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় অবস্থানকারী ৫ বছর বয়সি মেঘ পুলিশকে বলেছে, দুই ব্যক্তি তারা বাবা-মাকে হত্যা করেছে। ওই দুজনকে আগে সে একটি পিকনিকে দেখেছিল।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।