আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাম্প্রদায়িকতার নামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়ানো হচ্ছে কেন ??????

আজকে হটাত করেই কৌশিক শাহেবের ১ টি পোস্ট সটীকী করা দেখে পরলাম, আর পরার পর ভাব্লাম আমি যদি এই পোস্ট টি না দেই তাহলে হয়তো আমি অপরাধী থাকবো। তাই এই অপরাধ বোধ থেকে মুক্তি পেতেই আজকের এই পোস্টটি দেয়া। দয়া করে আজকের এই পোস্ট টি কেউ এড়িয়ে যাবেন না। ১বার পরে দেখুন আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি তাহলে আমাকে কমেন্ট করে ধরিয়ে দিন। আমারা খুব ভালো করেই দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষ আছে তারা চাচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে ১ টা কলহ সৃষ্টি করতে।

তারা কিছু হলেই প্রমাণ করতে চায় সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এর পেছনে হয়তো বড় ধরনের মদত দাতা রয়েছে। কারন তারা চায় বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে,। অথচ এখানে হিন্দুরা মুসলমানদের ভাই এবং বোনের মতো পাশাপাশি বাস করে। আমার নিচের লেখাগুলো একবার পড়ুন এবং নিজে ভাবুন।

কৌশিক সাহেব আপনি লিখেছেন পত্রিকা গুলো কেন এই খবর চেপে যাচ্ছে। না পত্রিকা খবর চেপে যায় নাই। যতোটুকু প্রকাশের দরকার ছিল ততোটুকু করেছে পত্রিকা। তবে কিছু কিছু পত্রিকা উল্টা পাল্টা লিখতে পারে। আর শুনেন একটা পত্রিকা এমন কাজ কখনই করতে পারে না যেটা রাষ্ট্র কে আরও বড় ধরনের হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।

যেটা আপনি করতে পারেন, কারন আপনি সবসময় চিন্তা করবেন আপনার নিজের ভাবনা থেকে। আর পত্রিকাকে চিন্তা করতে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রের মানুষদের। পত্রিকার চিন্তা হল কিভাবে এই দাঙ্গা বন্ধ করা, কোন পক্ষকে উস্কিয়ে দেয়া না। তবে হে কিছু কিছু পত্রিকা তাদের নিজের দায় দায়িত্ব ভুলে যায় রাষ্ট্র এর প্রতি। তখন তারাও কিছু উস্কানি মূলক লেখা লেখে।

কৌশিক সাহেব আপনাকে আর কষ্ট করে আমাদের দেশ কে আর অসাম্প্রদায়িক বানাতে হবে না। বরং আপনাদের প্রতি আমার অনুরধ দয়া করে আপনাদের মতো লেখক রা যাতে এমন কোন লেখা না লেখেন যাতে করে আপনারা আমাদের দেশ কে আর বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেন। কারন আপনি আপনার পোস্টে ছবি দিয়েছেন মোট ৮ টি এর মধ্যে মসজিদ ভাঙ্গার ছবি দিয়েছেন ১ টি, এতে করেই হিন্দুদেরকে উস্কিয়ে দিচ্ছেন না আপনি??? যে কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ এই পোস্ট টি পরলে ভাববে তাদের অপর অত্যাচার হয়েছে বেশি। অথচ মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওভয় পক্ষেরই , কিন্তু আপনি শুধু এক পখ্যকে উস্কিয়ে দিতে চাইছেন কৌশলে। এবং আপনার লেখার শিরোনামে যেই যেই ছবি টি সেটাও একটি মূর্তির ভগ্নাংশ।

তাতে করে কি আপনি হিন্দুদের কে উস্কিয়ে দিচ্ছেন না দাঙ্গা বারানর জন্য????? ভাই কিছু দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, একটি গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারে ডাকাতদের হামলা। পরে আসল ঘটনা জানতে পারলাম ,একই মাসে ওই গ্রামে মোট ১১ টি ঘরে ডাকতি হয়েছে এর মধ্যে ১ টি ঘর ছিল হিন্দু। আর বাকি ১০ টি ঘর ছিল মুসল্মান। কিন্তু আমাদের মুসলিম নামের অমুসলিমরা ছরাতে লাগলো যে হিন্দুদের অপর অত্যাচার হচ্ছে। আরে ভাই এক মাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে (রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম যখন ছিল) হুন্দুদের পুজা আর মুসলমানদের ঈদ এক সাথে হয়।

যেটা আমাদের পাশের দেশ ভারতেও হয় না। একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে হিন্দুদের ধর্মীয় দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা দেয়,একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে হিন্দুদের ধর্মীয় দিনগুলোতে আমাদের একমাত্র সরকারি টি ভি বিটিভি তে সারা সপ্তাহ ব্যাপী হিন্দু ধর্মীয় অনুস্থান প্রচার করা হয়। এক মাত্র দেশ বাংলাদেশ যে দেশের একমাত্র সরকারি টি ভি প্রতিদিন ওপেন করার সময় হিন্দু মুসলিম এবং খ্রিস্থান্দের সবার ধর্মের ধর্মীয় ঘ্রন্থ পাঠ এর মাধ্যমে ওপেন করা হয়। যেটা পৃথিবীর আর কোন দেশে নাই। একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেই দেশের প্রধান মন্ত্রী সংবিধানে সকল ধর্মের সমতা আনার জন্য নিজ দেশের সংবিধান পর্যন্ত পরিবর্তন করেছেন।

যেটা ছিল উনার জন্য অনেক বড় একটা হুমকি। বরং আজকে ভারতে মুসলমান রা নানা ভাবে অত্ত্যাচারিত,ভারতের কোন টি ভি চ্যানেল ওপেন করার সময় মুসলিমদের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত হয় না, আজকে ইউরোপ এতো আধুনিক অথচ ওদের দেশগুলতে মুসলিমদের ধর্মীয় দিনগুলোতে কোন সরকারি ছুটি নেই। ঈদের নামাজ পর্যন্ত পরতে পারে না অনেকে কাজের জন্য। ফ্রান্সে আজকে মেয়েদের হিজাব পরা নিষেধ করেছে, ফ্রান্সে মসজিদ গুলো ছোট হউয়াতে জুম্মার নামাজ এর সময় মসজিদের ভেতরে জায়গা হয় না তাই মুসলমানরা মসজিদের বাইরে রাস্তায় দারিয়ে নামাজ পড়তো, সেই জন্য ফ্রান্স সরকার এখন থেকে রাস্থায় নামাজ পরা নিষেধ করেছে। আর ভারতে কিভাবে এবং কত ভাবে মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে সেটা মনে হয় আপনাদের সবার জানা।

তারপরেও আমি কয়েকটা লিঙ্ক দিচ্ছি একটু দেখুন আর ভেবে দেখুন মুসলমানরা আজকে ইন্ডিয়া তে কতটা অসহায়। Muslims killed in India ২য় ভিডিও ৩য় ভিডিও এই রকম হাজারো প্রমাণ আছে সংখ্যালঘু হিসাবে মুসলমানদের অত্যাচারিত হবার । কিন্তু আমাদের দেশ বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে কোন সাম্প্রদায়িকতা নেই। একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেই দেশের প্রধান মন্ত্রী সংবিধানে সকল ধর্মের সমতা আনার জন্য নিজ দেশের সংবিধান পর্যন্ত পরিবর্তন করেছেন। যেটা ছিল উনার জন্য অনেক বড় একটা হুমকি।

এমনকি ইসলামি দল গুলো আমাদের প্রধান মন্ত্রির প্রান নাশের হুমকিও দিয়েছিল, তারপরেও আমাদের প্রধান মন্ত্রী ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ এর সংবিধানে সকল ধর্মের সমতা এনেছেন। এর পরেও কি বলবেন এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় ????????????????????????????????? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।