আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিকিম সিনড্রোমঃ তথাকথিত সেনা ক্যুতে হাসিনাকে উদ্ধারের জন্য হিন্দুস্থান বিমানবাহিনী প্রস্তুত ছিল!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভারতের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডে গত মাসে উতঘাটিত ব্যথ সেনা বিদ্রোহ নিয়ে বেশ কিছু পিলে চমকানো তথ্য দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে প্রতিবেদনের শুরুতে এমন কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যা ইতঃপূর্বে বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমে আসেনি। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে নয়াদিল্লী থেকে একটি গোপন টিঠি ঢাকায় যায়। চিঠিটি সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (৬৫) উদ্দেশ্য করে লেখা। এটিতে তাকে হুঁশিয়ার করা হয় যে, চরমপন্থী ইসলামীগোষ্ঠী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে মিলে একটি ক্যু-এর পরিকল্পনা করছে।

হাসিনার ক্যুভীতি রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা), তার মন্ত্রিপরিষদ এবং তার দল আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে ক্যু-এর মতো দৈবঘটনায় দেশ ত্যাগে সাহায্য করতে ভারতের পরিকল্পনায় রয়েছে। এ পরিকল্পনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা থেকে ঢাকায় ভাতরীয় হেলিকপ্টাপর এ কাজে নিয়োজিত থাকার কথা ছিল। একই সাথে রাজধানীর (ঢাকা) চতুর্দিকে এয়ার কড়িডোর এবং ল্যান্ডিং জোন ও স্থানান্তর সাইট নির্ধারণ করা ছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) হাসিনাকে স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিল। এ সংস্থাটির প্রধান মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, যিনি কি-না হাসিনার ব্যক্তিগত পছন্দে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা ষড়যন্ত্রের সন্দেহভাজন টেলিফোন কথোপকথন, এসএমএস এবং ই-মেইল ধারণ ও সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো মনিটরিং করতে থাকে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বহু গ্রেফতার হয়।

মজার ব্যাপার হলো, ঐ প্রতিবেদন লে জে মাইনুল ইসলামকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, রিপোর্টি পড়ুন এখানে, Click This Link কৃতজ্ঞতাঃ http://www.amarbornomala.com/post11880.html ************************ প্রকৃতপক্ষে ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশও এই ক্যু ও তথাকথিত জঙ্গীবাদে প্রক্সি দিচ্ছে তা ফারুক ওয়াসিফের লেখাতেও প্রমাণ মিলে; http://www.unmochon.net/node/1354 বাংলাদেশকে তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীবাদের ধুয়া তুলে ভারত রাজনৈতিক, ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে তাই এই নিরন্তন ষড়যন্ত্র! সেই মুজিব আমল হতেই দিল্লী বিভিন্ন চক্রান্ত করে আসছে। সেটা শুরু হয় উপজাতি চাকমাদের সাথে মুজিব সরকারের রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে। ভারত এদের অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও সামরিক ট্রেনিং দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য শান্তিবাহিনী গঠন করে। তারপর ১৯৯৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সন্ত্রাসী আনন্দমর্গকে বিমান হতে অস্ত্র, বোমা সরবারাহ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়ানো হয়। ঐ সময় বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট হতে এই অস্ত্র, গোলা বিমানে লোড করা হয়।

কিন্তু এটা যে কংগ্রেসেরই একটি ষড়যন্ত্র তা দীর্ঘদিন পরে প্রমাণিত; Click This Link যে ভারতের বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী নিজ দেশের রাজ্য সরকার গুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তার পক্ষে বাংলাদেশকে বাগে আনার জন্য এই সমস্ত তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীবাদ ও অতিসম্প্রতি সেনা-ক্যুর মঞ্চ রচনা খুবই সম্ভব। আমরা জানি শ্রীলংকার তামিলদের কারা অস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়ে দেশটি বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দিল্লীর প্রবল ষড়যন্ত্র ও প্রবল প্রভাবে স্বাধীন সিকিমের সর্বশেষ সরকার প্রধান দালাল লেন্দুপ দোররাজী দেশটিকে ভারতের কাছে বিলীন করে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সেনা-ক্যু নিয়ে "র" এর গোয়েন্দা রিপোর্ট যেভাবে ঘটনা প্রবাহে জড়িয়ে আছে এবং হাসিনাকে নিরাপত্তা দানে প্রস্তুত ছিল তাতে বাংলাদেশেও সিকিম ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশংকা প্রবল।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.