আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদের চরিত্র:

চারপাশে আত্মমুগ্ধ আদিমতাবোধ, আর গ্রন্থিবদ্ধ চিন্তা; সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজি... একটি সমাজের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করে সেই সমাজের সামাজিক নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে। আর এই সামাজিক নিরাপত্তা আসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির উপর। সা¤প্রদায়িক সম্প্রীতি তার প্রধানতম বিষয়। মৌলবাদীতা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয় এবং সাম্প্রদায়িকতা সব সময়ই হিংসাত্মক মনোভাব লালন করে। অপর সম্প্রদায়ের প্রতি বিরূপতা হিংসা প্রায়ই সহিংস হয়ে ওঠে।

সেখানে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘুকে অধিকারহীন করে। এই বিষয়টি ধর্মকেন্দ্রিক হলে তো কথাই নেই, ধর্মের নামে চলে একে অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের প্রতি কটুক্তি থেকে শুরু করে দাঙ্গা; যেখানে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘুদের প্রতি চালায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। প্রাচীনকাল থেকে এমন হাজারটা উদাহরণ ইতিহাস সাক্ষী দেয়। ধর্মবিশ্বাস কেবলমাত্র বিশ্বাস। ধর্মকে যুক্তিদিয়ে বিচার করা নির্বুদ্ধিতা।

কিন্তু ধর্মান্ধতা যে উম্মত্ততা সৃষ্টি করে তার শেকড় কোন ন্যায় ধারণার সাথে খাপ খায় না। বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা মৌলবাদীদের সবচেয়ে নেতিবাচক দিক। বিশ্বাস এমন এক প্রতীতী যা কোন বিষয়ের উপর আস্থাজ্ঞপন করা বুঝায়। বিজ্ঞান যুক্তি ব্যতিত বিশ্বাস কখনো সার্বাজনীন হতে পারে না। কিন্তু মৌলবাদ নিজের বিশ্বাসকে শ্রেষ্ঠজ্ঞান করে অন্যকে তা স্বীকার করতে বাধ্য করে অথবা করার চেষ্টা করে।

এক্ষেত্রে অবিশ্বাসকে তারা সবচেয়ে ভয় পায়। প্রাচীনকাল থেকেই কিছু মানুষ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না; অর্থাৎ নাস্তিক। আর এই নাস্তিক ও আস্তিক বিতর্কও হিংসাত্মক সমাপ্তিতে গড়ায়। একজন অবিশ্বাসীকে বিশ্বাস করানোর জন্য বাধ্য করা, অথবা অন্য ধর্মালম্বিকে জোড় জবরদস্তিমূলক ধর্মত্যাগ করানো নিকৃষ্টতর অপরাধ; যা যুগ যুগ ধরে ঘটে আসছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তি স্বাধীনতা, বিশ্বাস, পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং সামাজিক সব রকমের নিরাপত্তার অধীকার দেয়।

এটাই প্রগতিশলতা। তাই মানুষের সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে হলে প্রগতিশীল শক্তির বিকাশ অবধারিত। প্রগতিশীল শক্তির কারণেই পৃথিবী আজ বর্তমান সভ্যতায় এসে দাড়িয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।