ৃবিকটজত চ্হজহদজদজবদ মানুষের মন এক আজব চীজ। কখন কি চায় ঠিক নাই। আমার খাবারদাবার নিয়া প্রায়ই ঝোক ওঠে। যেমন একদিন মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর মনে হল কেমন ক্ষুধা লাগছে, গরম গরম মচমচে পেয়াজু খাইলেই ক্ষুধা মিটবে। আরেকদিন সকালে মনে হল গরম গরম শুধু জিলাপী দিয়া নাস্তা করি।
আরেকদিন সকালে মনে হল ডিম ভাজি দিয়া মুড়ি খাই। দুঃখের বিষয় যা চাই ঘরে সেটা থাকে না। আজকে যেমন হাউস জাগছে, পদ্মাপারে গোয়ালন্দ ঘাটের রাস্তার পাশের হোটেলে ভাত খামু। খাওয়ার মেন্যু হবে মোটা চালের ভাত, ২ টুকরা শসা, পেয়াজ, শুকনা মরিচ ভাজি, ইলিশের আস্ত মাথা ভাজি, লাল করে রান্না করা ইলিশ মাছের ঝোল, তেলতেলে পাঙ্গাস পেটি, কোয়া রসুন ,ধনে পাতা দিয়ে সরিষার তেলে রান্না করা মসুর ডাল আর শেষে কড়া জর্দা দেওয়া পান। হোটেলটাতে অবশ্যই খাবার রাস্তার দিকে বাইরে সাজানো থাকবে, যাতে পথচারী/বাসযাত্রীরা লোভী চোখে তাকায়।
হোটেলটার এলুমিনিয়ামের জগ অবশ্যই নোংরা হতে হবে, হোটেলের পিচ্চিটাকে হাতের তালুতে লবণ নিয়ে ঘুরতে হবে, চাইলে লোকের পাতে লবণ দেওয়ার জন্য। হোটেলের বসার জায়গা থেকে পিছনে
ঘাটের লন্চ এর আগা দেখা যাওয়া লাগবে। হোটেলের ভিতরের দেওয়ালে থাকবে ১০ বছর পুরানো সিনেমার পোষ্টার আর হোটেলের পর্দা হিসাবে থাকবে বির্বণ হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কোন ব্যানার।
উহু রাতের খাবার কোন হোটেলে হবে না। রাতের খাবারটা হবে ভরা পূর্ণিমার চাদের আলোয় সাদা বালির ধূ ধূ কোন চরে।
খাওয়াটা হবে সম্পূর্ণ একাকী। সাদা বালির ওপর সরাসরি বসতে হবে। পরণের সব পোষাকই হবে সাদা। শুধু থাকবে খাবার ভর্তি সাদা একটা প্লেট। মেন্যু হবে
ধবধবে সাদা চিকন চালের ভাত, বড়সড় ২ টা কাচামরিচ, ২ পিস মুলার টুকরা, কড়কড়ে ভাজা পুটিমাছ, পার্শে মাছের ঝোল, পাবদা মাছ ভুনা।
পুটিমাছ ভাজা খেতে হবে সবার শেষে তাড়িয়ে তাড়িয়ে, এককামড় ভাজা পুটি, এককামড় কাচামরিচ এমন করে। খাওয়া হবে সারারাত জোসনার আলোয় পদ্মা দেখতে দেখতে। সকাল হলে নদীতে যেয়ে পানি খেয়ে, মুখ ধুয়ে ঘাটের টং থেকে মালাই দেওয়া চা খেয়ে সোজা বাড়ি।
আমার আর একটা হাউস হল বিদেশী কোন পাহাড়ের মাথায় বসে দেশী এক বান্ডিল (প্যাকেট) বিড়ি তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাওয়া। চিন্তায় আছি অত উচুতে বিড়িতে আগুন ধরাব ঠিক কেমন করে।
দেখা যাউক, হাউস যখন করছিই পূরণ একদিন করবই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।