......... আমিরুল মুমিনীন ওসমান ইবনে আফফান [রাযি] থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ "যে ব্যক্তি অযু করে এবং উত্তমরূপে অযু করে, তার শরীর থেকে, এমনকি নখের নিচ থেকেও গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। " [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৪৫]
~~~~~~~~ অযু ভংগের কারণসমূহ হল। ~~~~~~~~~~~
_ প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে সেটা প্রস্রাব-পায়খানা, রক্ত, বায়ু, ক্রিমি যাই হোক না কেন।
_ শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত,পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে।
_মুখভরে বমি করল অযু ভেংগে যাবে, মুখভরে বমি করার অর্থ হল এত পরিমান বমি আসা যে মুখে সেটা আটকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়।
আর কিছুক্ষণের মধ্যে একি ভাবের কারণে অল্প অল্প করে কয়েকবার বমি করে আর সেটার সমষ্টিগত পরিমান যদি মুখভরে বমির সমপরিমান হয় তাহলেও অযু ভেংগে যাবে। আর এমনিতে সামান্য পরিমান বমি যা মুখভরে বমির সমপরিমান হয় না তাতে অযু ভাংবে না।
_থথুতে রক্তের পরিমান যদি থুথুর সমপরিমান বা থুথু থেকে বেশি হয় তাহলে অযু ভেংগে যাবে।
_বেহুশ বা পাগল হলে।
_ চিত বা কাত বা উপুড় [উপুড় হয়ে ঘুমানো নিষেধ] ঘুমালে অযু ভেংগে যাবে, এভাবে নিতম্বের একপার্শ্বে ভর করে ঘুমালেও অযু ভেংগে যাবে।
কেউ যদি কোন কিছুতে ঠেস দিয়ে এমনভাবে ঘুমায় যে ঠেস দেয়া বস্তুটি সরিয়ে নিলে সে পড়ে যাবে- এক্ষেত্রে মলদ্বার যদি আসন থেকে উঠা থাকে তাহলে সর্বসম্মত মতে অযু ভেংগে যাবে। আর যদি মলদ্বার আসনের সাথে ভালভাবে চাপা অবস্থায় থাকে যে বায়ু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাহলে অধিকাংশ ফকীহদের মতে অযু ভাংবে না।
_নামাজের মধ্য এরকম শব্দ করে হাসা যে পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে এরকম শব্দ করে হাসলেও অযু ভেংগে যাবে। আর যদি এরকম শব্দ করে হাসে যে শুধু নিজে শুনতে পায় পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে না তাহলে অযু ভাংবে না বাকি নামাজ ভেংগে যাবে। আর যদি এরকমভাবে হাসে যে হাসির শব্দ অন্যলোক শুনতে পাবেই না এমনকি নিজেও শুনতে পায় না তাহলে এতে অযু বা নামাজ কোনোটাই ভাংবে না।
এই হল অযু ভাংগার প্রধান ও মৌলিক কারণ সমূহ। এছাড়া আরো কিছু শাখাগত কারণ রয়েছে যেমন স্ত্রীলোকের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু বের হয়ে আসলে এবং ব্যাথা অনুভুত হলে, যৌনিতে আংগুল প্রবেশ করালে অযু ভেংগে যাবে। বাকি এসব সচারাচর এমন হয় না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে অযু-নামাজের সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে সহিহভাবে দ্বীনের উপর চলার তোফিক দান করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।