আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়োরো রেইল

ট্রেনে ইওরোপ ভ্রমন আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল। মাঝে মাঝেই ম্যাপ নিয়ে বসতাম আর ভারচুয়াল ট্যুর করতাম। এসব নিছকই পাগলামী। কেমন করে যেন আমার সে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দিল। অফিসের কাজ শেষে ১০ দিনের ছুটি পেলাম।

সেনযেন ভিসা আর হাতে ইয়োরো রেইলের "গ্লোবাল পাস" , আমাকে আর ঠেকায় কে! আমার আজকের লেখনী আমার ভ্রমন কাহিনী না। যারা ইওরোপ ঘুরতে যাবেন তাদের জন্য অল্প কিছু টিপস। ১, ইওরোপে তিন ধরনের ট্রেন আছে। হাইস্পিড, ইন্টার সিটি আর লোকাল। যেমন রোম-মিউনিক ভাড়া যথাক্রমে ১২০, ৮০ এবং ২০ ইওরো।

মুল তফাত সময়ে। TGV, Thalys, Eurostar, Eurostar Italia, AVE হল নামকরা রেল। তবে ইটালীর ট্রেন গুলো একটু পুরানো মনে হ্য়। ২, পুরো ইওরোপ ঘুরতে চাইলে রেলে র পাস কেনা অনেক ইকনমিকাল। আমি প্রথম শ্রেনীর গ্লোবাল পাস কিনেছি ১৫ দনের জন্য ৫৫০ ইওরো দিয়ে।

যেসব জা্যগায় গিয়েছি তাতে ন্যুনতম ২০০০ ইওরো লাগতো। ৩, তিন ধরনের পাস আছে। ক। গ্লোবাল পাস - ২২ টা দেশ /১৫-৯০ দিনের জন্য- ৩৫০ ইওরো থেকে শুরু খ। সিলেক্ট পাস - ৩-৫ টা দেশ /০৫-১৫ দিনের জন্য- ২২৫ ইওরো থেকে শুরু গ ।

রিজিওনাল পাস- ২ টা দেশ /০৪-১০ দিনের জন্য- ১২৫ ইওরো থেকে শুরু ৪, যে কোন স্টেশনে গিয়ে রেলপাসটি স্ট্যাম্প লাগিয়ে এক্টিভেট করতে হবে। ৫, সব হাইস্পিড ট্রেন আর সকল নাইট ট্রেনের জন্য রিজারভেশন করতে হবে। এজন্য যা্ত্রা শুরুর আগেই রেলপাস দেখিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে হবে। এতে আরও ৩-১০ ইওরো লাগবে। ৬, ট্রেনের শিডিউল ভাল করে পড়ুন।

কানেক্টিং ট্রেন কোথায় তা ভাল করে দেখে নিন। ৭, ট্রেনে উঠার আগে আপনার বোর্ডিং পাস স্টেশনে টিকিট পান্চ করতে হবে। ট্রেন চলাকালীন টিকিট/পাস চেক হয়। অনেক নাইট ট্রেনে পাসপোর্ট নিয়ে যায় এবং পরদিন ভোরে ফেরত দেয় ৮, ট্রেন ঠিক টাইমে ছাড়ে। গাইড দেখে জেনে নিন কোন ট্রেন কখন কোন প্ল্যাটফরম থেকে ছাড়বে।

ছাড়ার মিনিটখানেক আগে দরজা বন্ধ হয়। সুতরাং সাবধান ৯, যেখানে সেখানে সিগারেট ধরালে খবর আছে। ১০, ট্রেনে সব ধরনের সুবিধা আছে। টয়লেটের যাবতিয় কাজ সারুন। ১১, প্রায় সব হাইস্পিড ট্রেনে ওয়াই-ফাই কানেকশন আছে।

সাথে যেকোন ব্যাটরী চার্জের সুবিধা। ১২, প্রতিটা স্টেশনে লাগেজ রাখার সুব্যবস্থা আছে। ভাড়া ৩-৯ ইওরো। তবে সাবধান একবার লক করলে পরে একবারই ওপেন করতে পারবেন। আমি একবার গচ্চা দিয়েছি।

১৩, প্রতিটা স্টেশনে ওয়াশরুম ফ্যাসিলিটি আছে। খরচ ১-২ ইওরো। ১৪, প্রতিটা স্টেশনে খাবারের দোকান আছে। একটু দুরে গেলে দামে কম পাবেন। ১৫, আমার দেখা ভাল শহর হল সেভিয়া, মাদ্রিদ, বারসিলোনা,রোম, ভেনিস, মিলান,পিসা, ফ্লোরেন্স,মিউনিখ, ভিয়েনা, যুরিখ, প্যারিস।

আপাতত এই। পরের লেখনীতে থাকবে ইওরোপের বিভিন্ন দর্শনীয় এলকায় কমদামে থাকা খাওয়া আর ঘোরাফেরার কিছু টিপস ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.