আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইকনোমিস্টকে অভ্যুত্থান চেষ্টায় অভিযুক্ত ইশরাক অভ্যুত্থান দাবির পক্ষে সৈন্য চলাচল অস্ত্রশস্ত্র কিছুই দেখাতি পারেনি সরকার

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। নিজস্ব প্রতিবেদক সা¤প্রতিক ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার অন্যতম ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ইশরাক আহমেদ বলেছেন, সরকার অভ্যুত্থানচেষ্টার কথা বললেও ওই দাবির সমর্থনে কোনো সৈন্য চলাচল, অস্ত্রশস্ত্র বা অন্য কিছুই দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতশাসিত ‘বান্টুস্তান’-এ পরিণত করার জন্য গোপন অভ্যুত্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ও অন্য জাতীয়তাবাদীরা সেটার বিরোধী।

গত বৃহষ্পতিবার বিশ্বখ্যাত সাময়িকী লন্ডনের ইকনোমিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাতকারে ইশরাক আহমেদ দাবি করেছেন গত দুই বছর ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একটি অফিস রয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদর দফতরে। তারা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে সন্দেহভাজনদের অপহরণ করছে। পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে তার সাক্ষাতকার বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রিন্ট ভার্সন আজ প্রকাশিত হবার কথা রয়েছে।

ইকনোমিস্টের ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে অভিযুক্ত ইশরাক চৌধুরীর সাথে আলাপ করে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিদেশে আত্মগোপনকারী ইশরাক স্বীকার করেন যে, গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা তার বন্ধু। তবে তারা ধর্মান্ধ নয় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ তার বাড়ি থেকে মদ, ব্র্র্যান্ডি, হুইস্কি উদ্ধার করেছে। সরকার অভ্যুত্থানচেষ্টার কথা বললেও ওই দাবির সমর্থনে কোনো সৈন্য চলাচল, অস্ত্রশস্ত্র বা অন্য কিছুই দেখাতে পারেনি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইশরাক আহমদ উদার পরিবারের সদস্য এবং তিনি সাবেক উচ্চ পদস্থ অফিসার। ইশরাক বলেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে’ যুদ্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতশাসিত ‘বান্টুস্তান’-এ পরিণত করার জন্য যে গোপন অভ্যুত্থান (পড়ঁঢ়-নু-ংঃবধষঃয নু ঝযবরশয ঐধংরহধ) চালিয়ে যাচ্ছেন, তিনি ও অন্য জাতীয়তাবাদীরা সেটার বিরোধী। ইশরাক আরো কিছু অভিযোগ করেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর গোয়েন্দারা বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে।

দুই বছর ধরে ঢাকায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদরদফতরে র’-এর একটি অফিস রয়েছে এবং ভারতকে সরাসরি সাবমেরিন ক্যাবল যোগাযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ভারতীয়রা বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক নজরদারি চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে সন্দেহভাজনদের অপহরণ করছে। ভারতের ইন্ধনে দাড়িওয়ালা যেকোনো লোকের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ইসলামের অনুসারী সবাই ঢালাওভাবে বিষোদগারের শিকার হচ্ছেন এবং তাদেরকে তালেবান অভিহিত করা হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া বিষয়ে গত ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দফতর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় “স¤প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের ইন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা কর্তৃক অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যহত করার একটি বিফল চেষ্টা চালানো হয়।

” সেনা সদর দফতরের ঐ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় পলাতক মেজর সৈয়দ মুহম্মদ জিয়াউল হক এ অভ্যুত্থান চেষ্টার অন্যতম পরিকল্পনাকারী । প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক (সম্ভবত হংকং) ইশরাক আহমেদকে অন্যতম ইন্ধনদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় ১০-১১ জানুয়ারি রাতে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ইশরাক আমমেদের সাথে যোগাযোগ করেন। গত বৃহষ্পতিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি ইংরেজি দৈনিকে ইশরাক আহমেদকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়- ইশরাক আহমেদ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনা করেন ১৯৭০ সালের দিকে।

তার যেসব বন্ধু সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন তাদের সাথে তিনি ঘণিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে অতীতে অনেক সেনা বিশৃঙখলার ঘটনায় ইশরাক জড়িত ছিল। ইশরাকের নিজ এলাকার (নওগা) সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায় ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ইশরাক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮১ সালে ইশরাক ঢাকায় আসেন। তার বড় ভাই ইশতিয়াক আহমেদ এখন অস্ট্রেলিয়ায় এবং দুই বোন ইকু ও তনু পাকিস্তানে বাস করছেন ।

তার পিতা ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপের নওগ্া জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কয়েকবার। ইশরাকের মা নওগা জেলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, সেনাবাহিনীর বিবৃতিমতে সেনা অভ্যুত্থানের অন্যতম পরিকল্পনাকারী সৈয়দ মুহম্মদ জিয়াউল হক গত ১০ জানুয়ারি ইশরাকের সাথে যোগাযোগ করেন। ইশরাক এখন সম্ভবত হংকং আছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন তারা শুধু জানেন যে, ইশরাক ঢাকায় ব্যবসায় করেন।

টেলিভিশনের খবর শুনে এবং পত্রিকা পড়ে তারা সেনাঅভ্যুত্থান চেষ্টার সাথে ইশরাকের সম্পৃক্ততা বিষয়ে জানতে পেরেছেন। সূত্র নয়া দিগন্ত অনলাইন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।