আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

---------------আর কোন সেনা বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান চাই না-----------------------

মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায় এক সাগর রক্ত ও বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এ স্বাধীন দেশ। কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও আমাদের মাঝে, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মধ্যে বার বার রক্তপাত আর অভ্যুত্থানের সম্মুখিন হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের রাজনীতিবীদরাই প্রধাননত দায়ী। নিজেদের স্বাথের জন্য বার বার সেনাবাহিনী বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেনি। আর তার ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনী বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীতে বার বার বিদ্রাহের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ বিদ্রাহকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজনীতিবীদরা শুধু তাদেরই স্বাথ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

যার কারণে স্বাধীনতার ৪০ বছরেও বার বার রক্তপাত আর অভ্যুত্থানের স্বীকার হতে হয়েছে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী মধ্যে। ফলশ্রুতিতে তাদেরই হাতে আমাদের জনপ্রিয় দূ-জন রাষ্ট্র নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছে। এর পরও থামেনি এসব অপতৎপরতা । নিম্নে কালের কন্ঠে প্রকাশিত সেই সংক্ষিপ্ত ইতিকথা তুলে ধরা হল------ ৪০ বছরে বাংলাদেশে বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩টি অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান চেষ্টা ও বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। অনেকবার রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বাংলাদেশ।

একসময় এসব ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ 'ল্যান্ড অব ক্যু'-এর আখ্যা পেয়েছিল। এসব ঘটনায় বিভিন্ন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে সংখ্যাটি বেশি, যাঁদের বেশির ভাগই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ভয়ংকরতম বিডিআর বিদ্রোহের বিচার শেষ হলে এ সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে বলেই ধারণা করা যায়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তেমনই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিহত হতে হয়েছে।

নিহত হয়েছেন আরেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল। তাঁরা বলেছেন, একমাত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া এ বিষয়ে আর কেউ সফল হতে পারেননি। তবে তাঁকেও গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এ ছাড়া বিশ্ব পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে।

এ সময় গণতান্ত্রিক পথ ছাড়া সরকার বদল কারো কাম্য নয়। ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এম এ হালিমের মতে, জিয়াউর রহমানের সময়েই কমপক্ষে ২২টি অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়েছে। এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট অনেকের গবেষণা ও বক্তব্য থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর গত ৪০ বছরে অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান চেষ্টা ও বিদ্রোহের ঘটনা মিলিয়ে মোট ৩৩ বার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে দেশ। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় বিমান সেনারা কোত থেকে অস্ত্র বের করার আগেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিমানবাহিনীর কোত দখল করে নিলে বিদ্রোহ দমন ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিধন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। একই সময়ে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ও তৎকালীন রক্ষীবাহিনীর মধ্যে কলহের জের হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই সময় নিজে পিলখানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন দেশের প্রথম সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ওই বছর ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। একই দিন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তমের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সহযোগী খন্দকার মোশতাক আহমদের সরকার। এর তিন দিন পর অর্থাৎ ৭ নভেম্বর তৃতীয় সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ও তাঁর সঙ্গীরা। এ সময় জাসদের প্ররোচনায় সৈনিক বিদ্রোহ ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিদ্রোহে অনেক সেনা কর্মকর্তা নিহত ও নির্যাতিত হন।

এসব ঘটনা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করে। জিয়াউর রহমানের নির্দেশে কর্নেল তাহেরকে বিদ্রোহ ঘটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে 'ক্যাঙ্গারু ট্রায়াল' বলে কথিত এক সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমান সম্পর্কে লিখে গিয়েছিলেন, 'তাকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি। এই বিশ্বাসঘাতকের কাছে আমি প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারি না। ' এরপর জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে ২১ বার অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয় বলে প্রচার রয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ নভেম্বর ২২তম অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান। জিয়ার আমলে এ ২২টি ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৭৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়া সেনানিবাসে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা। ২২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এ অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে এবং তা ব্যর্থ হয়। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর আরেকটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয় বিমানবাহিনীতে। বিমান সেনাদের এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় নিহত হন ছয়জন কর্মকর্তা।

কেন ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হয়েছিল, তা আজও অজানা। ওই দিন জাপানের রেড আর্মির পাঁচজন সদস্য জাপান এয়ারলাইনসের একটি বিমান ১৫৬ জন যাত্রীসহ হাইজ্যাক করে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় বিমানবাহিনীতে ওই অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলে। সেনাবাহিনীতেও বিদ্রোহ হয়। এসব ঘটনায় অনেক সৈনিকের ফাঁসি হয়।

বিভিন্ন সূত্র মতে, ওই সময় কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার সৈনিকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাঁদের মধ্যে বিমান সেনার সংখ্যা ৫৬১। ১৯৮১ সালের ৩০ মে আরেক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে পরিচালিত এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডে যেসব সেনা কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা।

চট্টগ্রাম কারাগারের অভ্যন্তরে জেনারেল কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর, লে. কর্নেল মাহবুব ও লে. কর্নেল মতি বিচারের আগেই নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় আট সেনা কর্মকর্তাকে। চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় ১৯ জনকে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন চারজন।

এ ছাড়া ওই সময় অনেকে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। ১৯৮২ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন সে সময়ের সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি ওই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে অপসারণ করেন। বলা হয়ে থাকে, সেনা অভ্যুত্থানকারীদের মধ্যে একমাত্র এরশাদই সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল এবং দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হন; যদিও ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থানের কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহের ঘটনা সেনাবাহিনীর সহায়তায় কঠোরভাবে দমন করা হয়।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান লে. জেনারেল আবু সালেহ্ মোহাম্মদ নাসিম বীরপ্রতীকের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুুর রহমান বিশ্বাস নাসিমের প্রিয়ভাজন বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলে জেনারেল নাসিম ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু ঢাকার বাইরের সেনানিবাস থেকে নাসিমের ওই প্রচেষ্টার বিরোধিতার কারণে তিনি সফল হতে পারেননি। তবে ওই ঘটনার জন্য জেনারেল নাসিমকে শাস্তি পেতে হয়নি। ওই সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার পর নাসিমের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে স্বাভাবিক অবসর দেওয়া হয়।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জাতির এক সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের পদ ছাড়তে বাধ্য করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ভয়ংকরতম বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, একজন সৈনিক, আটজন বিডিআর সদস্য ও আটজন বেসামরিক লোক নিহত হন। এ নৃশংস ঘটনার বিচার এখনো চলছে। সর্বশেষ চলতি মাসে সেনাবাহিনীর কিছু সাবেক ও বর্তমান বিপথগামী কর্মকর্তা বেসামরিক কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বলে সেনা সদর জানায়। গত ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কতিপয় ধর্মান্ধ কর্মকর্তা কর্তৃক অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালানো হয়।

এ অপপ্রয়াসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে। ' সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত আদালত এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বলেন, 'সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সাবেক ও কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের যে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার খবর পেয়েছি, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ অপচেষ্টা দেশ, প্রতিষ্ঠান সব কিছুর জন্যই ক্ষতিকর। ' সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, 'দেশে সামরিক অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা বা বিভিন্ন বাহিনীর বিদ্রোহে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউই লাভবান হতে পারেননি।

এতে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কারণে দেশে গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। সামরিক এবং স্বৈরশাসন আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যই ছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

গণতন্ত্রই দেশের শান্তি ও প্রগতি নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। ' আমরা আর চাই না এসব বিদ্রোহ আর রক্তপাতের মাধ্যমে রক্তের দামে কেনা এ স্বাধীনতা বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হোক! আর চাই না রাজনীতিবীদরা এসব ইস্যুতে দেশের স্বাথ বাদ দিয়ে নিজেদের স্বাথের মহড়া প্রদশন করুক। দেশকে এগিয়ে নিতে রক্তের দামে কেনা এ-স্বাধীনতাকে অথবহ করতে শাহাদাত বরনকারী বীর শহীদদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য আসুন না সবাই দেশপ্রমে মগ্ন হয়ে সামরিক ও অসামরিক সবাই একই কাতারে কাতার বদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাই তাহলে সম্ভবনার এ সোনার বাংলা অচিরেই সত্যিকারের সোনার বাংলাতে পরিনত হবে-এ হোক ২০১২ সালে দেশ-প্রমিক জনতার একান্ত প্রত্যাশা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।