Sometimes people deserve to have their faith rewarded. বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের কাছেই খান জাহান আলীর মাজার। উনার নাম প্রায় সবাই ই শুনেছেন। দক্ষিণ বঙ্গে উনার নাম শুনেন নি এমন কেউ মনে হয় নেই। বাগেরহাট গেলে প্রায় সবাই ই উনার মাজার জিয়ারত করে আসেন। কিন্তু উনার মাজার ঘিরে যে ব্যবসা চলছে,তা কি আদৌ ঠিক?
শুরুতেই ঢোকার অভিজ্ঞতা বলি।
আমারা বন্ধুরা মিলে গেছিলাম। এক বন্ধু একটু পিছনে পরে গেয়াছিল ঢোকার সময়। রাস্তায় থাকতেই এক লোক তাকে অন্য এক লোক দেখায় বলল হাত মিলান উনার সাথে। আমার বন্ধুও সহজ ভাবে হাত মিলালো। ও মা! হাত মিলানোর পর ই হাতে সুতা দিয়ে বলল 'আজমির শরীফের সুতা।
১০ টাকা দাম দেন। ফযরের নামায পরে দোয়া করবেন। কবুল হবে। পড়াশুনা ভালো হবে। ' আমার বন্ধুটিও বোকা না।
সে সাথে সাথে সুতা ফেলায় চলে আসছে। অবশ্য ও আগে যেয়ে একবার এইরকম ধরা খাইসে, তাই এইবার আর ভুল করেনি। কিন্তু আপনি প্রথমবার গেলেই আপনাকে ভূগোল পরায় ছেড়ে দিবে নিশ্চিত থাকেন!
মাজারের অন্যতম আকর্ষণ কুমির দেখা। কিন্তু এখানেও ভণ্ডামি! আপনি একটু শক্ত আর বুদ্ধিমান না হলে আপনাকে আলু ভর্তা বানায় দিবে ঘটনাটা আমার এক খালুর। সে ঢাকা থেকে বাগেরহাট মাজারে গেসেন।
আগে কখনও যাননি। কুমির দেখানোর নাম করে,আর কুমির এর খাওয়া বাবদ তার কাছে থেকে ১১০০ টাকা গায়েব!! বুজতেই পারসেন,ওই খানে কি চলছে! আপনি কুমিরের গায়ে হাত দিয়ে ছবি তুলবেন, আর আপনাকে ওরা ভালো মত খসাবে! আর একবার আপনি মালদার পার্টি বুঝতে পারলে তো কথাই নাই! কুমিরের পিঠে যদি হাত দিয়ে ছবি তুলতে চান, তাইলে আগে থেকে দরদাম করা ভালো। আর কুমির কে কিছু খেতে দিতে চাইলেও আগে থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া ভালো, ওখানে ছোট মুরগীর বাচ্চাও ২০০-৩০০ টাকা দাম! আমরা ৫জন কুমির এর পিঠে হাত দিয়ে ছবি তুলসি ২০ টাকা দিয়ে। আপনারদের কাজে লাগতে পারে ভেবে বলে দিলাম
মাজার এর ঠিক বাইরেও বিভিন্ন জিনিস বেচা চলছে, যা কিনা পুরাই ব্যবসার জন্য। ধর্মের নামে চলছে ভণ্ডামি।
বিভিন্ন সুতা, আতর, তসবি ইত্যাদি বেচা হচ্ছে সফলতা আসবে এই বলে। আপনাদের কে জেনে শুনে ওই রকম ভুল না করার জন্য অনুরোধ করছি। মাজার জিয়ারত করা থেকে সব কিছুই সতর্কতার সাথে করবেন। নাইলে আপনার অযথা টাকা টাই নষ্ট হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ভালো থাকবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।