আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধনী আমেরিকা গরিব আমেরিকা

পুরান আমি নব ভাবনায় বিভোর.. অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের শুরুতে বামপন্থিরাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে অসাম্যের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ‘শ্রেণী যুদ্ধ’ বৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করেন। তাদের মতে, এর প্রভাবে সেখানে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে, ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। সমপ্রতি একটি গবেষণা সংস্থার জরিপেও প্রকাশ পেয়েছে এমনই চিত্র। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ধনী-গরিবের দ্বন্দ্ব বাড়ছে যা দেশটির জন্য এক অশনি সংকেত।

ধনী আমেরিকা , গরিব আমেরিকা—এ কথাগুলোর প্রথমটি হয়তো আমাদের কারো কাছেই অজানা নয়। কিন্তু দ্বিতীয়টি শুনলে হয়তো অনেকেই হতবাক হবেন। কেননা, শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শীর্ষে থাকা অমেরিকাকে গরিব দেশ বললে হয়তো পাঠক আশ্চর্যই হবেন। তবে প্রদীপের নিচে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি প্রত্যেকটা জিনিসেরই বিপরীত চিত্র থাকে। সে হিসাবে দেশটিতে যেমন ধনীদের ব্যাপক প্রাধান্য বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে গরিবের হতাশা আর দাবি আদায়ের আন্দোলন।

পাশাপাশি উভয় শ্রেণীর মধ্যে ভেদাভেদ নামক জিনিসটিও শিকড় গেড়ে বসছে। আরো সহজভাবে বলতে গেলে সেখানে বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য বা দ্বন্দ্ব, যা সম্প্রতি একটি গবেষণা সংস্থার জনমত জরিপেও প্রকাশ পেয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টার নামে একটি সংস্থা এ জনমত জরিপ করে। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের শুরুতে কেবল বামপন্থিরাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে অসাম্যের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তারা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ‘শ্রেণী যুদ্ধ’ বৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করেন।

কেননা, তারা যে ওয়াল স্ট্রিটের আন্দোলনের শুরু করেন এর প্রভাবে সেখানে এক ধরনের বিভাজনের সৃষ্টি হয়। এতে ওয়াল স্ট্রিট বিক্ষোভকারীরা নিজেদের ৯৯ ভাগ বলে দাবি করেন। আর কনজার্ভেটিভদের দখলে থাকে মাত্র এক ভাগ। আশ্চর্যজনকভাবে রিপাবলিকান প্রার্থীরা তাদের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে হঠাত্ করে সামপ্রতিক বিতর্কে সমাজের অসাম্যের কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তারা ওবামাকে শ্রেণী বিভেদ বৃদ্ধির জন্য অভিযুক্ত করেন।

কিন্তু প্রকৃত কনজার্ভেটিভরা এতে তুষ্ট নন। তাদের এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে, পুঁজিবাদী অর্থনীতি এক সময় তার বৈধতা হারিয়ে ফেলবে। কেননা, অর্থনৈতিক উত্পাদনের সুফল যদি একটা এলিট শ্রেণীর কাছে গিয়ে পৌঁছায়, তাহলে পুঁজিবাদী অর্থনীতি এক সময় মুখ থুবড়ে পড়বে। তবে জিওপি (গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি) প্রার্থীরা এই অসাম্য নিয়ে আলোচনাকে নিন্দা করেছেন। আবার কনজার্ভেটিভ ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন, অথনৈতিক এই বিভাজন সত্যিকার অর্থে সঠিক।

কেননা সমাজে এক ধরনের বিভাজন রেখা সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্যও তারা সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষ নাগরিকদের গড় আয় ১৯৭০ সাল থেকে একটা সমান রেখায় এসে উপনীত হয়েছে। সেন্সাস ব্যুরোর পরিসংখ্যানে এ কথা বলা হয়। আর প্রান্তিক মানুষের আয় সেখানে অনেক নিচে নেমে গেছে।

তবে ধনীদের ক্ষেত্রে এর চিত্র পুরো উল্টো । তাদের বেলায় দেখা যায় সেই পুরনো কথা। অর্থাত্ ধনীরা আরো ধনী আর গরিবরা আরো গরিব হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ ইমানুয়েল সায়েজের মতে, শীর্ষে থাকা এক ভাগ পরিবারের মোট আয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। ১৯৭৯ সালের পর থেকে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে।

অর্থ্যাত্ অতি ধনীর সংখ্যা এ সময়ে আরো বেড়ে যায়। মার্কিনীরা এক সময় যেখানে তাদের মেধার সুনাম নিয়ে গর্ব করতেন, উত্সাহ এবং আগ্রহ নিয়ে সামনের পানে যেতেন, সে পথ বোধ হয় আজ অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ছে। কেননা, সেখানে শুধু একশ্রেণীর মানুষের আয়ই বাড়ছে, কোন গড় আয় বাড়ছে না । পক্ষান্তরে নিম্ন আয়ের মানুষের বিশ্বাস তারা শুধু চোরাবালিতেই পা দিয়েছেন, আয়ের সামান্যতম উন্নতি হচ্ছে না। তাদের ধারণা তাদের মেরুদণ্ড অনেকটা ভেঙ্গে যাচ্ছে।

সামাজিক যে গতিশীলতা তাদের মাঝে বিরাজমান ছিল তাও আজ গতি হারাচ্ছে। যদিও বলা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রে শহরতলীতে থাকা এক দরিদ্রের শহুরে এক বিত্তশালীর মতোই উন্নয়নের সমান সুযোগ রয়েছে। তবে বাস্তবতার নিরিখে এ কথার সত্যতা মেলা ভার। মধ্য ডানপন্থি পল ক্রগম্যান এবং জেফরি স্যাকস বিষয়টিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোন্যাল্ড রিগ্যানের সময়কার ফাইন্যান্সিয়াল ডির্যাগুলেশনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার (অর্থনীতিবিদ) মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উন্নয়ন নয়, বরং সামষ্টিক উন্নয়নই হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি।

এই পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে লিবারেল অর্থনীতিবিদরা ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডসের মতো ইউরোপীয় দেশের উদাহরণ টেনে বলেছেন, এখানে ধনীরা আরো বেশি ধনী হচ্ছেন না, বরং একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় তারা এগুচ্ছেন। সামাজিক গতিশীলতাও আশাব্যঞ্জক। যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত ইউরোপের মতো পথ অবলম্বন করা। যেমনটি অর্থনীতিবিদ কুর্গম্যানের লেখায় ফুটে উঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ সহায়তা দরকার কম আয়ের একজন মায়ের জন্য, যা তার নিজেকে এবং সন্তানকে বেড়ে উঠায় সাহায্য করবে।

সেইসঙ্গে দরকার স্বাস্থ্যসম্মত পরিচর্যার ব্যবস্থা করা। এই বাড়তি অর্থ কোত্থেকে আসবে তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এক্ষেত্রে ধনীদের উপর আরো কর বাড়াতে হবে। যেমনটি বলেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। গত বছর এবিসি নিউজে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন, গরিবের উপর করের বোঝা বাড়ানোর চেয়ে ধনীদের উপর আরো কর আরোপ করা উচিত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি কমাতে ধনী ও অতি ধনীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত।

প্রেসিডেন্ট ওবামার সামপ্রতিক ভাষণেও এ বিষয়গুলোর কথা বলা হয়। মার্কিন সমাজে দুই ধরনের সত্তা লক্ষ্য করা যায়। এক হলো নতুন ধনিক শ্রেণী, আর অপরটি হলো নতুন গরিব শ্রেণী। নতুন ধনিক শ্রেণীকে আবার কগনিটিভ এলিট শ্রেণীও বলা হয়। এই শ্রেণীর লোকেরা আরো ধনী হচ্ছে।

কারণ তারা তাদের মেধার মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে পারছে। অর্থাত্ তারা তাদের শ্রমের মাধ্যমে যে ধরনের মেধা-মনন খাটাচ্ছে সেভাবে তারা তার সুফল ভোগ করছে। উদাহরণস্বরূপ এলিট বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড থেকে পাস করা মেধাবীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের উজ্জ্বল স্বাক্ষর সেভাবেই রাখছেন। আর তাদের পারিবারিক অবস্থাও সচ্ছল। কেননা, অসচ্ছল পরিবারের সদস্যরা সাধারণত এখানে এসে পড়াশুনা করতে পারে না।

কাজেই জীবনের পথ চলায় তারা যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার দৃষ্টান্ত রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো কর্মসংস্থান, সর্বোপরি উন্নয়নে পাল্টে যায় তাদের জীবনধারা। এ অধ্যায় এখানেই শেষ নয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বিবাহবন্ধন হয় এই এলিট শ্রেণীর মধ্যেই। এই শ্রেণীর বাইরে তারা কোন সম্পর্কে যায় না।

আর এভাবেই তৈরি হতে থাকে কগনিটিভ এলিট শ্রেণীর (যাকে অনেকে সুপার জিপস বা ৮৮২ কোড বলে ডাকে, যাদের আমেরিকাতে রিচেস্ট জিপ কোড বলে)। এতে করে এখানে সৃষ্টি হয় অতি শিক্ষিত এক এলিট শ্রেণীর, যারা সাধারণত বেভারলি হিল, সান্টা মনিকা, মালিবু, ম্যানহাটন এবং বোস্টনে থাকেন। এদের মধ্যে আবার অন্যান্যের চেয়ে এক ধরনের উদারপন্থি মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। আবার এই এলিট শ্রেণীর একটা নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তাহলো তাদের শিকার হচ্ছে অনেক নতুন নিম্ন শ্রেণীর লোকও ।

আরো একটি দিক হলো এদের পরিবার প্রথার কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তা ভেঙ্গে যাচ্ছে কিংবা কমে আসছে । এটা যে শুধু একটি শ্রেণীতেই ঘটছে তা নয়, বরং উভয় শ্রেণীর মাঝেই এটা বিরাজমান। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেলমোন্ট । এখানে তেমন একটা কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। আশ্চর্য জিনিস হচ্ছে যে, এখানকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লোকজন হয় কাজ পাচ্ছে না , না হয় অসুস্থ কিংবা অক্ষম অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে কোন কারণে বিতাড়িত হয়েছে।

আর যদিবা কাজ জোটে তাহলে তারা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এখানে কাজের খুব সংকট। যে কারণে মানুষ অনেকটা কম কাজ করতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো, এখানে অপরাধের মাত্রাও বেশি। তবে এ চিত্র যে আমেরিকার একটি জায়গায়ই রয়েছে তা নয়।

অনেক স্থানেই এ সমস্যা রয়েছে। দেশটিতে এখন বেকারত্বের হারও কম নয়। শ্রম দপ্তরের দেয়া হিসাবমতে গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সংখ্যা দিনে দিনে আরো বাড়ছে। একটু পিছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে ১৯৮০ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৭.১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ৭.৬, ১৯৮২ সালে ৯.৭, ১৯৮৩ সালে ৯.৬, ১৯৮৪ সালে ৭.৫, ১৯৮৫ সালে ৭.২, ১৯৮৬ সালে ৭.০০, ১৯৮৭ সালে ৬.২, ১৯৮৮ সালে ৫.৫, ১৯৮৯ সালে ৫.৩, ১৯৯০ সালে ৫.৬, ১৯৯১ সালে ৬.৮, ১৯৯২ সালে ৭.৫, ১৯৯৩ সালে ৬.৯, ১৯৯৪ সালে ৬.১, ১৯৯৫ সালে ৫.৬, ১৯৯৬ সালে ৫.৪, ১৯৯৭ সালে ৪.৯, ১৯৯৮ সালে ৪.৫, ১৯৯৯ সালে ৪.২, ২০০০ সালে ৪.০০, ২০০১ সালে ৪.৭, ২০০২ সালে ৫.৮, ২০০৩ সালে ৬.০০, ২০০৪ সালে ৫.৫, ২০০৫ সালে ৫.১, ২০০৬ সালে ৪.৬, ২০০৭ সালে ৪.৬, ২০০৮ সালে ৫.৯, ২০০৯ সালে ৯.৩, ২০১০ সালে ৯.৬ ভাগ।

এবার দেখা যাক যুক্তরাষ্ট্রে ধনী-গরিবের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে তার চিত্র। সমপ্রতি দেশটির পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত এক জনমত জরিপে বলা হয়, অভিবাসী নাগরিক ও জন্মসূত্রে নাগরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা জাতিগত আফ্রিকানদের সঙ্গে জাতিগত ইউরোপীয়দের দ্বন্দ্বের চেয়েও ধনী-গরিবের দ্বন্দ্ব বেশি। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৬ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে ধনী-গরিবের মধ্যে তীব্র ও কঠিন দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেছেন। ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ধনী-গরিবের মধ্যে ‘তীব্র দ্বন্দ্ব’ চলছে বলে সরাসরি মত প্রকাশ করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রাট দলীয় সমর্থক, অল্প বয়সী তরুণ, নারী ও আফ্রিকান-আমেরিকানরা ধনী-গরিবের দ্বন্দ্ব বা শ্রেণী দ্বন্দ্বের কথা বেশি বলেছেন।

অপরদিকে ৬২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অভিবাসী ও জন্মসূত্রে নাগরিকদের মধ্যে ‘কঠোর দ্বন্দ্ব’ চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। ২০০৯ সালে একই প্রতিষ্ঠানের করা অপর একটি জরিপে ধনী-গরিবের দ্বন্দ্বের চেয়ে অভিবাসীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা বলেছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে সামপ্রদায়িক দ্বন্দ্ব অনেকটা হ্রাস পেয়েছে বলেই আভাস পাওয়া গেছে জরিপে। মাত্র ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, কালো ও সাদাদের মধ্যে ‘গুরুতর সংকট’ চলছে। যেখানে বয়োবৃদ্ধ ও তরুণদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা বলেছেন ৩৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৪৮ জন মানুষের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানায় পিউ রিসার্চ সেন্টার। জরিপে ২ দশমিক ৯ শতাংশ ভুল আছে বলে ধরা হয়েছে। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় আয় বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসাবে উঠে আসবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনেরও মূল বিষয় ছিল আয় বৈষম্য। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরোর সামপ্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের ৫৬ শতাংশের মালিক শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষ, যেখানে ২০০৫ সালে তাদের সম্পদের পরিমাণ ছিল মোট সম্পদের ৪৯ শতাংশ ।

++নিউজউইক ও রয়টার্স অবলম্বনে দৈনিক ইত্তেফাক হতে কপি পেস্ট: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।