সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!! বিজ্ঞ আলেম সমাজ সদাশয় সরকার বাহাদুর এর নিকট ৮৪ জন নাস্তিক ব্লগার এর লিস্টি দিয়েছেন। সরকার বাহাদুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই বেয়াদপদের যথাশীঘ্র দমন করা হবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ধরা হয়েছে শুভ্র, বিপ্লব, রাসেলকে। আশা করা যায় জাতির স্বার্থে বাদ-বাকিদেরও ধরা হবে।
গোলাম আজমদের ফাঁসির আগেই এই মুরতাদদের ঝুলানো হবে। কারণ দেশে এ মুহূর্তে এর চেয়ে জনগুরুত্বপুর্ণ কোন কাজ নেই।
এই নাস্তিকরাই দেশের একমাত্র সমস্যা। এরা বড় বেশি বেয়াদপ। চলমান সমাজের সাথে এরা বড় বেশি বেমানান।
এরা কারো মণ্ডুপাত করেনা, কারো মাথা থেতলে দেয় না। কারো রগ কর্তন করেনা, রাজপথে গাড়ি জ্বালায় না। রাজনীতিবিদদের মাথায় ছাতা ধরেনা। ভোটের বাক্স লুটপাট করেনা। সব কিছু মেনে নিয়ে জ্বি হুজুর করে না।
শুধু কথার মাধ্যমে, লেখার মাধ্যমে যা বিরোধীতার প্রয়োজন তা করে। এসব নির্বিবাদ বিরোধীতার কোন মূল্য নেই। মুণ্ডুপাত করতে হবে, মাথা থেতলে দিতে, রগ কর্তন করতে হবে, প্রয়োজনের মুহূর্তে দেখেও না দেখার ভান করতে হবে।
আশা করা যায়, এই চুরাশি বেয়াদপের দমনে দেশ স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হবে। পদ্মার বুক আবার পানি আর ইলিশে ভরে যাবে।
সে নদীতে আবার বড় বড় নৗকা চলবে। মোল্লা, মুসল্লী, আলেম সমাজ সেই নৗকাতে ওঠে দু'হাত তুলে নৗকার মাঝির জন্য দোয়া করবে। যারা মটরযানে চলতে চান তাদের জন্য পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু নির্মিত হবে।
এই চুরাশি বেয়াদপের দমনে দেশ জান্নাতুল ফেরদৗসে পরিনত হবে। মেয়েরা সবাই নিজেদের আপাদমস্তক বোরকায় আবদ্ধ করে চলাফেরা করবে।
কেউ তাদের নিপীরণ করবে না। তাদের আর্তচিৎকার বোরকার বাইরে জগতে এসে কাউকে আর বিরক্ত করবে না। দেশের সব স্থান সর্বদা আল্লাহু আল্রাহু মহান ধ্বনীতে প্রকম্পিত হতে থাকবে। উলু-ধ্বনী দেয়া বাড়িগুলো মসজিদের ঝাড়বাতির আলোকে আলোকিত হবে, পবিত্র হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাদ্রাসায় পরিনত হবে।
মধ্যযুগীয় তরিকার গায়েব জানা হুজুরেরা রাজনীতি আর গণমাধ্যমের সব স্থান দখল করবেন। সরকারের আমলা বা নীতি-নির্ধারকেরা তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে চলবে। আকাশে বাতাসে সর্বত্র শুধু আতর আর গোলাপ জলের ঘ্রাণ। মানুষের ঘামের দুর্গন্ধ চিরতরে দুরীভূত হবে।
অচিরেই এসব নাস্তিকদের প্রাপ্য শাস্তি বুঝিয়ে দেয়া হোক।
পাদটিকা: এই লেখক নিজেও সেই চুরাশি বেয়াদপের একজন। বছর তিনেক আগে বাপ-মায়ের দেয়া নামটি নিষ্ক্রিয় করে এই নামের আড়ালে লেখলেও পার মিলেনি। যদিও সে এখনও জানেনা কোথায় কোন বাক্যে সে ধর্মের অবমাননা করেছে। সদাশয় সরকার যদি নাস্তিকতা অথবা ভিন্নমত বা সত্য বলাটাকে ধর্মের অবমাননা মনে করেন তাহলে সেও অপরাধী। সবকিছুর পরেও এটা ভেবে সে আশ্বস্ত অন্তত তার দমনে দেশে শান্তির নহর বইবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।