আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রঙ্গিলা আলোর পেছনের অন্ধকার। কুত্তার বাচ্চা ভালো হইয়া যা। যাহা বলিব সত্য বলিব ২

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল (এই পোস্টটিতে বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে, যা প্রাপ্ত বয়স্ক/মনস্করা ছাড়া অন্যদের অনুধাবনযোগ্য নয়। তাই অপ্রাপ্তবয়স্ক/মনস্কদের প্রবেশাধীকার নিষিদ্ধ করা হল। ) ব্লগের কল্যাণে ইতিমধ্যেই পাঠকরা জেনে গিয়েছেন যে কাকে কুত্তার বাচ্চা বলা হয়েছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি আলাদা পোস্টও এসেছে দেখছি। এই পোস্ট দেবার উদ্দেশ্য অবশ্য তারই চর্বিত চর্বন করা নয়।

জাতি হিসাবে আমাদের মধ্যে যে চরম অনুকরণ প্রিয়তা (বিশেষ করে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে) তাতে ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে সংশয় অনেকটাই কেটে যেতে পারে। কলিকাতার দিদিরা ফ্যাশন হিসাবে নাভির নীচে শাড়ি আর বগল কাটা ব্লাউজ পড়ে। ব্যাস। স্বাধীনতার পর পরই কিছু অতি আধুনিক বঙ্গললনাও তার পিছনে দৌড়ালেন। পশ্চিমের পপ গান হিট।

শুরু হয়ে গেল বেলবটম লম্বা চুল আর জুল্পির চলন। রক্ষিবাহিনীর কঠিন কিছু পদক্ষেপের কারণে সেই আগুন বেশিদুর বাড়তে পারেনি। এর পর অনেকদিন পরিস্থিতি ছিল শান্ত। ফ্যাশন ডিজাইনরা চেস্টা করেছেন দেশেরই সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে কিছুটা আধুনিক করতে। তারা সফল হয়েছিলেন।

কিন্ত অভাগার ভাগ্য সুখ বেশিদিন সইলো না। অত্যাধুনিকতা আর অতি মুক্তমনের পরিচয় দিতে গিয়ে বি এন পি সরকার, আকাশ সংস্কৃতির নামে খাল কেটে কুমির নিয়ে আসলো। এর পর থেকে আর থামাথামি নেই। পশ্চিমের উনাদের সাথে কয়েক বছর ধরে সদ্য "জাতে" উঠা ফকিরনি ইন্ডিয়ার ভাষা, সংস্কৃতি ,ফ্যাশন সবই এখন আমাদের সহ্য হয়ে গিয়েছে। মডেলিং এর নামে তারকা জগতের মিছে মোহে কত জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে, এবং যাচ্ছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান কি আসলেও কেউ জানে? বেশ কিছুদিন আগের কথা।

তখন ফ্যাশন মডেলিং এর শুরু। অনিন্দ সুন্দরি তিন্নি তখন সুপারস্টার। তথাকথিত তারকাদের ব্যাক্তিগত জীবন কতটা যন্ত্রণাদায়ক এবং অপমানকর, খুন হয়ে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কর্তৃক বেওয়ারিশ লাশ হয়ে দাফন হতে হতে বেচে যাওয়াতে সেই অজানা কাহিনী প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু না। দেখে শেখাটা আমাদের ধাতে নেই।

এর পর যেন পঙ্গপালের মত সেই তারকা হতে যাবার উদগ্র বাসনা আরো তীব্রভাবে গ্রাস করলো আমাদের। এত তো বেশিদিন আগের কথা না। আদৃতা নামের আরেক মডেলকে তারই কর্মক্ষেত্রে খুন করে ফেলে রাখা হলো। আবার অনেক কাহিনীর সর্বসম্মুখে এলো। পশ্চিম কিংবা ভারতের যারা তারকা, তাদের আসল জীবন সমন্ধে কারো ধারণা আছে? ওই পর্যায়ে আসতে তারা শুধু সম্ভ্রম নয়, আত্মমর্যাদাটুকুও বিসর্জন দিয়ে বসে আছেন।

এর পর খ্যাতি আর বিত্ত পাবার পর যখন তারা বুঝতে পারেন, আসলেও জীবনে তারা যা পেয়েছেন, হারিয়েছেন তার লক্ষ গুণ। তখনই তাদের জীবনে নেমে আসে হতাশা। আর সেই হতাশা কাটাতে তারা সাময়িক শান্তির আশ্রয় খুজে বেড়ান সঙ্গি বদলানোতে। মরণঘাতি নেশায় বুদ হয়ে বাস্তবতা থেকে দূরে সরে থাকতে থাকতে একদিন ছুটির ঘন্টা বেজে যায় তাদের। এর পর হারিয়ে যান বিস্মৃতির আড়ালে।

প্রতিদিন নাকি হাজার হাজার মেয়ে তারকা হতে হাজির হন হলিউডে। ভাগ্যে শিকে জোটে হাতে গোণা কয়জনের। বাকিরা হয় যৌনতা নির্ভর বি-সি গ্রেডের ছবিতে সুযোগ পান। অন্যদের আশ্রয় হয় পর্ণ ইন্ড্রাস্ট্রিতে। এর পর? শরীর স্বাস্থ্য সম্মান সবকিছু হারিয়ে তারা সমাজ থেকে কিংবা পৃথিবী থেকেই বিদায় নেন।

তাও অকালে। ফ্যাশন জগতেও একই অবস্থা। পুর্ব ইউরোপের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক মেয়েকেই আমেরিকা বা ইউ কে ফ্রান্স ইত্যাদি দেশে প্রলোভন দেখিয়ে আনা হয়েছিল। তাদের ভাগ্যেও জুটেছিল শ্রেফ পণ্য হয়ে ধুকে ধুকে বেচে থাকা। এসব অন্ধকারের খবর মিডিয়া জানলেও প্রচার করে না।

কারণটা ব্যাবসায়িক। বরং নিত্য নতুন নারী দেহের নগ্নচিত্রকে পুজি করে চুটিয়ে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। একই অবস্থা ভারতেও। এটা সত্যি যে ঢালিউডে এখন পর্যন্ত সেই মহামারি গ্রাস করেনি। কিন্ত ফ্যাশন আর টিভির জগতের রঙ্গিন জগতের হাতছানি শিক্ষিত একটি গোষ্ঠিকে টার্গেট করে ফেলে ইতিমধ্যে সফল হয়েছে বলা যায়।

নীচের লিংকে দেখুন নাটক বা সিনেমায় যারা সৎ/সতি নিস্কলুষ চরিত্রে যাদের দেখতে পাই, তাদের আসল চেহারা। পোষাক আসাকের কথা তো বাদই দিলাম। ভাষার কি ছিড়ি ! এরাই আমাদের সেলেব্রেটি। Click This Link এদের রকম সকম ঠাক ঠমক দেখলে আদ্যিকালে বাঈজিদের কথা মনে পড়ে যায়। আর ব্যাক্তিগত জীবন এতটাই কলুষিত এবং পঙ্কিলময় যে অন্তত আত্মসম্মান নিয়ে চলা কোন মানুষের পক্ষ্যে সেই পথে নিজে পা বাড়ানো বা পরিবারের কোন সদস্যদের সেই পথে চালিত করতে রুচি হবে না কারো।

আমাদের মন মানসিকতা ঘোর পুজিবাদ জানে। আর জানে বলেই প্রথমেই শিক্ষিত কিন্ত দুর্বৃত্ত মানসিকতার কিছু লোককে বিভিন্ন প্রলোভনে কাছে টেনে নেয়। তাদের দিয়েই প্রচার করায় কত মহান, কত আধুনিক কত প্রগতিশীল এই মত আর এই পথ। আসল কথা টাকা কামানো। বাবার মুখে শুনেছিলাম, এক মাড়োয়ারির সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে ব্যাবসা শুরু করেছিলেন এক ভদ্রলোক।

আশানুরুপ ব্যাবসা না হওয়াতে মাড়য়ারির কাছে বুদ্ধি নিতে গিয়েছিলেন সেই ভদ্রলোক। সব শুনে মাউড়া জিজ্ঞেস করে, বিজ্ঞাপনে কয়টা মেয়ে নেচেছিল? ভদ্রলোক উত্তর দিলেন একটা। মাউড়া জবাব দিলো আরে এই জন্যই তো এই হাল। একটার যায়গায় ৩টা মেয়ে নাচাও। দেখবে টাকাই টাকা।

সেই বুদ্ধি সফল হয়েছিল। এই যে তারকা জগত, সেটা ব্যাবসায়িক স্বার্থের সাথে সম্পুর্ণভাবে জড়িত। সেটা পশ্চিমে হোক, ভারতে হোক কিংবা বাংলাদেশ। অথবা পৃথিবির যে কোন যায়গায়। নারী দেহকে প্রদর্শন করে উৎপাদিত পণ্যের রমরমা বেচাকেনা।

আর এই পথকে মিডিয়া দিয়ে এমনই আলোকিত করা হয়েছে, যাতে তার পেছনের অন্ধকারটা কেউ চোখে না দেখে। উদাহারণ দেব? তারকা বানানোর মেশিন বলে কুখ্যাত আনন্দধারার সম্পাদক অরুণ চৌধুরি কর্তৃক, স্টার হতে চাওয়া জনৈক যুবতির বক্ষ সুধা পান করার দৃশ্য প্রকাশিত হলেও, সেই অরুণ চৌধুরিকেই আবার আরো নারী ভোগের সুবিধা করে দিতে সুন্দরি প্রতিযোগিতার বিচারক পদে নিয়োগ করেছে চ্যানেল আই নামের সুশিল গোষ্টির মিডিয়া পার্টনার। এই যে সুন্দরি প্রতিযোগিতা তার মুল উদ্দেশ্য কিন্তু পণ্য বিপননের জন্য নিত্য নতুন মুখ খুজে বেড়ানো। এজন্যই এই ধরণের প্রতিযোগিতার জন্য ব্যাবসায়িরাই এগিয়ে আসেন। আর যে সব মেয়েরা রীতিমত স্টার হবার বাসনায় যোগ দেন, তারা লেন দেনের পথটুকু খুব ভালো মত চিনেই আসেন।

শুধু শুষতে দেন না, শুষেও নেন। এই গিভ আর টেক করতে গিয়েই এক এক জন পাকা বারবণিতায় পরিণত হন। কিন্তু বাইরে সতি সেজে থাকেন। অবশ্য মাঝে মাঝেই তাদের আসল রুপ বাইরে বেড়িয়ে আসে। যেমন প্রভা চৈতি ।

এরকম আরো অনেক আছে বলেই বিশ্বাস করি। পশ্চিমের উনারা আগে থেকেই এই সুন্দরি প্রতিযোগিতার নামে মাংসের বিকিকিনিতে অভ্যস্থ। সেখানেও কিন্ত একই নিয়ম। আর বিজয়ি যিনি হলেন, তার মুখে গৎবাধা বুলি তৈরিই থাকে। ন্যাকা ন্যাকা গলায় ছোট শিশুদের জন্য কাজ করবো, দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াবো ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে সুন্দরি খেতাবটা পাওয়াটা তাদের রেট বাড়ানোর একটা বাহানা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই পশ্চিমে তারকা খ্যাতি পাওয়া এমন কোন তারকা পাওয়া যাবে না, যার নগ্ন ছবি অন্তর্জালে সহজলভ্য নয়। আমাদের যারা সুন্দরি প্রতিযোগিতার বিজয়িনি তাদের জ্ঞান গম্মি মনে হয় ক্লাস ফাইভ পাশ কোন ছাত্র ছাত্রিদের চেয়েও কম। ্কিন্তু অর্থ উপার্যনের ছলাকলায় তারা পতিতালয়ের ডাকসাইটে পতিতাদেরও হার মানাতে পারেন। আগেই বলেছি, পুজিবাদ নীতি বোঝে না।

বোঝে শুধু অর্থ সমাগম। তা সে সুপথ কুপথ যে পথেই হোক। আর তাই সে বিনিয়োগ করে সুশিল আর সুশিল বান্ধব মিডিয়াদের। তারাই এই কুৎসিত ব্যাপারটাকে ধোয়া তুলসি পাতা হিসাবে এমনভাবে প্রচার চালায় যে, সাধারণ মানুষ বুদ্ধিভ্রস্ট হয়, আর লোভিরা সেপথে পা বাড়িয়ে দেয়। নারী অধিকার নিয়ে যারা সংগ্রামরত তাদের কাছেও কেন সুন্দরি প্রতিযোগিতা কিংবা ফ্যাশনের নামে নারী দেহের বিকিকিনি নারী অধিকারের পরিপন্থি বলে বিবেচিত নয়, সেটি মাথায় আসছে না।

এই সুশিলরাই আবার এসবকে নারী মুক্তি, প্রগতিশীলতা আধুনিকতার উজ্জ্বল নিদর্শন বলে, ডাক দিতে থাকে। এর বিরুদ্ধচারণকারিদের উপর অপপ্রচারের স্টিমরোলার চালায়। আর এতে বিরোধীরা দমে যায়। প্রতিবাদের মঞ্চ খুজে পায় না। আর লোভি তঞ্চকরা তাদের কথায় সায় দেয়।

প্রচার করে। সমাজে উদারতার নামে উদ্ভ্রান্ততার সৃস্টি করে। আজ আমাদের সমাজ এতটাই উদার যে সামাজিক অনাচারও গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। নইলে স্বামী কুকর্ম করে ধরা খেলেও কি করে চয়নিকা কর্মকার, অরুণ চৌধুরিকে সমর্থন দিতে পারে? অভিনেত্রি প্রভার কাম কলা প্রদর্শিত হলেও, সে কি করে মিডিয়ার কাছে মুখ দেখায়? রাস্তা ঘাটে পার্কে রেস্টুরেন্টে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েরাও চুটিয়ে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। তবে প্রেম আর প্রেম নেই।

সেটা যৌবনজ্বালা মেটানোর একটা মাধ্যমমাত্র। একজনে মন ভরে না। তাই ঘন ঘন প্রেমিক প্রেমিকা বদলানো। সেখানেও ব্যাবসা। নিজেকে দেবার আগে পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে শিখে যাচ্ছে ছোট ছোট মেয়েরাও।

তাই পরে বিয়ে হলেও, স্বামীর কাছে প্রত্যাশা অনুযায়ি না পেলে, বা অন্য কারো কাছ থেকে তার চেয়ে বেশি পেলে, নিজেকে বিক্রি করতে মোটেও বাধছে না এদের। ফলাফল। সামাজিক অস্থিরতা। যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবেই। কারণ ভালো বাবা মা না হলে ভালো সন্তানের জন্ম হতে পারে না।

পশ্চিমের দেখে দেখি আমাদের ভেতর ডিজে আরজের মত অসুস্থ সংস্কৃতি চালু হয়ে গিয়েছে। এধরণে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে আগে বড়লোকদের ভেতরেও ছিল। এখন মধ্যবিত্তরাও জড়ানোটা দেশের জন্য অশনি সংকেত। শিসা, অবাধ মেলামেশা। এর পরেও যে এইডস বা অন্যান্য যৌনরোগ মহামারির মত গ্রাস করে ফেলেনি, সেটা বোধ হয় নিতান্তই বিধাতার কৃপা।

ওদের মত কানে দুল পড়া, পাছার নীচে প্যান্ট পড়ে স্মার্ট সাজা বঙ্গ সন্তানরা কি জানে, যে আমেরিকার রাস্তার পোলারা ওই পোশাকে চলে। যাদের ব্যাক্তিজীবনে প্রাপ্তি শুধু সরকারি টাকায় হাইস্কুল পাশ করা পর্যন্তই। এই ধরণের ছেলেদের ভালো কোন যায়গায় চাকরি হয় না। হলেও খুবই অল্প বেতনের ছোট কোন কোম্পানিতে। পেটেভাতে দিন চলে এদের।

আমরা কি এতটাই অন্ধ, এতটাই শিক্ষাবঞ্চিত, এতটাই নির্বোধ যে জেনে শুনে এধরণের বাজে উদাহারণকে অনুসরণ করবো? আর জে নিরবকে কুত্তার বাচ্চা গালি দিলে অন্যায় হবে। হ্যা অন্যায় হবে। কেননা নিরব একটা অসুস্থ সিস্টেমের বাইপ্রোডাক্ট মাত্র। যদি গালি দিতেই হয় তবে গালি দিন সেই সব নাটের গুরুদের যারা এই অসুস্থ অন্ধ অনুকরণ করবার জন্য দিনমান প্রচার করে যাচ্ছে। রক্ষিবাহিনী আমার পছন্দের কোন বাহিনী নয়।

তবে অন্তত দেশকে এই অসুস্থতা থেকে বাচাতে, রক্ষিবাহিনীর চেয়ে ভালো কোন ডাক্তার এই মুহুর্তে চোখে পড়ছে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।