নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ মডারেশন চাই
প্রারম্ভিক কথাঃ সামুর পিকনিক ব্লগারদের দীর্ঘ দিনের দাবী। নানা জটিলতা ও ক্যাচালের কারনে গত বছর পিকনিক হয় নি। অতি সম্প্রতি সিনেমাখোরদের ব্লগাড্ডায় উপস্থিত বিপুল সংখ্যক ব্লগারদের মাঝ থেকে পিকনিক করার দাবী ওঠে। তরুন ব্লগাররা মুরুব্বি জিশান শা ইকরাম ও সাইরাস হেলাল ও আমাকে পিকনিকের আয়োজন করার অনুরোধ করেন। অনিচ্ছা স্বত্বেও (দায়িত্ব বড় ভ্যাজাল জিনিস) তারা পিকনিক আয়োজন করার উদ্যোগ নেন।
"প্রানের টানে- বনভোজনে-যাচ্ছি বনে"- এই শ্লোগান নিয়ে শুরু হয় পিকনকের আয়োজন।
আয়োজনঃ ব্যাংক ও সরাসরি চাদা আদায় করা হয়। অনেকেই বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিতে চায়। চাদা ছিল ৫০০/- জনপ্রতি। বাচ্চারা ফ্রি!! পিকনিকের জন্য আনুষঙ্গীক কেনাকাটা করার জন্য আমি ও জিশান মামা গত বৃহস্পতিবার সারাদিন ঘুরি।
বাস ঠিক করা হয়। খাবারের অর্ডার দেয়া হয়। গিফটসামগ্রি কেনা হয়। জাহিদুল হাসান ভাই ক্রিকেট সরঞ্জাম নিয়ে আসেন।
বিস্তারিতঃ সকাল ৮-৩০ টার মধ্যেই মোটামুটি সবাই নির্ধারিত স্থান জাদুঘরের সামনে উপস্থিত হয়।
৯টায় বাস ছাড়ি। আমাদের বহরে একটি বাস, একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার ছিল। চলতি পথে আমরা আরো কয়েকজন ব্লগারকে তুলে নেই।
১১টার দিকে স্পটে পৌছাই। যাওয়ার পথে বাসে সবাইকে নাস্তা করানো হয়।
নাস্তা ছিল- এক প্যাকেট "টিফিন" বিস্কুট, একটা কমলা, এক বোতল পানি ও একটি হাওয়াই মিঠাই।
দুপুরে ছিল- কাচ্চি, ডিম, পানি, সেভেন আপ/পেপসি, চাটনি(নিমচাঁদ ভাইয়ের সৌজন্যে)।
বিকালে কফি ও গোলাম আজমের গ্রেফতারের আনন্দে রসগোল্লা!
সব শেষে ছিল র্যাফেল ড্র ও খেলার পুরস্কার বিতরন।
এছাড়াও পিকনিকে যাওয়া সকল নারীদের একটি করে গিফট দেয়া হয়।
বিকাল ৫ টায় আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
ব্লগারদের আনন্দ ও উল্লাস ছিল দেখার মত। সকলের আন্তরিক সহযোগীতা ও অংশগ্রহনে সামুর ইতিহাসে একটি স্মরনীয় বনভোজন হল।
আসুন ফটুক দেখি-
হাওয়াই মিঠাই নিতে গিয়ে ঠান্ডায় মরতে বসেছিলাম। নেওয়ার সুবিধার্থে মিঠাইওলার পাইপ সহ নিয়ে গেছি
যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে-
আমাদের বাস-
বিস্কুট বিতরন-
ওরাও পেয়েছে হাওয়াই মিঠাইয়ের স্বাদ!!!
বাসের কন্ডেক্টার(!?!) মিজ্জা ভাই-
আমাদের আশকারির আব্বু (আঙ্কেল দারুন মজা করেছেন)
মনসুর জ্যাডার শইল্ডা ভালা আছিল না-
কন্ডেক্টার ও তার সহযোগী আশকারি যাত্রিদের কাছ থেকে ভাড়া তুলছে-
একজন ভাড়া দিল সৌদি রিয়ালে-
রিয়াল দিয়েছে আমাদের মোজাম ভাইয়ের দোস্ত (ওনারে দেইখা আমার ডন দাউদ ইব্রাহিমের কথা মনে পড়া গেছে!!!)
স্পটে পৌছে-
পরিচয় পর্ব-
সামু জাতির উদ্দেশ্যে জিশান মামার অনৈতিহাসিক ভাষন!!!
ছোটদের বিস্কিট দৌড়-
নারীদের জন্য বালিশ পাস খেলা-(খেলায় বিজয়ী আমাদের জাহিদুল হাসান ভাইয়ের স্ত্রী)
ব্লগার শাহেদ খান ও নষ্ট কবি-
কুংফু পান্ডা মনসুর জ্যাডা-
নিমচাঁদ ভাই ও তার একমাত্র ছেলে- (ভাতিজা অটিজমে আক্রান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন)
হাভাতেদের কান্ড দেখুন- (কাচ্চি আসতাছে!!!)
সুশৃংখল ভাবে খাওয়া দাওয়া (সবাই পেট পুরে খেয়েছে)-
পরিবার নিয়ে ব্লগার অথৈ সাগর-
চলছে সিক্স এ সাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (৪টা দল ছিল)-
দাঁড়িয়ে দেখছে সেমিতে হারু পার্টি-
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ-
চ্যাম্পিয়ন দলের উল্লাস ( পুরস্কার হাতে!!!)
ম্যাচে কারচুপির অভিযোগে ব্যাপক ক্যাচাল ( কিন্তু সবার মুখে হাসি কেন??)
পিকনিকে গিয়ে রান্না বান্না না করলে হয়!!! তাই সবাইকে কফি বানিয়ে খাওয়ানোর দায়িত্ব দেয়া হল নীল_পরী ও পানকৌড়িকে-
এত কষ্ট করে পানি গরম করার জন্য পাতিলটা নীল_পরীকে উপহার দেয়া হয়
কালিমাখা পাতিল পেয়ে নীল_পরী অভিভূত-
নিমচাঁদ ভাইয়ের ছেলের জন্য টি শার্ট উপহার-
ফেরার পথে শুধু গান আর হৈচৈ ( গিটার বাজিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন শাহেদ খান, নতুন সঙ্গীত প্রতিভা পেয়েছি ব্লগার পানকৌড়ি, আর কিন্নর কন্ঠে গান শুনিয়েছেন ব্লগার অন্তরা মিতু)।
ছবিতে আরিফি রায়হান মাহী ও আমার পোলা-
হঠাতই ছোট মির্জা আমাকে খুন করতে উদ্দত হয় (কেস করমু ভাবছি)-
সাইরাস হেলাল মামার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া। তার স্ত্রীর একটি বড় ধরনের অপারেশনের জন্য উনি আসতে পারেন নাই। কিন্তু একথা উনি কাউকে জানাননি যাতে কেউ পিকনিকে আসতে নিরুতসাহিত না হয়। মামার জন্য শ্রদ্ধা!!
এই পিকনিককে বিতর্কিত করার জন্য অনেক ভন্ডের অপততপরতা লক্ষ্য করেছি। তাদের থোতা মুখ ভোতা করে সাধারন ব্লগাররা প্রমান করেছে সত্য ও সুন্দরের জয় অবশ্যম্ভাবি।
"ভন্ডামী দেক্তারি না!!!"
পিকনিকে কত আনন্দ করেছি তা ছবি দেখে বোঝা যাবে না। আশা করি এখন থেকে প্রতি বছর পিকনিক হবে।
তাই আমার পোলা বলছে-
এই মন চায় যে MORE....
বি:দ্রঃ যাদের কাছে ছবি আছে তারা কমেন্টে ছবি যোগ করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।